মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম পারভেজ, কদলপুর, রাউজান, চট্টগ্রাম =
প্রশ্নঃ আমি মাকছুদুল মো’মেনিন বইয়ে পড়েছি, ‘‘মুর্দার রূহের শাফায়াতের জন্য ৪/১০ ইত্যাদি কোন তারিখ ঠিক রাখিয়া খাওয়ানো হারাম।’’ যদি এ রকম তারিখ ঠিক রাখিয়া খাওয়ানো হারাম হয়, তাহলে আমরা যে, মৃত মানুষের মেজবান তারিখ ঠিক করিয়া থাকি তা কি হারাম হবে?
উত্তর: দিন তারিখ নির্ধারণ করে কোন আমল করা বা ইবাদত-বন্দেগী করা বা ঈসালে সাওয়াবের মাহফিল করা নিশ্চয়ই ঐ কাজের শৃঙ্খলার প্রমাণ। সুনির্দিষ্ট নিয়মনীতি আর শৃঙ্খলার অনুসরণ না করলে কোন কাজেই সফলতা আসে না।ইসলামের প্রতিটি কর্মই নিয়মতান্ত্রিক এবং সুশৃঙ্খল। বিশৃঙ্খলার সুযোগ ইসলামে নেই। সুতরাং দিন তারিখ ঠিক না করে ইসলামের কোন কাজ করা মানে ইসলামকে শৃঙ্খলা বিবর্জিত ধর্মে রূপান্তরের নামান্তর। মৃত ব্যক্তির ঈসালে সাওয়াবের উদ্দেশ্যে দিন তারিখ ঠিক করে কোন জেয়াফতের আয়োজন করা হারাম এই জাতীয় ফতোয়া নিঃসন্দেহে গোমরাহী ও হাস্যকর।
ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলি যেমন- পাঞ্জেগানা ফরজ নামায, মাহে রমজানের ফরজ রোযা, হজ্ব, কোরবানী, জুমু’আ, দু’ঈদের নামায ও আশুরা ইত্যাদি নির্ধারিত তারিখ ও সময়ের উপরেই প্রবর্তিত। বিয়ে-শাদী, জোড়া ইত্যাদির ক্ষেত্রে যদি দিন-তারিখ ঠিক না করে, তাহলে সুষ্ঠুভাবে আঞ্জাম দেয়ার কোন উপায়ই নেই। সুতরাং, মৃত ব্যক্তির মাগফিরাত কামনায় দিন-ক্ষণ ঠিক করে ফাতিহাখানী, জিয়াফত, ঈসালে সাওয়াব ইত্যাদি করা যাবে না মর্মে বকাবকি করা বর্তমান বিজ্ঞানের চরম উন্নতির যুগে হাস্যকর ও পাগলামী ছাড়া আর কী! এ সমস্ত বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জনের নিমিত্তে বাজে বই-পুস্তক না পড়ে হক্কানী পারদর্শী সুন্নী অভিজ্ঞ ওলামায়ে কেরামের নির্ভরযোগ্য বই-পুস্তক, যেমন- গুলজারে শরীয়ত, আমলে শরীয়ত, কানুনে শরীয়ত এবং মুফতী আমজাদ আলী রহমাতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক রচিত জ্ঞবাহারে শরীয়তঞ্চ ইত্যাদি পড়ার পরামর্শ রইল।