প্রশ্ন: বর্তমানে দেখা যায় অনেক মহিলা মাজারে গিয়ে নামায পড়ে। মাজারে যাওয়া মহিলাদের জন্য কতটুকু জায়েয জানালে উপকৃত হব।

0

? মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম
জিরি, পটিয়া চট্টগ্রাম।

্উত্তর: মহিলাদের জন্য আউলিয়া কেরামের মাজারে যাওয়া, কবর জিয়ারতের উদ্দেশ্যে ঘর হতে বের হওয়া এবং সেখানে অবস্থান করা, বর্তমান ফিতনা ফ্যাসাদের যুগে অধিকাংশ ফকিহগণের দৃষ্টিতে মাকরূহে তাহরীমা। যেমন গুনিয়া কিতাবে উল্লেখ আছে- অর্থাৎ পুরুষের জন্য মাজার/কবর যিয়ারত করা মুস্তাহাব এবং মহিলাদের জন্য মাকরূহ।

তাতারখানিয়া কিতাবে উল্লেখ আছে-অর্থাৎ কাজী খান থেকে প্রশ্ন করা হল যে, মহিলাদের জন্য কবরস্থানে যাওয়া বৈধ কিনা? তদুত্তরে তিনি বলেন এ ক্ষেত্রে বৈধ কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন নয় বরং প্রশ্ন হল এতে লান’তের পরিমাণ কত? জেনে রেখো যখন তারা (মহিলারা) ঘর থেকে বেপর্দা বের হয় তখন তারা আল্লাহ ও ফেরেশতাদের লানতে পতিত হয় আর যখন তারা ঘর থেকে রওয়ানা হয় তখন শয়তান তাদেরকে ঘিরে নেয় যখন কবরসমূহে আসে মৃতের আত্মা তাদেরকে লানত করে আর যখন প্রত্যাবর্তন করে তখন আল্লাহর লানতের মধ্যে থাকে।

অবশ্য ফোকহায়ে কেরামের মধ্যে কেউ কেউ মহিলাদের জন্য পর্দাপুশিদা সহকারে কবর যিয়ারত বৈধ বলেছেন কিন্তু ফিতনা ফ্যাসাদের কারণে অধিকাংশ ফোকহায়ে কেরাম কবর জিয়ারত এমনকি জুমা জামআত এবং জানাজার নামাজে শামিল হওয়ার জন্য ঘর হতে বের হওয়া মহিলাদের জন্য মাকরূহে তাহরীমি বলে ফতোয়া দিয়েছেন। কিন্তু নবী করিম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এর রওজা পাকের যিয়ারত নারী পুরুষ সবার জন্য ইমাম ইবনে হুম্মাম হানাফীর মতে ওয়াজিবের কাছাকাছি। আর রদ্দুল মুহতারে ইমাম ইবনে আবেদীন শামী (রাহ.) উল্লেখ করেছেন।

অর্থাৎ মেয়েদের জন্য নবী করিম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এর রওজা পাকে হাযির হওয়া মুস্তাহাব না কি শুদ্ধ? উত্তরে বলা হয়েছে হ্যাঁ মুস্তাহাব, মাকরূহ নয়। তবে রওজা পাকের আদব সম্মানের প্রতি লক্ষ্য রাখা পূর্বশর্ত।

শেয়ার
  •  
  •  
  •  
  •