শানে রিসালত : মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল মান্নান
হুযূর-ই আকরাম নবীগণ আলায়হিমুস্ সালাম-এর গুণাবলীর ধারক
আল্লাহ্ তা‘আলা এরশাদ করেন- وَاِنَّكَ لَعَلى خُلُقٍ عَظِيْمٍ
তরজমা: নিশ্চয় আপনার চরিত্র মহান মর্যাদারই। [কান্যুল ঈমান: সূরা ক্বালাম, আয়াত- ৪]
এ আয়াত শরীফ হুযূর-ই আক্বদাস সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর সুস্পষ্ট না’ত (প্রশংসা)ই। এতে হুযূর আলায়হিস্ সালাতু ওয়াস্ সালাম-এর চরিত্রকে ‘আযীম’ (মহান) বলা হয়েছে। خُلُقٍ (খুলুক্ব) আরবীতে ‘অভ্যাস বা স্বভাব’কে বলা হয়, যার কারণে ভাল কাজ খোদ-বখোদ (অনায়াসে) সম্পন্ন হয়, তজ্জন্য কষ্ট করতে হয় না। সুতরাং আয়াতের মর্মার্থ দাঁড়ালো- ‘আপনি যে পরিমাণ উন্নত কার্যাদি সম্পন্ন করেছেন সেগুলো হচ্ছে- আপনার পবিত্র স্বভাবই। এজন্য আপনার কষ্ট হয় না। এটাকেই ক্বোরআন-ই করীম বর্ণনা করেছে- وَمَا اَنَا مِنَ الْمُكَلَّفِيْنَ অর্থাৎ ‘‘আমি আমার চরিত্রে লৌকিকতা অবলম্বন করি না।’’ আয়াত শরীফে ‘আযীম বলে একথা বলে দেওয়া হয়েছে যে, যদি কেউ চায় যে, সে হুযূর আলায়হিস্ সালাতু ওয়াস্ সালাম-এর গুণাবলী ও চরিত্র গণনা করবে, তবে সে তা করতে পারবে না। কেননা, দুনিয়ার নি’মাতের সংখ্যা খুব অল্প, এরশাদ হয়েছে- قُلْ مَتَاعُ الدُّنْيَا قَلِيْلٌ (হে হাবীব! আপনি বলে দিন, ‘‘দুনিয়ার সামগ্রী স্বল্প,’’ কিন্তু এ স্বল্পকে কেউ গণনা করে শেষ করতে পারে না। সুতরাং যাকে মহান রব ‘আযীম’ (মহান) বলেছেন, সেটাকে গণনা কে করতে পারবে?
‘তাফসীর-ই রূহুল বয়ান’ প্রণেতা মহোদয় এ আয়াতের তাফসীর (ব্যাখ্যায়)-এ লিখেছেন- হুযূর আলায়হিস্ সালাতু ওয়াস্ সালামকে আল্লাহ্ তা’আলা হযরত নূহ্ আলায়হিস্ সালাম-এর শোকর (কৃতজ্ঞতা প্রকাশ), হযরত ইব্রাহীম আলায়হিস্ সালাম-এর ‘খুল্লার’ (আল্লাহর ঘনিষ্ট ভালবাসা), হযরত মূসা আলায়হিস্ সালাম-এর ‘ইখলাস’ (নিষ্ঠা, হযরত ইসমাঈল আলায়হিস্ সালাম-এর সত্যবাদিতা, হযরত ইয়াক্বুব ও হযরত আইয়ূব আলায়হিমাস্ সালাম-এর ধৈর্য, হযরত দাঊদ আলায়হিস্ সালাম-এর ওযর (অপারগতা স্বীকার), হযরত সুলায়মান আলায়হিস্ সালাম ও হযরত ঈসা আলায়হিস্ সালাম-এর বিনয় এবং সমস্ত নবী আলায়হিমুস্ সালাম-এর যাবতীয় চরিত্র দান করেছেন। এ জন্যই এরশাদ করেছেন- فَبِهُدَاهُمُ اقْتَدِه (আপনি তাদের সবার পথে চলুন!) অর্থাৎ সমস্ত সম্মানিত নবীর যাবতীয় গুণাবলীর আপনি ধারক হয়ে যান।
