গেয়ারভী শরীফের ফযীলত
হুযূর গাউসে পাকের স্মরণে ও সম্মানে প্রতি আরবি মাসের ১১ তারিখ যে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়, তাকেই গেয়ারভী শরীফ বলা হয়। বড়পীর রাহমাতুল্লাহি আলাইহি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উদযাপন উপলক্ষে প্রতি মাসের ১২ তারিখ বারভী শরীফ পালন করতেন। একদিন গাউসে পাক স্বপ্নের মধ্যে নবী পাককে দেখলেন নবীজী গাউসে পাককে উদ্দেশ করে বলেন, “আমার ১২ ই রবিউল আউয়ালকে তুমি যেভাবে সম্মান করে পালন আসছো, আমি এর বিনিময়ে তোমাকে ‘গেয়ারভী শরীফ’ দান করলাম।”
সে কারণেই তরীক্বত ও তাসাওফপন্থী ভাইয়েরা প্রতি আরবি মাসের ১১ তারিখ অসংখ্য নবী-রাসূল ও বিশেষ করে গাউসুল আ’যম আব্দুল ক্বাদের জীলানী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি কে স্মরণ করে ওই রাতে বা দিনে গেয়ারভী শরীফ সহ বিভিন্ন শরীয়ত সমর্থিত ভাল কাজ করে থাকেন।
সাধারণ মুসলিম ভাইয়েরা এ দিবসটি উপলক্ষে পবিত্র ক্বোরআন তিলাওয়াত, হামদ-না’ত, জিকির-আযকার, দো‘আ-দুরুদ, বয়ান-তাক্বরীর, মিলাদ-ক্বিয়াম, সালাত-সালাম সহ আরো অনেক উত্তম ও নফল কাজ করেন। উন্নত মানের খানা পাকিয়ে ১১ শরীফ উপলক্ষে তা পরিবার-পরিজন, গরিব-দুঃখী, অনাথ-এতিমদের মাঝে বিতরণ করা হয়। যা ইসলামের অন্যতম আদর্শ ও গ্রহণীয় সংস্কৃতি।
পবিত্র গেয়ারভী শরীফ আদায়কারীগণ এর মাধ্যমে অনেক দুনিয়া ও আখিরাতের ফায়দা লাভ করে থাকেন। বিভিন্ন গ্রন্থে এর ফজীলত উল্লেখ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে অভাব দূর হয়। পরিবারে শান্তি নিশ্চিত হয়। বালা-মুসীবত দূর হয়। আল্লাহর ওলগণের সাথে আত্মিক সম্পর্ক সৃষ্টি হয়।