খিদমতে মোস্তফা সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এ ধন্য ক’জন মহিয়সী- তাহিয়্যা কুলসুম

0

খিদমতে মোস্তফা সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এ ধন্য ক’জন মহিয়সী
তাহিয়্যা কুলসুম

====
মহান আল্লাহ্ তা‘আলার নামে শুরু করছি, যিনি পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু। তিনি এক ও অদ্বিতীয়। তাঁর দরবারে লাখো কোটি শুকরিয়া আদায় করছি যে, তিনি আমাদেরকে তাঁর প্রিয়হাবীব হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর উম্মত বানিয়ে ধন্য করেছেন। নিঃসন্দেহে রাসূল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর আগমন মানবজাতির জন্য অনুগ্রহ। মহান আল্লাহ তা‘আলার ইরশাদ মোতাবেক- ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহ্ মুমিনের প্রতি তাঁর রাসূল পাঠিয়ে অনুগ্রহ করেছেন।’’ অসংখ্যা দরূদ ও সালাম সেই প্রিয় নবীর ওপর যিনি সমগ্র সৃষ্টির অস্তিত্বের মাধ্যম। তাঁর আগমনে সমগ্র অন্ধকার দূরীভূত হয়ে যায। বাঙালী কবি গোলাম মোস্তফার কবিতায় সে অনুরণ প্রতিধ্বনিত হয়।
‘‘তুমি যে নূরের নবী, নিখিলের ধ্যানের ছবি,
তুমি না এলে দুনিয়ায়, আঁধারে ডুবিত সবই।’’

সাথে সাথে দরূদ-সালাম সে সকল বান্দা-বান্দিনীর ওপর যারা মহাসৃষ্টির সান্নিধ্য লাভে সৌভাগ্যশীল হয়েছেন। শুধুমাত্র সান্নিধ্য লাভেই তাঁরা থেমে থাকেনি বরং প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর খিদমতে নিজেদের আঞ্জাম দিয়ে হয়েছে জগৎ বরেণ্য।

স্রষ্টার ইবাদতের পরে যে কাজ ইসলামের অধিক গুরুত্ব রাখে তা হল সৃষ্টির সেবা। সৃষ্টির সেবা সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম বলেন- ‘সফরে দলনেতা তাদের খাদেম। যে ব্যক্তি খিদমত করে তাদের অগ্রগামী হয়েছে- কোন ব্যক্তিই অন্য কোন কাজের মাধ্যমে তাকে অত্রিক্রম করতে পারে না।’’ [বায়হাকী]

সমাজের সৃষ্টিকুলকে সেবা করার প্রতিদান যদি এতই বড় হয় তাহলে সৃষ্টিকুলের সর্দার সাইয়্যিদুল কাওনাইন হযরত মোস্তফা সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর খিদমত করার প্রতিদান তো অকল্পনীয়। যারা রাসূল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর বারেগাহে খিদমতে নিয়োজিত ছিলন, তাঁরা সকলেই পুরুষ ছিলেন না; বরং অনেক মহিয়সী নারীরাও এ সৌভাগ্য অর্জনে ব্রত হয়েছে। সামান্য পরিসরে এমনই কয়েকজন মহিয়সী নারীর পরিচয় প্রদান সচেষ্ট হলাম।

১. উম্মে আয়মান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা
হুযূর আকরাম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর খিদমতে নিয়োজিত নারীদের মধ্যে একজন হলেন উম্মে আয়মান। এটি তাঁর উপনাম। মূল নাম বারাকাত। তিনি একজন হাবশী মহিলা। হযরত উসামা বিন যায়েদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু নামকরা একজন সাহাবী। হযরত উম্মে আয়মান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা’র ঔরসে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর স্বামী ছিলেন হযরত যায়েদ বিন হারেছা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু, তিনি তাঁর স্বামীর সূত্রে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর খিদমত করার সুযোগ লাভ করেন। তাঁর স্বামী যায়েদ নিব হারেছা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু রাসূল করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর আযাদকৃত গোলাম ছিলেন। বয়সে রাসূল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম থেকে ১০/২০ বছর বড় ছিলেন। ৭/৮ বছর বয়সে তাঁকে ছিনতাই করে নিয়ে ওকায মেলায় বিক্রি করে দেয়। হাকীম ইবনে হেযাম তাঁর ফুফু হযরত খাদীজা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহার জন্য ৪০০ দিরহাম দিয়ে কিনে নেয়। হযরত খাদীজা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা’র সাথে হুযূর করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর বিবাহ্ হলে তিনি হযরতের জন্য য়ায়েদকে হেবা করে দেন। তাঁর পিতা ও চাচা তাঁকে নিতে আসলে তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর সান্নিধ্য ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে অস্বীকার করেন। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম জনসম্মুখে তাঁকে নিজের পুত্র বলে ঘোষণা দেন। সেই সূত্রে উম্মে আয়মান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা’র জন্যও রাসূল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর খিদমত করার পথ প্রশস্ত হয়ে যায়।

২. খাওলাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা
হুযূর পুরনূর সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর খিদতমকারী অন্য একজন সাহাবীয়্যা হলেন হযরত খাওলাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা। তিনি হযরত হাফস বিন সা’দ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু’র দাদি। যদিও হযরত খাওলাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তত বেশি প্রসিদ্ধ ছিলেন না; তবে একটি হাদীস সূত্রে তিনি যে প্রিয় নবীর সাল্লাল্লাহু তা‘আলা
আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর খাদিম ছিলেন তাঁর প্রমাণ পাওয়া যায়। হযরত আবু বকর বিন আবি শায়বা রাহমাতুল্লাহি আলায়হি এবং ইমাম তাবরানী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি, আবি নাঈম মোল্লা রাহমাতুল্লাহি আলায়হি থেকে, তিনি হাফস বিন সা’দ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে, অতঃপর তিনি তাঁর পিতার মাধ্যমে তাঁর দাদী হযরত খাওলাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণনা করেন, যিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর সেবিকা ছিলেন। তিনি (খাওলাহ্) বলেন, ‘‘একদা রাসূল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম’র ঘরে তাঁর চৌকির নিচে হঠাৎ করে একটি কুকুরের বাচ্চা এসে পড়ে। পরদিন সকালে আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামকে চিন্তামগ্ন দেখতে পাই। আমি তখন হুযূর করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম থেকে চিন্তিত হওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করি। তখন তিনি বলেন, আজি রাতে হযরত জিবরাঈল আলায়হিস্ সালাম’র আগমনের কথা ছিল, কিন্তু তিনি এলেন না এবং তাঁর না আসার কারণটিও আমার জানা নেই। এরপর রাসূল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম তাঁর চাদর মুবারক গায়ে দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন এবং আমাকে বলেন যেন তাঁর ঘরটি খুব ভাল করে পরিস্কার করে দিই। আমি ঘর পরিস্কার করার মুহূর্তে চৌকির নিচে একটি কুকুরের বাচ্চা মৃত অবস্থায় পাই। আমি সেটি বাইরে ফেলে দিই। অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ঘরে প্রবেশ করেন। সেই মুহূর্তে তাঁর দাড়ি মুবারক কাঁপছিল। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম’র মধ্যে অহী আগমনের প্রভাব স্পষ্ট ছিল। এমতাবস্থায় রাসূল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেন, ‘হে খাওলাহ! আমাকে একা রেখে যাও।’ এরপর রাসূল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এর ওপর পবিত্র ক্বোরআনের সূরা দোহা নাযিল হয়। তখন জিবরাঈল আলায়হিস্ সালাম থেকে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম রাতে না আসার কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘‘যে ঘরে কুকুর এবং ছবি থাকে সে ঘরে আমি প্রবেশ করতে পারি না।’’

৩. উম্মে রাফে’ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা
সরওয়ারে কায়েনাত রাসূল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম’র অপর একজন সেবিকা হলেন উম্মে রাফে’ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা। তাঁর মূল নাম হল সালমা। তিনি হযরত আবু রাফে’ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু’র স্ত্রী ছিলেন। তিনি মূলত রাসূল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম’র ফুফু হযরত সাফিয়্যা বিনতে আবদিল মুত্তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু’র বাঁদী ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি উম্মে রাফে’ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম’র সেবা করার উদ্দেশ্যে তাঁর বারগাহে উৎসর্গ করে দেন। তিনি নবী তনয়া হযরত ফাতেমা তুয যাহরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা এবং নবীপুত্র হযরত ইবরাহিম বিন রাসূল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম’র ধাত্রী ছিলেন। খায়বার যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী নারীদের মধ্যে তিনিও ছিলেন। হযরত উম্মে রাফে’ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে তাঁর পৌত্র আবদুল্লাহ্ বিন আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু একটি হাদীস বর্ণনা করেন।

