বাংলাদেশে ছিলছিলায়ে কাদেরীয়া ছৈয়্যদিয়া আলীয়ার প্রচার প্রসারে যুগান্তকারী অবদানের পেছনে তাঁর কথা সবার আগে মনে পড়ে তিনি হচ্ছেন এতদাঞ্চলের বহুল প্রচারিত সর্বজনপ্রিয় দৈনিক আজাদীর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মরহুম আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার (রঃ) অবিভক্ত ভারতে শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হতে ডিগ্রি অর্জনকারী প্রগতিশীল মন-মানসিকতার ধারক তরুন ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার মরহুম আবদুল খালেক ছিলেন একজন মহৎপ্রাণ, উদার ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব। যে কোন রকম গোঁড়ামী কুসংস্কার হতে মুক্ত।
২০-এর দশকে তিনি তরিক্বত জগতের উজ্জলতম জ্যোতিস্ক কুতুব-উল-আউলিয়া আল্লামা হাফেজ ক্বারী ছৈয়দ আহমদ শাহ ছিরিকোটি রহমতুল্লাহে আলাইহের সংস্পর্শে আসেন এবং তাঁর মোবারক হতে বাইআত গ্রহণ করেন। সীমাহীন প্রজ্ঞা দূরদৃষ্টি এবং মানবপ্রেমে উজ্জীবিত মরহুম আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার সাহেব কুতুব-উল-আউলিয়া ছিরিকোটি (রঃ)- এর কাছ থেকে তরিক্বতের যে মধুময় নেয়ামত লাভ করেছিলেন তা কৃপণের মতো একা ভোগ করেন নি। স্বদেশবাসী ভাইদের ও সে নেয়ামতের ভাগীদার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। মূলতঃ মরহুম আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার (রঃ), মরহুম আবদুল মজিদ সওদাগর (রঃ), মরহুম ছুফী আবদুল গফুর (রঃ)-এর অবদানের কারনে চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেরশর মানুষ একজন বরহক মুর্শিদ এবং বরহক ছিলছিলার সন্ধান লাভে ধন্য হতে পেরেছে। অনন্য বৈশিষ্ট্য মন্ডিত দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া প্রতিষ্ঠায় ও তার খেদমত ছিল উল্লেখ্য।
মরহুম আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার ১৮৯৮ সনের ২০শে জুলাই রাউজান থানার সুলতানপুর গ্রামের এক অভিজাত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬২ সনের ২৫শে সেপ্টেম্বর বর্ণাট্যশয় জীবনের অধিকারী এ মহৎপ্রাণ ব্যক্তিত্ব রফিকে আলার আহ্বানে সাড়া দিয়ে এ নশ্বর ধরাধাম হতে চির বিদায় গ্রহণ করেন।