গাউসিয়াতের মিশনে নারী
জোবেদা খানম
====
মহান আল্লাহ পাকের অমূল্য বাণী
وَمَنْ يَعْمَلْ مِنَ الصَّالِحَاتِ مِنْ ذَكَرٍ أَوْ أُنْثَىٰ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَأُولَٰئِكَ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ وَلَا يُظْلَمُونَ نَقِيرًا ﴿١٢٤﴾
অর্থাৎ, ‘এবং যা কিছু সৎ কাজ করবে, পুরুষ হোক, কিংবা স্ত্রীলোক এবং যদি হয় মুসলমান, তবে তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে এবং তাদেরকে অনু পরিমাণও কম দেয়া হবেনা। [সূরা নিসা-১২৪]
সৃষ্টির শুরু থেকে এ যাবৎ মানব ইতিহাস লক্ষ্য করলেই বোঝা যায় যে, যে সকল ধাপ ও স্তর অতিক্রমের পরিক্রমায় মানবজাতি আজ বর্তমান প্রেক্ষাপটে উত্তীর্ণ হয়েছে তাতে নারী পুরুষ উভয়েরই সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও ভূমিকা রয়েছে। কবি নজরুলের ভাষায়,
“এ বিশ্বে যা কিছু মহান সৃৃষ্টি চির কল্যাণকর
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর।”
[সাম্যবাদী : “নারী”]
হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ও খোলাফায়ে রাশেদীনের যুগে মহীয়সী রমণীগণ পুরুষ সাহাবীগণের পাশাপাশি আল্লাহর প্রিয় হাবীব সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর মহান আদর্শকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার কাজে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। এ ধরনের অসংখ্য উদাহরণ লক্ষ্যনীয়। যেখানে এই বিশ্বকর্ম প্রক্রিয়ায় নারীজাতির অবদান দিবালোকের ন্যায় স্পষ্টরুপে প্রতীয়মান। ঘোর তমসাচ্ছন্ন অজ্ঞতার আরবে নবী করিম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিশ্বাস স্থাপানকারী প্রথম মহিলা হলেন মা খদিজাতুল কোবরা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহা। একই সাথে ইসলামের প্রথম শহীদ হযরত সুমাইয়া রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহা, যিনি কাফেরদের অসহনীয় ও বর্বরোচিত অত্যাচার সত্ত্বেও কুফরির কাছে মাথা নত করেননি। অন্যদিকে সর্বাধিক হাদীস বর্ণনাকারীদের অন্তর্ভুক্ত রাসূল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর প্রিয় সহধর্মিনী মা আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহা। তিনি জ্ঞানের বহু শাখায় বিচরণ করেন। এমনকি তৎকালীন মহিলা সাহাবীগণ তাঁর মাধ্যমে রাসূল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম হতে বিবিধ মাসায়েলের সমাধান জেনে নিতেন। উল্লেখ্য যে, কতুবুল আউলিয়া বানিয়ে জামেয়া হযরত সৈয়্যদ আহমদ শাহ সিরিকোটি রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হিকে স্বীয় পরামর্শ ও অনুপ্রেরণা প্রদান পূর্বক চৌহর শরীফে খাজায়ে খাজেগান খাজা আব্দুর রহমান চৌহরভী রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হিরর নিকট পৌছিয়ে এ সিলসিলার সকল ভাই-বোনদের চিরঋণী করে গেছেন যিনি, তিনিও ছিলেন একজন মহীয়সী নারী, হুজুরের সহধর্মিনী সাহেবে কাশফ ও কারামত, আওলাদে রাসূল হুযূর ক্বেবলা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ আলায়হির রাহমাহ্র মা-ঈ সাহিবা রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলাইহিমা।
