বায়তুল কোরআন। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ বাহরাইনে প্রতিষ্ঠিত বিশ্বের একমাত্র কোরআন বিষয়ক যাদুঘর। এতে রয়েছে দুর্লভ ইসলামী পুস্তকের পাণ্ডুলিপি, পবিত্র কোরআনের হাতে লেখা পাণ্ডুলিপি, বিভিন্ন ধরনের ছাপা কোরআন, কোরআনের আয়াত খচিত পর্দা, কোরআনের আয়াত সম্বলিত ক্যালিগ্রাফি, কোরআন সম্পৃক্ত চিত্রাবলী, ভাষ্কর্য, কোরআন গবেষণামূলক পুস্তক প্রভৃতি। এখানে রয়েছে কোরআনের উপর গবেষনার জন্য বিশেষ গবেষণাগার, কোরআনের উপর প্রকাশিত বিশ্বের নানাদেশ থেকে সংগৃহীত পুস্তকের এক সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার। এসব পুস্তকের মাঝে সর্বোচ্চে অবস্থান করছে ইসলামিক স্পেনের সেভিলি, কর্ডোভা ও গ্রানাডা থেকে প্রাপ্ত দুর্লভ কোরআন। এ গ্রন্থাগারে যে কেউ গিয়ে পুস্তক পাঠে দু’জাহানের শ্রেষ্ঠ পবিত্র গ্রন্থ কোরআনের জ্ঞানচর্চা করতে পারেন। এছাড়া কাঁচ, পাথর, মুদ্রা, সিল্ক প্রভৃতিতে খোদিত বা অংকিত কোরআনের বিভিন্ন সূরা বা সূরার অংশ বিশেষ এখানে সংরক্ষণ করা হয়েছে। বায়তুল কোরআনে রয়েছে একটি নয়নাভিরাম বৃহৎ ভবন, যাতে রয়েছে যাদুঘরের অংশ, লাইব্রেরি, পাঠগৃহ, বিশ্রামাগার ও সভাকক্ষ। এ ভবনে ব্যবহার করা হয়েছে নকশা খচিত সুদৃশ্য কাঁচ। ভবনের মধ্যভাগে একটি সুদৃশ্য মসজিদ। ভবনটি নির্মানে খরচ হয় ১০ মিলিয়ন আমেরিকান ডলার। এ যাদুঘরটি শুধু যে মুসলমানদেরই আকর্ষণ করে এমন নয়। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অমুসলিমরাও এখানে ছুটে আসেন কোরআনের জ্ঞান আহরণ বা কোরআন বিষয়ক দুর্লভ বস্তু সামগ্রী দেখার বাসনা নিয়ে। এখানে অমুসলিম দর্শকদের ধারণা দেয়ার জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক বহুভাষী পণ্ডিত নিয়োজিত রয়েছেন। বায়তুল কোরআন হচ্ছে কোরআন গবেষণার স্বয়ং সম্পূর্ণ একটি যাদুঘর। এখানে কোরআন বুঝা ও বোঝানোর ব্যবস্থা রয়েছে। যাদুঘরটি প্রতিষ্ঠা করেন, ড. আবদুল লতিফ জসীম কান্নো।
সংগ্রহে: খায়রুন নিসা রোজী।
সূত্র. বাহরাইনের বায়তুল কোরআন: বিশ্বের একমাত্র কোরআন বিষয়ক যাদুঘর
সর্বোচ্চ ভবন চীনে
বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন দুবাইয়ের বুর্জ আল খলিফার দম্ভ ভঙ্গ হয়ে যাচ্ছে। কেননা বুর্জ আল খলিফার রেকর্ড ভাঙতে চীনে ইতোমধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। নির্মাণাধীন এ ভবনের উচ্চতা হবে ৮৩৮ মিটার। অর্থাৎ বুর্জ আল-খলিফা হলো ৮২৮ মিটার। ফলে চীনের ভবনটি এটি হতে ১০ মিটার বেশি। গত ২০ জুলাই চীনের কেন্দ্রস্থল চ্যাংসা এলাকায় ‘স্কাই’ সিটি নামে ২২০ তলা বিশিষ্ট এ ভবনের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করা