প্রশ্ন: আমি একদিন ভ্রমণে গিয়েছিলাম। সেখানে বাথরুম সারাতে গিয়ে আমার শরীর ও কাপড়ে সামান্য নাপাক পানি ও প্রশ্রাবের ছিটকা পড়ে তখন আমার পক্ষে কাপড় পাল্টানো বা গোসল করা সম্ভব ছিল না। এতে আমি নামাজ পড়ে ফেলি। এমতাবস্থায় আমার কি করা উচিত ছিল? কতটুকু পরিমাণ নাপাক পানি বা দ্রব্য লাগলে নামাজ পড়া যাবে না?

0

? মুহাম্মদ মহিউল্লাহ
মোহাম্মদপুর
চট্টগ্রাম।
´প্রশ্ন: আমি একদিন ভ্রমণে গিয়েছিলাম। সেখানে বাথরুম সারাতে গিয়ে আমার শরীর ও কাপড়ে সামান্য নাপাক পানি ও প্রশ্রাবের ছিটকা পড়ে তখন আমার পক্ষে কাপড় পাল্টানো বা গোসল করা সম্ভব ছিল না। এতে আমি নামাজ পড়ে ফেলি। এমতাবস্থায় আমার কি করা উচিত ছিল? কতটুকু পরিমাণ নাপাক পানি বা দ্রব্য লাগলে নামাজ পড়া যাবে না?
্উত্তর: মানুষের শরীর থেকে বের হওয়া পায়খানা, প্রশ্রাব, প্রবহমান রক্ত ও পুঁজ ইত্যাদি হল নাজাসাতে গলিজা অর্থাৎ শক্ত নাপাকি। শরিয়তের দৃষ্টিতে ওই নাপাকের হুকুম হল যদি কারো শরীর বা কাপড়ে ওই ধরনের নাপাক এক দিরহাম বা এক সিকি পরিমাণ থেকে বেশী লাগে তখন উক্ত নাপাকী ধৌত করে পবিত্র করা ফরয। এটা পবিত্র করা ছাড়া নামায আদায় করা হলে নামায আদায় হবে না। আর এক দিরহাম বা সিকি পরিমাণ হলে তখন এটা পবিত্র করা ওয়াজিব। এ অবস্থায় পবিত্র করা ছাড়া নামায আদায় করা হলে উক্ত নামায মাকরূহে তাহরীমি হবে। কাজেই ওই নামায পুনরায় পড়তে হবে। এমতাবস্থায় ইচ্ছাকৃত নামায পড়লে গুণাহগার হবে। আর এক দিরহাম পরিমাণ থেকে কম হলে তখন এটা পবিত্র করা সুন্নাত। এটা পবিত্র করা ছাড়া নামায আদায় করা হলে সুন্নাতের খেলাপ হবে সুতরাং নামায পুনরায় পড়া উত্তম। অতএব কারো শরীরে ও কাপড়ে প্রশ্রাব ও নাপাক পানির ছিটকা পড়লে উক্ত নাপাকীকে ধৌত করে পবিত্র করবে তারপর নামায আদায় করবে। এটাই শরিয়তের বিধান। উল্লেখ্য যদি প্রশ্রাব বা পায়খানার পর পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জনের সময় কাপড়ে সামান্য পরিমাণ পানির ছিটকা লাগে বা সন্দেহের সৃষ্টি হয় তখন সামনে ও পেছনে কাপড়ে পবিত্র পানি দ্বারা হাতে ভালভাবে ছিটকা মারবে যাতে সন্দেহ দূর হয়ে যায়। তখন আর শরীরের কাপড় পুনরায় ধৌত করার প্রয়োজন নেই।
[মেশকাতুল মাসাবীহ্, মেরকাতুল মাফাতিহ ও মেরাতুল মানাজিহ,
তাহারাত (পবিত্রতা) অধ্যায় ইত্যাদি]

শেয়ার
  •  
  •  
  •  
  •