হযরত আয়েশা সিদ্দিক্বাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহাকে কেউ জিজ্ঞাসা করলেন- হুযূর আলায়হিস্ সালাতু ওয়াস্ সালাম-এর চরিত্র কেমন ছিলো? তিনি বললেন, ‘‘ক্বোরআন।’’ এর দু’টি অর্থ- একটি হলো ‘‘ক্বোরআন অনুসারে আমল (কাজ) করা হুযূর-ই আকরামের যিন্দেগী শরীফ ছিলো। এ কারণে কেউ কেউ বলেন, যে ব্যক্তি হুযূর-ই আকরামকে স্বচক্ষে দেখতে চায়, সে যেন ক্বোরআন মজীদকে চায়। কেননা, ক্বোরআন মজীদ হচ্ছে- হুযূর-ই আকরাম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম পবিত্র জীবনের নিরব চিত্র। অথবা এভাবে বলুন, ‘‘এটা হচ্ছে ক্বওল (মুখের বাণী) আর ওই ছিলো ‘হাল’ (অবস্থার ভাষা)।
হযরত আয়েশা সিদ্দিক্বাহ্র উক্ত মন্তব্যের দ্বিতীয় অর্থ হচ্ছে- এও হতে পারে যে, যেভাবে ক্বোরআন-ই করীম একটি অকুল সমুদ্র, তেমনি হুযূর আলায়হিস্ সালাতু ওয়াস্ সালাম-এর চরিত্রের শেষ নেই। তাফসীর-ই রূহুল বয়ান-এর প্রণেতা মহোদয় এখানেই বলেছেন- হুযূর আলায়হিস্ সালাতু ওয়াস্ সালাম-এর চরিত্র হচ্ছে মহান রবকেই ইখতিয়ার বা অবলম্বন করা এবং মাখলূক্ব থেকে পৃথক থাকা। অনুরূপ, তাফসীর-ই ‘রূহুল বয়ান’-এ এখানেই বর্ণনা করা হয়েছে যে, মি’রাজে মহান রাব্বুল আলামীন হুযূর আলায়হিস্ সালাতু ওয়াস্ সালাম-এর সামনে একদা চাবি গুচ্ছ উপস্থাপন করলেন। তিনি সেগুলো গ্রহণ করেননি, সমস্ত ফেরেশতা এবং জান্নাত ও সেখানকার নি’মাতগুলো দেখালেন। কিন্তু তিনি সেদিকে ফিরেও দেখলেন না, বরং তিনি মহান রবকেই গ্রহণ করলেন। এ জন্য মহান রব এরশাদ করেছেন- مَا زَاغَ الْبَصَرُ وَمَا طَغىٰ (তরজমা: মাহবূবের দৃষ্টি আপন রবের দিক থেকে ফিরেনি। আল্লাহ্ তাঁর উপর রহমত ও শান্তি বর্ষণ করুন।
হাদীস শরীফে এরশাদ করা হয়েছে- মুসলমানদের উচিৎ উত্তম ও পবিত্র চরিত্র অবলম্বন করা। কারণ, এটা জান্নাতীর আলামত। পক্ষান্তরে অসৎ চরিত্র থেকে বেঁচে থাকা চাই। কারণ, এটা হচ্ছে- জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাবার বস্তু।
এখন আমাদের চরিত্র কিরূপ হওয়া চাই সেটা দু’টি শব্দে আরয করতে চাই- ১. মুসলমানদের উপর দয়ালু এবং ২. কাফিরদের উপর কঠোর। আল্লাহ্ তা‘আলা এরশাদ ফরমান- اَشِدَّاءُ عَلَى الْكُفَّارِ رُحْمَاءُ بَيْنَهُمْ ; সুতরাং যদি কেউ তোমার ব্যক্তিগত বিষয় ক্ষতি করে ফেলে, তবে তাকে ক্ষমা করে দাও। কিন্তু যদি কেউ দ্বীনের ক্ষতি করতে চাই, তাকে পিছু ধাওয়া করো।
হুযূর আলায়হিস্ সালাতু ওয়াস্ সালাম তায়েফে দ্বীন প্রচারের জন্য তাশরীফ নিয়ে গেলেন। সেখানকার লোকেরা অনেক বেয়াদবী করলো, এমনকি তাঁকে রক্তাক্ত করে ফেললো। হযরত জিব্রাঈল আমীন এসে আরয করলেন, ‘‘হুযূর! আপনি দো’আ করুন। যেন এখনই তাদেরকে ধ্বংস করে ফেলা হয়। কিন্তু হুযূর-ই আকরাম বললেন, ‘‘হে আল্লাহ্! এ পাথর বর্ষণ কারীদের উপর রহমতের ফুল বর্ষণ করুন!’’ হযরত জিব্রাঈল আরয করলেন, ‘‘হে আল্লাহর হাবীব! এরাতো ঈমান আন্বে না।’’ হুযূর-ই আকরাম এরশাদ করলেন, ‘‘আশা করি তাদের সন্তানগণ ঈমান আনবে।’’