হয়। চীনের দৃষ্টিন্দন এ ভবনটিতে এমন ব্যবস্থা থাকবে যাতে ভবনের বাসিন্দা কাউকে কোন প্রয়োজনে বাইরে যেতে না হয়। এতে ৩০ হাজার লোকের থাকার ব্যবস্থা থাকবে। আর তাদের জন্য হাসপাতাল, বাচ্চাদের জন্য স্কুল, কলেজ, জিমনেসিয়াম, শপিংমলসহ কোন কিছুই বাদ যাবে না। নির্মাণ খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সবচেয়ে বড় অবাক করার বিষয় হলো, এ ২২০ তলা ভবন নির্মাণ কাজ শেষ হবে মাত্র ১০ মাস এ।
সংগ্রহে: মুহাম্মদ বোরহান উদ্দীন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, সূত্র. ইন্টারন্যাট।
চা-কফি রক্তচাপ কমায়
চা-কফি পানে অনেকে শরীর চাঙ্গা করেন। আবার অনেকে ঘুম হবে না ভেবে সন্ধ্যার পর আর খান না। চেহারা কালো হয়ে যাবে ভেবে কেউ কেউ চা বা কফি ছুঁয়েও দেখেন না; কিন্তু দিনে চার কাপ কফি বা চা পান করা শরীরের জন্য ভালো। এতে উচ্চ রক্তচাপ কমে। সম্প্রতি এক গবেষণায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। প্যারিসের দ্য প্রিভেনটিভ অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল ইনভেস্টিগেশন সেন্টারের গবেষকরা এক লাখ ৭৭ হাজার নারী-পুরুষের ওপর গবেষণা চালান। গবেষণায় ১০ বছর ধরে ১৬ থেকে ৯৫ বছর বয়সী এসব মানুষের রক্তচাপ পরীক্ষা করা হয়। গবেষণায় অংশ গ্রহণকারীদের তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়- যারা চা বা কফি পান করেন না, যারা দিনে এক থেকে চার কাপ কপি পান করেন এবং যারা এর চেয়ে বেশি পান করেন। গবেষকরা জানান, যারা দিনে অন্তত চার কাপ কপি বা চা পান করেন, তাদের রক্তচাপের মাত্রা, যারা একেবারেই পান করেন না, তাদের চেয়ে কম থাকে। গবেষণায় জানা যায়, ক্যাফেইন থেকে দূরে থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধকারীদের চেয়ে ক্যাফেইন প্রেমীদের রক্তচাপের মাত্রা কম। কফির দানা বা চায়ের পাতার নির্যাসের মূল উপাদান ক্যাফেইন।
গবেষকরা জানান, যারা বেশি করে চা পান করেন তাদের সিস্টোলিক ও ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ কম থাকে। হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও তাদের কম। কফির ক্ষেত্রে যারা অতিরিক্ত কফি পান করেন, তাদের রক্তচাপ, স্বাভাবিক পানকারীদের চেয়ে সামান্য বেশি। তবে যারা একেবারেই পান করেন না, তাদের চেয়ে কম।
গবেষক ও নিবন্ধের লেখক ব্র“নো পানিয়ার বলেন, চায়ের উপাদান সম্ভবত রক্তবাহী ধমনিতে শান্ত করার মতো কোনো প্রভাব ফেলে।
সূত্র. ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস অনলাইন
ডাইনোসর
