মুহাম্মদ ইদ্রিস রেজভী, বৈরাগ, আনোয়ারা, চট্টগ্রাম=
প্রশ্নঃ ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিতে কাদিয়ানীদের উপযুক্ত শাস্তি কি? কাদিয়ানীদের প্রতিষ্ঠাতা কে, তার আবাসস্থল কোথায়? কেন সে ফিতনার গোড়াপত্তন করলো? বিস্তারিত জানতে আগ্রহী।
উত্তরঃ মুসলিম বিশ্বের সমস্ত আলেম, ফকীহ ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে ফতোয়া দিয়েছেন যে, কাদিয়ানী মতবাদ কুফুরী মতবাদ। তারা আমাদের প্রিয় রসূল খাতামুন্ নাবীয়্যীন, শাফীঊল মুযনিবীন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’কে শেষনবী স্বীকার করে না। অথচ, পবিত্র কোরআনের ফায়সালা হলো-
مَاکَانَ مُحَمَّدٌا اَبَا اَحَدٍ مِّنْ رِّجَالِکُمْ وَلَکِن رَّسُوْل اللّٰہ وَخَاتَمَ النَّبِیِیِّن (سورۃ الاحزاب(
অর্থাৎ-“হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তোমাদের কারো পিতা (সাধারণ মানুষ) নন, বরং তিনি হলেন আল্লাহর প্রিয় রসূল এবং সর্বশেষ নবী।”[সুরা আহযাব]
কাদিয়ানী মতবাদের প্রবর্তক পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের গুরুদাসপুরের অন্তর্গত কাদিয়ান নিবাসী মীর্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (জন্ম ১৮৩৫, মৃত্যু ১৯০৮ ইংরেজী) এক ভন্ডনবী। মূলত: সে ইংরেজ শাসকদের ক্রীড়নক হিসেবে সরলমনা মুসলিম মিল্লাতের ঈমান আকীদাকে বিনষ্ট করার অপপ্রয়াসে লিপ্ত হয়েছিল। মনে রাখতে হবে- সমগ্র পৃথিবীব্যাপী মুসলমানদের আদি শত্র“হলো ইহুদী ও নাসারা এ দু’টি শ্রেণী। এরা যুগে যুগে মুসলমানদের মাঝে দ্বন্দ্ব-কলহ সৃষ্টি করে তাতে ইন্ধন দিয়ে আসছে এবং মুসলমানদের মধ্য থেকেই কিছু লোককে কৌশলে প্রয়োজনে অর্থের বিনিময়ে তাদের অনুগত বানিয়ে মুসলমানদের ঐক্যে ফাটল সৃষ্টি করে বৃহত্তর মুসলিম শক্তিকে দুর্বল করে দেয়ার প্রয়াসে রত। আর তারই একটি ধারাবাহিকতার ফলশ্র“তি হলো কাদিয়ানী ফিতনা। সুতরাং তাদের ব্যাপারে প্রতিটি মুসলমানদের সচেতন থাকা দরকার যেন কোন প্রতারণার শিকার হয়ে নিজেদের মূল্যবান ঈমান হারিয়ে না ফেলে।