মুহাম্মদ রিয়াজ উদ্দীন
ছাত্র, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া
চট্টগ্রাম।
´প্রশ্ন: আখেরী চাহার শম্বাহ দিবসে মুসলিম জাতির করণীয় সম্পর্কে জানিয়ে কৃতজ্ঞ করবেন।
্উত্তর: ‘জাওয়াহেরুল কুনুজ’ কিতাবের ৫ম খণ্ডের ৬১৬ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে সফর মাসের শেষ বুধবার সূর্যোদয়ের আগে গোসল করা উত্তম। সূর্যোদয়ের পর দুই রাকাত নফল নামায পড়া ভাল। নামাযের নিয়ম হল প্রথম রাকাতে সূরা ফাতেহার পর কুলিল্লা হুম্মা মালিকাল মূলক শেষ পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় রাকাতে ফাতেহার পর কুলিদ্ উল্লাহা আবিদ উর রহমানা আয়্যামান তাদ্য়ু ফালাহুল আসমাউল হুসনা ওলা তজহার বেছালাতিকা ওয়া তোখাফিত বিহা অয়াবতাগী বাইনা জালিকা সাবিলা’ থেকে শেষ পর্যন্ত পাঠ করবে। সালাম ফিরানোর পর নিম্নোক্ত দোয়া পাঠ করবে আল্লাহুম্মাছরাফ আন্নী শররা হাজাল ইউওমে ওয়াছিমনী মিন শাওমিহি ওয়াজ তানিরনী আম্মা আখাফু ফিহি মিন নখুছাতিহী ওয়া কুরবাতিহী বিফদলিকা ইয়া দাফিয়াশ শুরুরী ইয়া মালিকান নুশুরী ইয়া আরহামার রাহিমীন।
অনুরূপভাবে জাওয়াহেরুল কুনুজ ৫মখণ্ড ৬১৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে মাহে সফরের শেষ বুধবার সপ্ত সালাম তথা সাতটি আয়াতে সালাম লিখে তা পানিতে ধুয়ে পানিটুকু পান করবে। মাওলানা আবদুল হাই লক্ষ্মৌভী ও তার ‘মজমুয়ায়ে ফতোয়ায়’ একথা উল্লেখ করেছেন।
‘তাযকিরাতুল আওরাদ’ কিতাবে উল্লেখ আছে যে ব্যক্তি আখেরি চাহার শম্বা তথা মাহে সফরের শেষ বুধবারে প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাযের পর আয়াতে রহমত (সাত সালাম) পাঠ করে নিজের শরীরে ফুঁক দেয় বা তা পানের উপর লিখে ধুয়ে পান করে আল্লাহ পাক তাকে সব রকম বালা মুসিবাত ও রোগ ব্যাধি হতে নিরাপদ রাখবেন।
‘আনওয়ারুল আউলিয়া’ কিতাবে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি আখেরি চাহার শম্বার দিন দুই রাকাত নফল নামায আদায় করবে আল্লাহ পাক তাকে হৃদয়ের প্রশন্ততা দান করবেন। প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহার পর এগারবার করে সূরা এখলাস পাঠ করবে এবং নামায শেষে ৭০ বার দরূদ শরীফ পড়বে অথবা প্রতি রাকাতে ৩বার সূরা ইখলাস দ্বারা নামায শেষ করে ৮০ বার সূরা আলাম নাশরাহলাকা এবং সুরা নসর, সূরা ত্বীন ও সূরা এখলাস পাঠ করবে। উপরিউক্ত নিয়মে পড়া ভাল নতুবা স্বীয় সুযোগ অনুযায়ী সূরা কেরাত দিয়ে পড়লেও অসুবিধা নাই। এ বিষয়ে ইমাম শেরে বাংলা আল্লামা সৈয়দ আজিজুল হক আলকাদেরী (রাহ.) ফতোয়ায়ে আজিজী শরীফে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
সুতরাং মাহে সফরের শেষ বুধবার দোয়া দরূদ পড়া, কলার পাতায় আয়াতে শেফা লিখে গোসল করা এবং আয়াতে সালাম লিখে পাানিতে ঢেলে তা পান করা ভাল ও উত্তম আমল। শরিয়তের দৃষ্টিতে বাধা নাই।