বর্তমানে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া এককালের বিশালাকার প্রাণী ডাইনোসর নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। বৃহদাকার এ প্রাণীটি প্রায় ১৬০ মিলিয়ন বছর পৃথিবীতে রাজত্ব করেছে। প্রথম ডাইনোসরের সৃষ্টি হয়েছিল আনুমানিক ২৩০ মিলিয়ন বছর আগে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এ প্রাণীটি পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায়। ডাইনোসর শব্দটি এসেছে গ্রিক ভাষা থেকে। যার অর্থ হলো ‘ভয়ংকর টিকটিকি’। ১৮৪২ সালে ইংরেজ জীবাশ্মবিদ রিচার্ড ওয়েন শরীরের আকৃতির কারণে প্রাণীটির এমন নাম দেন। ডাইনোসরদের উদ্ধার করা বিভিন্ন ফসিল নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ডাইনোসরদের সবই কিন্তু বিশালাকার ছিল না। সবচেয়ে বড় ডাইনোসর ছিল সরপোড। আর সবচেয়ে ছোট ডাইনোসর সল্টপাস যাদের উচ্চতা ছিল মাত্র তিন ফুট। ডাইনোসরদের ডিমগুলোর আকৃতিও ছিল বিভিন্ন রকম। কোনো কোনো ডাইনোসরের ডিম ছিল ১৬ ইঞ্চি বা এর চেয়ে একটু বড়। ১৮৬৯ সালে ফ্রান্সে প্রথম ডাইনোসরদের ডিমের ফসিল পাওয়া যায়। বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন জাদুঘরে ডাইনোসরদের ফসিল সংরক্ষিত রয়েছে।
সংগ্রহে: হাবিবুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ।
মজার খাবার চকোলেট
অত্যন্ত মজার ও লোভনীয় একটি খাবার হলো চকোলেট। দারুণ স্বাদের কারণে সব বয়সের মানুষেরই প্রিয় খাবারের তালিকায় স্থান পেয়েছে চকোলেট। নানা ধরনের রোগের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও অনেকেই অতিরিক্ত মাত্রায় চকোলেট খাবার লোভ সামলাতে পারেন না। অথচ শুরুর দিকে এ চকোলেট ছিল অত্যন্ত তেতো স্বাদের। দক্ষিণ আমেরিকার বাসিন্দারা কোকোয়া বীজ গুঁড়ো করে এক ধরনের তেতো স্বাদের শরীর সতেজকারী পানীয় তৈরি করত। কোকোয়া বীজের এ পানীয়ই হলো চকোলেটের আদিরূপ। বর্তমান সময়ের শক্ত চকোলেট জনপ্রিয়তা পায় ১৮০০ শতকের দিকে। সে সময়ে কোকোয়ার বীজ তাপে গলিয়ে বিভিন্ন ছাঁচে ঢেলে ঠাণ্ডা করে কঠিন চকোলেট তৈরি শুরু হয়। ১৮৩১ সালে ব্রিটেনে ক্যাডবেরি নামের একটি ফার্ম বাণিজ্যিকভাবে চকোলেট উৎপাদন শুরু করে। তখনো চকোলেটের স্বাদ খুব একটা ভালো ছিলো না। বর্তমান সময়ের মজাদার চকোলেটের জনক বলা যায় সুইজ্যারল্যান্ডের রুডলফ লিন্ডকে। তিনিই চকোলেটের নরম আর চকচকে করার জন্য বেশি করে চকোলেটে মাখন মেশানো শুরু করেন। এ ধারা এখন পর্যন্ত অব্যাহত আছে। এ সময়েই চকোলেটকে ৯৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় গলানো শুরু হয়। আমাদের শরীরের তাপমাত্রাও এ রকম হওয়ায় চকোলেট মুখে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গলতে