এ’তো ব্যক্তিগত বিষয়ে দয়া ও বদান্যতা! কিন্তু একবার এক নারী চুরি করলো, হুযূর আলায়হিস্ সালাতু ওয়াস্ সালাম তার হাত কেটে ফেলার নির্দেশ দিলেন। লোকেরা তাকে ক্ষমা করার সুপারিশ করলেন। কিন্তু হুযূর-ই আকরাম এরশাদ করলেন, ‘‘এটা খোদায়ী শাস্তি। এটা ক্ষমা করা যাবে না।’’
এ হলো হযরত মুহাম্মদুর রসূলুল্লাহ্র চরিত্র। আজকাল মুসলমানরা মনে করছে যে, বদ-মাযহাবী (বাতিলপন্থী)দের প্রতি শিথিলতা অবলম্বন করা এবং মুসলমানদের প্রতি শত্রুতা পোষণ করা হচ্ছে উত্তম চরিত্র। (এটা মোটেই সঠিক নয়। কারণ) যদি বে-দ্বীনদের প্রতি কঠোরতা অবলম্বন না করা ইসলামী চরিত্র হয়, তবে জিহাদ কার বিরুদ্ধে করা হয়েছে? সাপ মেরে ফেলা এবং ক্ষেতের আগাছা উপড়ে ফেলাই উত্তম কাজ।
হুযূর-ই আকরামকে গায়বের ইলম দেওয়া হয়েছে
আল্লাহ্ তা’আলা এরশাদ ফরমান-عَالِمُ الْغَيْبِ فَلَا يُظْهِرُ عَلى غَيْبِه اَحَدٌ اِلَّا مَنِ ارْتَضى مِنَ رَّسُوْلٍ-
এ আয়াত শরীফও হুযূর আলায়হিস্ সালাতু ওয়াস্ সালাম-এর পবিত্র না’ত বা প্রশংসা। এটা হুযূর-ই আকরামের ইল্মে গায়ব (অদৃশ্য জ্ঞান)-এর বিষয়টি প্রকাশ করছে। এতে এরশাদ করা হয়েছে- মহান বিশ্ব প্রতিপালক ‘গায়ব’ (অদৃশ্য) সম্পর্কে সম্যক অবগত এবং তিনি নিজের খাস গায়বের উপর কাউকে কর্তৃত্ব দেন না- আপন খাস পয়গাম্বর ব্যতীত অন্য কাউকে।
এ আয়াত শরীফে দু’টি জিনিষ বিশেষভাবে লক্ষণীয়- ১. আল্লাহ্ তা’আলার খাস গায়ব কি? এবং ২. এ গায়বের উপর কর্তৃত্ব দেওয়া। ‘গায়ব’ বলে- যাকে চোখ, কান ও নাক ইত্যাদি ইন্দ্রীয় দ্বারা অনুধাবন করা যায় না, না তাৎক্ষণিকভাবে বিবেকে আসতে পারে। যেমন- জান্নাত, দোযখ ইত্যাদি। এখন আমাদের জন্য মুম্বাই (বোম্বাই) ও কোলকাতা ইত্যাদির জ্ঞান অদৃশ্যের জ্ঞান (ইলমে গায়ব) নয়। কেননা, আজই গিয়ে সেটা দেখা সম্ভব, আর হাজারো মানুষ আমাদেরকে খবর দিয়েছে যে, ওগুলো দুনিয়ার দু’টি শহর। সুতরাং এটা গায়ব নয়।
‘গায়ব’ দু’প্রকার: এক. যাকে দলীল, প্রমাণ ইত্যাদি দ্বারা জানা যেতে পারে। যেমন- আল্লাহ্ তা‘আলার গুণাবলী, আল্লাহ্ পাকের অস্তিত্ব ইত্যাদি এবং দুই. যাকে দলীল ইত্যাদি দ্বারা অনুধাবন করা যায় না। প্রথমোক্ত প্রকাশের গায়ব তো রসূলগণ ব্যতীত অন্য লোকদেরকে দান করা হয়, যেমন ক্বোরআন মজীদে আল্লাহ্ তা’আলা এরশাদ করেছেন- يُؤْمِنُوْنَ بِالْغَيْبِ (তারা গায়বের উপর ঈমান আনে, আর দ্বিতীয় প্রকারের গায়ব হচ্ছে খোদা তা‘আলার গায়ব। যার কথা এরশাদ হয়েছে- غَيبِه (তার