সৈয়্যাদাতুনা মা আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা’র একটি বর্ণনায় উম্মে রাফে’ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা’র একটি ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায়। তিনি বলেন, একদা আবু রাফে’র স্ত্রী উম্মে রাফে’ রাসূল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম’র দরবারে তাঁর স্বামীর বিপক্ষে অভিযোগ নিয়ে আসেন। অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমার স্বামী আবু রাফে’ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) আমাকে প্রহার করেছে। এটি শুনে রাসূল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম আবু রাফে’ রাদ্বিয়াাল্লাহু আনহু থেকে জিজ্ঞেস করেন, ‘‘হে আবু রাফে’! তুমি তার সাথে কেমন ব্যবহার কর? কেন তুমি তাকে প্রহার করেছ?’’ আবু রাফে’ বলেন, ‘সে আমাকে কষ্টদায়ক কথাবার্তা বলেছে।’ হুযূর আকরাম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, হে সালমা! তুমি তাকে কেন কষ্টদায়ক কথাবার্তা বলেছ। তখন তিনি বলেন, আমি কোন কষ্টদায়ক কথা বলিনি। তার নামায পড়া অবস্থায় ‘হাদছ’ (যেসব কাজের জন্য অযু ফরয হয়) সংঘটিত হয়েছে। তাই আমি তাকে বলেছি যে, ‘‘আল্লাহর প্রিয়নবী, মুসলমানদের নির্দেশ দিয়েছেন যে, যখন তাদের শরীর থেকে বায়ু বা এই জাতীয় কিছু বের হয় তখন সে যেন ওযু করে নেয়।’’ এটা শুনে সে আমাকে প্রহার করেছে। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম মুচকি হেসে বললেন, ‘হে আবু রাফে’, তোমার স্ত্রী তোমাকে ভালো এবং কল্যাণকর কাজের নির্দেশ দিয়েছে। তাই তুমি তাকে মেরো না।’
[বি. দ্র. আবু রাফে’ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ইতোপূর্বে হাদাছ দ্বারা অযু নষ্ট হয়ে যাওয়ার হুকুম সম্পর্কে অবগত ছিলেন না]

৪. মায়মুনা বিনতে সা’দ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা
মহানবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম’র বারগাহে খিদমত করার সৌভাগ্য অর্জন করেছেন এমন আরেকজন সাহাবিয়্যা হলেন হযরত মায়মুনা বিনতে সা’দ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম’র খাদেমাদের মধ্যে তিনি খুব প্রসিদ্ধ। হযরত মায়মুনা বিনতে সা’দ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা রাবীও ছিলেন। তিনি প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম থেকে অসংখ্য হাদীস বর্ণনা করেছেন। তাঁর থেকে একদল সাহাবীও হাদীস গ্রহণ করেছেন। তাঁর বর্ণিত হাদীস সিরিয়াবাসীদের নিকট বেশ গ্রহণযোগ্যতা লাভ করে। তাঁর বর্ণিত হাদীসের মধ্যে প্রসিদ্ধ কয়েকটি হল- বায়তুল মুকাদ্দাসের ফযিলত, পেশাবের ফোঁটা থেকে রক্ষা না হওয়ার দরুণ কবরের আযাব সাব্যস্তকরণ, পোশাকের ধরণ বর্ণনা সম্বলিত হাদীস ইত্যাদি।

৫. উম্মে আয়াশ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা
প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম’র বারেগাহে খিদমতকারী সাহাবিয়্যাদের মধ্যে হযরত উম্মে আয়াশ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা’র বর্ণনাও পাওয়া যায়। তিনি নবী তনয়া হযরত রুক্বাইয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহাকে অযু করিয়ে দিতেন। তাঁর বর্ণিত একটি হাদীস পাওয়া যায়। তিনি বলেন আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘‘উম্মে কুলসুম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা’র বিয়ে মহান আল্লাহর নির্দেশে সংঘটিত হয়েছে।’’

উপরে বর্ণিত সাহাবিয়্যাগণ ছাড়াও আরো অনেক প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম’র বারগাহে খিদমত করার সৌভাগ্য অর্জন করেছেন। তবে তাঁরা তেমন প্রসিদ্ধ পায়নি বা তাঁদের বর্ণনা তেমন পাওয়া যায়নি। তখনকার মুসলমানরা প্রিয়নবীকে অধিক পরিমাণে মুহাব্বত করতো যার ফলে নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম’র সেবা করার সামান্য সুযোগও হাতছাড়া হতে দিত না। যারা প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামকে অন্তর থেকে ভালোবাসবে তাঁর হুকুম মেনে চলবে নিঃসন্দেহে তাঁরা মহান। মহানবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম’র খিদমতকারী মহিয়সী নারীরাও সম্মান প্রাপ্তিতে অগ্রগণ্য। মহান আল্লাহ্ আমাদের তা বুঝার তাওফীক দান করুন। আ-মী-ন।

লেখক: শিক্ষার্থী- জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মহিলা মাদ্রাসা, চট্টগ্রাম।

শেয়ার
  •  
  •  
  •  
  •