জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া ময়দানে অনুষ্ঠিত গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পরিষদ আয়োজিত দাওয়াতে খায়র কনভেনশনে সভাপতির বক্তব্যে আওলাদে রাসূল, আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ পীর সাবির শাহ (মজিআ) বলেছে

ন, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া আল্লামা সৈয়দ আহমদ শাহ সিরিকোটির (র.) এর নামে হয়েছে। এটির সবচেয়ে বড় কিরামত হচ্ছে জামেয়া সুন্নি মুসলমানদের ঐক্যের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। আল্লামা সৈয়দ আহমদ শাহ্ সিরিকোটি প্রতিষ্ঠিত এ জামেয়ার মাধ্যমে সুন্নিয়তের জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। জামেয়ার আদলে ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে শতাধিক মাদরাসা, আলমগীর খানকাহ্সহ বাংলাদেশে হাজারো খানকাহ্ ও মসজিদ প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে দ্বীনি আলেম বের হচ্ছে। হুজুর কেবলা আল্লামা তৈয়্যব শাহ্ (র.) গাউসিয়া কমিটি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ত্বরিকত ও ইসলামের প্রচারে যে জাগরণ সৃষ্টি করেছেন তাকে যথার্থ রূপ দেওয়ার জন্য হজরাতে ক্বেরামের পক্ষ থেকে গাউসিয়া তারবিয়াতি নেসাবের ভিত্তিতে দাওয়াতে খায়র কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এই দাওয়াতে খায়র কর্মসূচি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নির্দেশিত পন্থায় কার্যকর করতে হবে। যা নবী (দ.), সাহাবায়ে ক্বেরাম, আউলিয়া ক্বেরাম ও বুজুর্গানে দ্বীনরা করে আসছেন।
কনভেনশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওলাদে রাসূল আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ আহমদ শাহ (ম.জি.আ) ইসলামের প্রাথমিক যুগের সর্বশ্রেষ্ঠ ইসলামি আইনবিদ, মাজহাবের ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বলের (রা.) একটি আমলের বর্ণনা দিয়ে বলেন, ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল ইসলামী দর্শন ও জ্ঞানের প্রচার-প্রসারে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন রাজ্যে সফর করেছেন। ইলমে কুরআন, ইলমে হাদিস ও ইলমে ফিকহ্’র শিক্ষা দিয়েছেন। তাঁর জীবনের সফলতার পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছিল রাসূলে পাক (দ.) এর প্রতি ভালোবাসা, আর অন্যটি ছিল ‘সোবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়ালাইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবর’ তাসবিহটি। তিনি বলেন, দাওয়াতে খায়র হজরাতে ক্বেরামের প্রদত্ত একটি নেয়ামত। এর মাধ্যমে তরিকতের ভাইয়েরা নিজেদেরকে প্রকৃত তাক্ওয়াবান মুসলমান হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন।
গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কনভেনশনে বক্তব্য রাখেন আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব মুহাম্মদ মহসিন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সেক্রেটারি জেনারেল আলহাজ্ব মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন গাউসিয়া কমিটির চেয়ারম্যান পেয়ার মুহাম্মদ কমিশনার ও বক্তব্য রাখেন আল্লামা মুফতি ওবাইদুল হক নঈমী। অতিথি ছিলেন মুহাম্মদ সামশুদ্দিন, সিরাজুল হক, গিয়াস উদ্দিন সাকের, অধ্যাপক কাজী সামশুর রহমান, তৈয়বুর রহমান, নরুল আমিন, নূর মোহাম্মদ, প্রফেসর দিদারুল ইসলাম, আনায়ারুল হক, সাহজাদ ইবনে দিদার, অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ার, মাহবুবুল হক খান, মাহবুব এলাহি শিকদার, আবুল মনসুর, মাহবুবুল আলম, কমরুদ্দিন সবুর, হাবিবুল্লাহ মাস্টার, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী, সাদেক হোসেন পাপ্পু।
বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ আল্লামা মুফতি সৈয়দ অছিয়র রহমান, আল্লামা এম এ মান্নান, অধ্যাপক মাওলানা জালাল উদ্দিন আল আজহারী, মাওলানা মুজাম্মেল হক, মাওলানা ইমরান কাদেরী, মাওলানা ফেরদৌস আলম আলকাদেরী, মাওলানা আবদুল খালেক, মাওলানা হারুন উর রশীদ চৌধুরী প্রমুখ। খবর বিজ্ঞপ্তির।