আলহাজ্ব আবদুল মজিদ সওদাগর মরহুম মাগফুর বার্মার রাজধানী রেঙ্গুন শহরে ইতিহাস প্রসিদ্ধ বাঙালী মসজিদে প্রথম শায়খুল মশায়েখ, রাহবারে শরীয়ত ও তরিকত, কুতুব-উল-আউলিয়া আলহাজ্ব হাফেজ ক্বারী আল্লামা ছৈয়দ আহমদ শাহ কদ্দ ছিররুহুল আজিজ এর সংস্পর্শে আসেন এবং বাইআত গ্রহণ করেন। এবং পরবর্তীকালে একনিষ্ট রেয়াজত ও ছিলছিলাহর নিঃস্বার্থ খেতমতের মাধ্যমে ফানা ফিস শায়ক এর মর্তবা হাসিল করেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ১৯৪১ সালে বার্মা হতে স্বদেশ প্রত্যাবর্র্তন করেন। এবং এ সময় হতে নিজের মাতৃভূমি চট্টগ্রামে ছিলছিলার প্রচার প্রসারে আত্মনিয়োগ করেন। হুজুর ক্বিবলার চট্টগ্রাম সফরকালে তিনিও মরহুম আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার সাহেবের সাথে থেকে ছায়ার মত হুজুর ক্বিবলাহ-কে অনুসরণ করতেন।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জমায়াতের দীপ্ত মশাল প্রজ্জ্বলিত করার মানসে কুতুব-উল-আউলিয়া ছৈয়দ আহমদ শাহ ছিরিকোটি (রঃ) যখন ১৯৫৪ সনে ষোরশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার ভিত্তি স্থাপন করেন তখন মরহুম আবদুল মজিদ ছাহেব তখন অহর্নিশ মাদ্রাসার খেদমত আঞ্জাম দেয়ার সুবিধার্থে শহরতলীতে অবস্থিত নিজের গ্রামের বসতবাড়ী ছেড়ে ষোলশহর নাজিরপাড়ায় এসে স্বপরিবারে বসবাস শুরু করেন। ছিলছার জন্য খেদমত এবং পীর ভাইদের প্রতি তাঁর সহমর্মিতা ছিল রূপকথার মত।
নজিরপাড়া-এর প্রয়াত সহ-সভাপতি রাজা মিয়া সাহেব উনার সুযোগ্য সন্তান ও আঞ্জুমান আলহাজ্ব এম. এ. ওয়াহাব আল কাদেরী উনার ছোট ভাই।
মরহুম আবদুল মজিদ সওদাগরের জন্ম ১৯১৫ ইং হাটহাজারী থানা খন্দকিয়া গ্রামের ধনাঢ্য মুসলিম পরিবারে। ১৯৮২ সনের ২০ শে সেপ্টেম্বর সোমবার দিবাগত রাত ১১টা ২৫ মিঃ এ নিবেদিত প্রাণ মুজাহিদ নশ্বর দুনিয়া হতে বিদায় গ্রহণ করেন।