উপরোক্ত সকল উদাহরণ মুসলিম নারীদের অবস্থান পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, অনেক মহীয়সী রমণী স্থান, কাল, পরিস্থিতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নরম-কোমল হৃদয় থেকে শুরু করে প্রয়োজনে হক্বের পথে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত থেকে বিশ্বমুসলিমের কাছে চিরস্মরণীয়, বরণীয় ও অনুকরণীয় আদর্শ হয়েছেন এবং ইসলামের উপর তাঁদের অবিচল আস্থা ও মহানবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর প্রদর্শিত পথ ও মত প্রতিষ্ঠায় তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
অতএব, আমাদের এ আলোচনার সার্বিক মূল্যায়ন হল, নারীরা নেপথ্যে কাজ করলেও একটি আদর্শিক আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ভিত্তিক ইসলামী সমাজ বিনির্মাণে তাঁদের ভূমিকা হতে পারে অসামান্য। কারণ, পুরুষেরা সাধারণত ঘরের বাইরে কর্ম পরিক্রমা চালালেও একজন নারীই পারেন তার স্বামী, সন্তান, পরিবার-পরিজনের মাঝে বিশুদ্ধ আকীদা ও আমলের বার্তা পৌছিয়ে দিতে। তাইতো কবি নজরুল বলেন,
“রাজা করিতেছে রাজ্য শাসন
রাজারে শাসিছে রাণী
রাণীর দরদে ধুইয়া গিয়াছে রাজ্যের যত গ্লাণি”
আমরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান যে, কালের বিবর্তনে অশেষ রহমতস্বরুপ আমরা আমাদের দিকনির্দেশক, মাশায়েখ, হযরাত হিসেবে আওলাদে রাসূল তথা নবীজীর সম্মানিত বংশধরদেরকে পেয়েছি।
যেমন, রাসূল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী ঃ
অর্থাৎ, “আমি তোমাদের মাঝে অতি উত্তম দুটি বস্তু রেখে যাচ্ছি। এর একটি হচ্ছে আল্লাহর কিতাব, যাতে রয়েছে সঠিক পথ নির্দেশনা ও আলোকবর্তিকা। তোমরা একে মেনে চল এবং মজবুতভাবে ধারণ কর। আর দ্বিতীয় বস্তুটি হচ্ছে আমার আহলে বায়ত (প্রিয়তম রাসূল বার বার বলেন) আমার আহলে বায়াতের ব্যাপারে আমি তোমাদেরকে আল্লাহকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি।”
দ্বীনকে পুনর্জীবন দানকারী গাউসুল আজম আব্দুল কাদির জিলানী রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হির তরীকা সিলসিলায়ে আলীয়া কাদেরীয়ার সুযোগ্য ধারক ও বাহক হুযুর সৈয়্যদ আহমদ শাহ সিরিকোটি রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি তাঁর বেলায়তী কন্ঠে এক অনন্য মিশনের ঘোষণা দেন- হুজুর গাউসুল আজম আব্দুল কাদির জিলানী রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হির ১৯৮৬ সালে “গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ” প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সেই মিশন বাস্তবায়নের সুচিন্তিত রূপরেখা প্রণয়ন করেন তারই সুযোগ্য সাহেবজাদা মাদারজাত অলী হযরতুল আল্লামা হাফেজ ক্বারী সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ রহমাতুল্লাহি তা‘আলা আলায়হি।
তৎকালীন সময়ে এ সংগঠনের কার্যকারিতা উপলব্ধিতে না আসলে শাহযাদা হযরত সাবের শাহ (মা. জি. আ.) -এর এক প্রশ্নের প্রেক্ষিতে হুযুর ক্বেবলা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ আলায়হির রাহমাহ্ বলেছিলেন, “গাউসিয়া কমিটির কি প্রয়োজন তা এখন যেহেতু তুমি বুঝতে পারছনা, সেহেতু অপেক্ষা কর, এমন একদিন শীঘ্রই আসবে যেদিন তুমি ঠিকই বুঝতে পারবে কেন এটি করা হয়েছে। কিন্তু সেদিন আর আমি থাকবনা।”