শুরু করে। ১৮৭৫ সালে সুইজারল্যান্ডের নাগরিক ড্যানিয়েল পিটার প্রথম মিল্ক চকোলেট তৈরি করেন। পরবর্তী সময়ে এ চকোলেট ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। বর্তমান বিশ্বে মিল্ক চকোলেটই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়। চকোলেট উৎপাদনে দুনিয়ার অনেক দেশই বিখ্যাত। এদের মধ্যে বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, ইতালি ইত্যাদি দেশ চকোলেটের জন্য সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত।
সংগ্রহে: মোহাম্মদ হাবীব উল্লাহ্, চাঁদপুর।
দাজ্জাল সম্পর্কে তথ্য
দাজ্জাল পৃথিবীতে চল্লিশদিন জীবিত থাকবে।
দুইটি স্থানে দাজ্জাল প্রবেশ করতে পারবে না। মক্কা শরীফ ও মদিনা শরীফ। [তিরমিযী]
দাজ্জালের কপালে যা লেখা থাকবে, এ বিষয়ে তিনটি বর্ণনা পাওয়া যায়।
দাজ্জালের কপালে كافر (কাফের) লেখা থাকবে। [তিরমিযী]
দাজ্জালের কপালে তিনটি অক্ষর, ك ـ ف ـ ر লেখা থাকবে। [মিশকাত]
দাজ্জালের দুই চোখের মাঝখানে كاف ـ الفاء ـ الراء লেখা থাকবে। [আশিয়াতুল লুমআত]
শয়তান সম্পর্কে তথ্য
প্রথম আকাশে-শয়তানের নাম ছিল আবেদ।
দ্বিতীয় আকাশে- যাহেদ।
তৃতীয় আকাশে- আরেফ।
চতুর্থ আকাশে- অলী, পঞ্চম আকাশে-তকী।
ষষ্ঠ আকাশে- খাযেন, সপ্তম আকাশে- আযাযীল, আর লওহে মাহফুজে তার নাম ছিল ইবলিশ।
সংগ্রহে: মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন নুরী।
হা স্য র স
এক ভদ্রলোক বইয়ের দোকানে গেলেন দরকারি একটি বই কিনতে। সেখানে দেখলেন এক কর্মচারী। দোকানে বসে বসেই বিড়ি ফুঁকছে।
ভদ্রলোক: এই যে ছোটলোকের বাচ্চা, বেয়াদব, অভদ্র কোথাকার। দোকানের মধ্যে বসে বিড়ি খাচ্ছিস! ফেলে দে বিড়ি।
ভদ্রলোকের গালাগালি শুনে কর্মচারী কাঁচুমাচু হয়ে বলল, সরি স্যার, ভুল হয়ে গেছে। তা আপনি কোন বই কিনতে এসেছেন স্যার।
ভদ্রলোক: ‘কীভাবে ভদ্র হওয়া যায়’ বইটা আমাকে প্যাকেট করে দে।
মোহাম্মদ পারভেজ, কুমিল্লা।
জাহাজ ডুবির পর তিন বন্ধু আশ্রয় নিল এক অজানা দ্বীপে। হঠাৎ সাগর পারে একটি প্রদীপ দেখতে পেল। প্রদীপটা ধরে ঘষা দিতেই বের হয়ে এল এক দৈত্য। বের হয়েই বলল, ‘হুকুম করুন মালিক, আমি প্রত্যেকের একটি ইচ্ছা পূরণ করব।’
প্রথম বন্ধু: আমি ইংল্যান্ডেই ফিরে যেতে চাই। বলতে না বলতেই হাওয়া হয়ে গেল সে।
দ্বিতীয় বন্ধু: আমি আমেরিকায় ফিরে যেতে চাই।
তৃতীয় বন্ধুর কিন্তু দেশে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা নেই। বলল, আমি আমার বন্ধুদের ফিরে পেতে চাই। বলতে না বলতে সে অচেনা দ্বীপে দুই বন্ধু হাজির হয়ে গেল তার সামনে। আর প্রদীপ নিয়ে দৈত্যটাও উধাও।
আবিদ হাসান,
হালিশহর, চট্টগ্রাম।