? মুহাম্মদ শাহ্ ই জাহান
পশ্চিম ইলশা, বাঁশখালী
চট্টগ্রাম।
্উত্তর: ঈমানদার নর-নারীকে কবরে দাফন করার পর কবর তলকীন করা হাদিস ও শরীয়ত সমর্থিত। এটা নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এর হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। এর দ্বারা মৃত ব্যক্তি মুনকির নাকিরের প্রশ্ন সমূহের জওয়াব দানে সফল হয়। সুতরাং মৃত ব্যক্তিকে দাফন করার পর মুনকির নকীরের সওয়াল জওয়াবের মুহূর্তে তলকিন করে তাকে সহযোগিতা করা উচিত। যেমন- তিবরানী শরীফে উল্লেখ আছে নবী করিম সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন-অর্থাৎ- নবী করিম সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন ‘তোমাদের কোন মুসলমান ভাই মারা গেলে তাকে দাফন করে উপরে মাটি যথাযথ করে দিয়ে তোমাদের কেউ যেন তার শিয়রের কাছে দাঁিড়য়ে এভাবে আহবান করে বলে হে অমুক মহিলার পুত্র অমুক। তখন মৃত লোকটি ঐ আওয়াজ শুনতে পাবে একইভাবে দ্বিতীয় বার ডাক দেবে তখন সে সোজা হয়ে কবরে বসবে তারপর আবার ডাক দিলে সে কবরের ভিতর থেকে বলবে আমাকে কিছু উপদেশ দিন আল্লাহ তা‘আলা আপনাকে রহম করুন। নবীজি এরশাদ করেন- যদিও তোমরা তা বুঝতে পার না। অতপর শিয়রের কাছে দাঁড়ানো ব্যক্তি যেন বলে তুমি দুনিয়া হতে যে কলেমায়ে শাহাদাত নিয়ে বিদায় হয়েছ তা স্মরণ কর আর স্মরণ কর একথা যে, আমি রব হিসেবে আল্লাহর উপর সন্তুষ্ট এবং দ্বীন হিসেবে ইসলামের উপর রাজি, নবী হিসেবে হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এর উপর সন্তুষ্ট এবং পথ প্রদর্শক হিসেবে পবিত্র কুরআনের উপর সন্তুষ্ট। নবী করিম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন তলকীনের পর মুনকির/নকীর ফেরেশতাদ্বয় একে অপরের হাত ধরে বলাবলি করে চলো থাকে নাজাতের দলিল শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। তার কাছে বসে থেকে লাভ নেই। জনৈক সাহাবী আরজ করলেন ইয়া রাসূলাল্লাহ্ যদি মৃত ব্যক্তির মায়ের নাম জানা না থাকে তবে কার পুত্র বলব- হুজুর সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম বললেন সকলের মা হযরত হাওয়া আলাইহাস্ সালামের দিকে সম্পর্ক করে বলবে হে হাওয়ার পুত্র অমুক। সুতরাং দাফনের পর যিয়ারত করবে আর যিয়ারতের পর একজন পরহেজগার আলেমে দ্বীন উপরোক্ত নিয়মে কবর তলকীন করবেন। এটা মুস্তাহাব ও উত্তম।
[শরহুস্ সুদুর কৃত: ইমাম সুয়ূতী আলাইহির রহমত ও রদ্দুল মুহতার কৃত ইমাম ইবনে আবেদীন শামী হানাফী আলাইহির রাহমাত ইত্যাদি]