হুজুর কেবলার এ মহান বাণীর বাস্তব প্রতিফলনস্বরূপ আমরা দেখতে পাচ্ছি, বাংলাদেশসহ প্রাচ্যে-পাশ্চাত্যে কিভাবে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ এর সৈনিক হিসেবে পুরুষ ভাইয়েরা গাউসিয়াতের এই মিশনের খেদমতে বিশেষ অবদান রেখে যাচ্ছেন।
বলা হয়ে থাকে, বর্তমান যুগ আধুনিক ও তথ্য প্রযুক্তির যুগ। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের সমাজের নারীরাও বিভিন্ন অঙ্গনে নিজেদের কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছেন। ব্যক্তিগত থেকে রাষ্ট্রীয়, এমনকি আন্তর্জাতিক পর্যায়গুলোতেও আজকাল নারীদের প্রভাব লক্ষণীয়। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের হলেও চরম সত্য এটাই যে, পাশ্চাত্য অপসংস্কৃতির করাল থাবা ও আধুনিকতার নামে প্রবল উন্ন্যাসিকতা আজ আমাদের নারী সমাজকে কলুষিত করে তুলছে। অপরদিকে বাতিল আক্বিদাপন্থী, বদমতলবী ফিরকাসমূহ ইসলামের সঠিক মূলধারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত এর মধ্যে ছেদ ঘটাতে নানান বেশভূষার, ধর্মীয় আদর্শের নামে বহুরূপী কিছু মহিলাকে ঘরে ঘরে প্রবেশ করিয়ে আমাদের মা বোনদের চরম বিভ্রান্তি ও ভ্রষ্টতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তাই প্রথমোক্ত আয়াতে কারীমায় আল্লাহর নির্দেশ প্রতিপালনের পাশাপশি বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতে আমাদের নারী সমাজকে ও পুরুষদের সাথে তাল মিলিয়ে আক্বীদা, আমলগত দিক দিয়ে পরিশুদ্ধি অর্জনপূর্বক বাতিলদের প্রতিরোধকরণে একতাবদ্ধ ও সংগঠিত হওয়া একান্তই সময়ের দাবি ছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সালে হুজুর কেবলা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহা (মা. জি. আ.)ও শাহাজাদা হামেদ শাহ (মা. জি. আ.) কর্তৃক উদ্বোধনের মাধ্যমে শুরু হয় “গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ মহিলা শাখা”র অগ্রযাত্রা। মহিলা শাখা গঠনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বলতে গিয়ে উদ্ভোধনী বক্তব্যের এক পর্যায়ে শাহাজদা হুযুর বলেন,
“খাওয়াতিন ইউনিট, দ্বীন আওর সিলসিলে কা পয়গাম ঘর ঘর পৌঁছায়েগা।” (অর্থাৎ এ মহিলা ইউনিট দ্বীন ও সিলসিলার বাণী ঘরে ঘরে পৌঁছাবে।
আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের বাৎসরিক সকল কর্মসূচি মাঠে ময়দানে বাস্তবায়ন করার জন্য একমাত্র অঙ্গ সংগঠন গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ। এর ধারাবাহিকতায় গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ মহিলা শাখা কর্তৃক দেশের দিশেহারা বৃহৎ নারী অঙ্গনে সঠিক ঈমান, আক্বিদা, শরিয়ত ও ত্বরিকতের পাশাপাশি পর্দার ব্যাপারে সচেতন করার লক্ষ্যে দাওয়াত পৌছানোর মিশন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, আলহামদুলিল্লাহ।
এ ছাড়াও তিনি মহিলা শাখা গঠন করার জন্য আনজুমান ও গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে মোবারকবাদ জানিয়ে এ কমিটিকে আল্লাহর এক বিশেষ নেয়ামত হিসেবে ব্যক্ত করেন।
