হাফেজ মুহাম্মদ নূরুল বাশার, সৈয়দপাড়া, নানুপুর, ফটিকছড়ি =
প্রশ্নঃ ঢাকার তুরাগ নদীর তীরে প্রতি বৎসর বিশ্ব ইজতেমা উদ্যাপিত হয়। যাতে বিশ্বের দেশ বরেণ্য অনেক মুসলিম ভাইয়ের সমাগম হয়। যা নিয়ে এক শ্রেণীর লোক খুবই গর্বের সাথে বলে থাকেন- পবিত্র হজ্ব মোবারকের পর এটা দ্বিতীয় মুসলিম সমাবেশ। এরূপ বলার ভাষা ও ইসলামের স্তম্ভ পবিত্র হজ্বের সাথে তুলনা করা কতটুকু গ্রহণীয়? ব্যাখ্যা সহকারে উত্তরদানে খুশী করবেন।
উত্তরঃ টঙ্গীর ইজতেমা সম্পর্কে এ ধরণের বেশ কিছু অলিক, উদ্ভট আর হাস্যকর মন্তব্য-ধারণা শোনা যায়, যা একজন সত্যিকার মুসলমান মেনে নিতে পারে না। অধিকন্তু কোরআন-সুন্নাহ্ বিরোধী এ জাতীয় কথাবার্তা বাতিল ফিরকা ওহাবীদের মুখেই মানায়।
মূলতঃ টঙ্গীর ইজতেমার আয়োজকরা হলো ওহাবী-দেওবন্দী আক্বীদার অনুসারী। এদের মতবাদটাই কাল্পনিক। এরাই কিতাবে লিখেছে- ‘আল্লাহ্ মিথ্যা বলতে পারেন’।
এরাই বলে থাকে- ‘নামাযে হুজূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেয়াল আসা গরু-গাধার খেয়াল আসার চাইতেও মারাত্মক’।
কোরআন-সুন্নাহ্ বিরোধী ঈমান বিধ্বংসী অসংখ্য আক্বীদা বুকে ধারণ করে গাড়ি নিয়ে এরা ঘুরে এ প্রান্তর থেকে অন্য প্রান্তরে।
আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, এদের আমীর (প্রতিষ্ঠাতা) ইলিয়াছ মেওয়াতী। যে পরোক্ষভাবে নিজেকে নবী দাবী করতেও কুন্ঠাবোধ করেনি।-
[মলফুজাতে ইলিয়াস মেওয়াতী ও আল্লামা আরশাদুল কাদেরী প্রণীত ‘তাবলীগী জামাআত’।
[সূত্র. যুগ-জিজ্ঞাসা, পৃ. ৭]