আওলাদে রাসূলের উক্ত দিকনির্দেশনাবলীকে আলোকবর্তিকা হিসেবে সামনে রেখে গাউসিয়া কমিটি মহিলা শাখা আজ চতুর্থ কর্ম বছরে উপনীত হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ।
এ যাবৎ ষোলশহরস্থ আলমগীর খানেকাহ শরীফে প্রায় ৮০ টি ও ৮টি এলাকাভিত্তিক দাওয়াতে খায়র মাহফিল, সাপ্তাহিক পাঠ আসর, মাহে রমযানব্যাপী মহিলা প্রশিক্ষক দ্বারা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ৩টি সফল “সহীহ কুরআন তেলাওয়াত ও জরুরী মাসায়েল শিক্ষা কোর্স” আয়োজন, বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মশালা, ৫ দিন ব্যাপী ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম মাহফিল, বন্যাদূর্গতদের ত্রাণ কর্মসূচি, রমযানে দুঃস্থদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ ইত্যাদি বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্যক্রম সহ অজ¯্র বিষয় ভিত্তিক আলোচনা সভা, সেমিনার ও ওরস মাহফিল এবং এলাকা ভিত্তিক শাখা কমিটি গঠন তৎপরতা চালিয়েছে। কমিটির প্রকাশনা বিভাগ হতে প্রথমবারের মত প্রায়োগিক তাজবীদের উপর চিত্রভিত্তিক বই ‘আল-মু‘আল্লিম’, মৃতব্যক্তির গোসল ও কাফনের বিষয়ে সচিত্র পুস্তিকা আসন্ন রবিউল আওয়াল শরীফে প্রকাশ পেতে যাচ্ছে। ইন-শা-আল্লাহ।
তাছাড়াও, পাঠাগার ও আই টি বিভাগের অধীনে কমিটির সকল কার্যক্রম প্রযুক্তি নির্ভরভাবে পরিচালিত হচ্ছে এবং কর্মীগণ একটি সুন্নীয়ত ভিত্তিক নারী সমাজ বিনির্মাণে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, মাত্র চার বছরের ব্যবধানে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মহিলা মাদ্রাসার ছাত্রী ও সাধারণ মহিলা নির্বিশেষে প্রায় ১৫০০ জন সদস্যা রয়েছেন। তাই বর্তমান নারী সমাজের আক্বীদাগত বিভ্রান্তি ও সামাজিক ক্রমাবনতি প্রতিরোধ করতে এমন একটি প্রতিষ্ঠিত সংগঠন থাকা আমাদের সুন্নী মা-বোনদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয়।
অতএব, নিজ আক্বীদা-আমল সংরক্ষণের মাধ্যমে সুন্নিয়তের প্রচার-প্রসার ও বাতিলদের বিভ্রান্ত রোধে সক্রিয় ও সচেতন হওয়া সময়ের দাবী। গাউসিয়াতের ঝান্ডাকে বিশ্ব মুসলিম সমাজে উত্তোলিত করার এক মহান দ্বীনি খেদমতের ব্রত ও মিশন নিয়ে এগিয়ে চলছে এ সংগঠন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সিলসিলার মাশায়েখ হযরাতের নিগাহে করমের বরকতে এগিয়ে চলেছে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ। গাউসিয়াতের এই মহান মিশনে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই সুশিক্ষিত ও প্রশিক্ষিত হয়ে, নিজস্ব স্বকীয়তাকে অলঙ্কার মনে করে এতে অংশগ্রহণ ও আন্তরিক সমর্থনপূর্বক গাউসে পাকের পতাকাতলে প্রত্যাশাপূর্ণ স্বপ্নময় সফলতার দিকে এগিয়ে গিয়ে নিশ্চিত করুন দুই জাহানের কল্যাণ-শান্তি ও সর্বোপরি, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম’র সন্তুষ্টি। আল্লাহ আমাদেরকে তৌফিক দান করুন।
আ-মী-ন। বিহুরমাতি সায়্যিদিল মুরসালীন।
লেখিকা: সাধারণ সম্পাদক – গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ মহিলা শাখা।