গায়ব)। এ গায়ব রসূলুল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কাউকে দেওয়া হবে না। অবশ্য, যাকে রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম স্বীয় বদান্যতায় বলে দেন, তিনি হুযূর আলায়হিস্ সালাতু ওয়াস্ সালাম-এর মাধ্যমে পাবেন। পারওয়ারদিগারে আলম আপন ‘গায়ব’ (অদৃশ্যের জ্ঞান) তাঁর খাস রসূল ব্যতীত অন্য কারো হাতের মুঠোয় (কর্তৃত্ব) দেন না। এ আয়াত থেকে বুঝা যায় যে, হুযূর আলায়হিস্ সালাতু ওয়াস্ সালামকে মহান রব তাঁর খাস গায়বী ইলম দান করেছেন। [তাফসীরে কবীর, বায়দ্বাভী ও রূহুল বয়ান]
এখন যেসব আয়াতে এমন উল্লেখ রয়েছে যে, আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কেউ গায়ব জানে না, এর অর্থ হচ্ছে ‘হাক্বীক্বী ও যাতী (মূলত: ও সত্তাগত) জ্ঞান আল্লাহ্ তা‘আলার সাথে খাস, অস্বীকৃতি রয়েছে যাতী বা সত্ত্বাগত জ্ঞানের, কিন্তু প্রমাণিত হচ্ছে ‘ইলমে আতাঈ’ (আল্লাহ্র দানক্রমে প্রাপ্ত) জ্ঞানের পক্ষে। যেমন ক্বোরআন-ই পাকে আসছে-
اِنَّ الْعِزَّةَ لِلهِ جَمِيْعًا-
(সমস্ত সম্মান আল্লাহ্রই)। তারপর এরশাদ হচ্ছে-
فَلِلّهِ العِزَّةُ وَلِرَسُوْلِه وَلِلْمُؤْمِنِيْنَ-
(সম্মান আল্লাহ্র, তাঁর রসূলের এবং মুসলমানের)। এক জায়গায় এরশাদ হয়েছে- اِنِ الْحُكْمُ اِلَّا لِلهِ (আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কারো নির্দেশ কার্যকর নয়)। অন্যত্র এরশাদ হয়েছে-
فَابْعَثُوْا حَكَمًا مِّنْ اَهْلِه وَحَكَمًا مِّنْ اَهْلِهَا-
(যখন কোন স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়ে যায়, তবে একজন সালিস স্ত্রীর পক্ষ থেকে আরেকজন স্বামীর পক্ষ থেকে প্রেরণ করো।!
এখন এসব আয়াতের মর্মার্থ এটা দাঁড়ালো যে, প্রকৃত সম্মান ও প্রকৃত নির্দেশ প্রদানের ক্ষমতাতো শুধু আল্লাহ্রই। কিন্তু আল্লাহ্র দানক্রমে মুসলমানরাও সম্মান পেয়েছে, শাসন ও মীমাংসার ক্ষমতাও। অনুরূপ, ইলমে গায়ব। হুযূর-ই আকরামকে কতটুকু ইল্ম (অদৃশ্যের জ্ঞান) দিয়েছেন, তা তো দাতা রব এবং গ্রহিতা হযরত মাহবূবই জানেন। ‘লওহ-ই মাহ্ফূয’-এ (যা হয়েছে ও হবে)-এর জ্ঞান রয়েছে। কিন্তু লওহ-ই মাহফূয আমার আক্বার জ্ঞান- সমুদ্রের একটা বিন্দু মাত্র। যেমন-‘ক্বসীদা-ই বোর্দা’র মধ্যে আছে-
وَمِنْ عُلُوْمِكَ عِلْمُ اللَّوْحِ وَاَلْقَلَمِ-
(এবং আপনার ইলমের একাংশ মাত্র হচ্ছে লওহ ও ক্বলমের)।
অবশ্য ‘যে পরিমাণ রেওয়ায়ত থেকে জানা যায় তা হচ্ছে- আযল (অনাদিকাল)- থেকে ক্বিয়ামতের দিন পর্যন্ত অনু-পরমাণু এং বিন্দু ও ফোঁটার জ্ঞান হুযূর আলায়হিস্ সালাতু ওয়াস্ সালামকে দেওয়া হয়েছে। আরশ থেকে ফরশ পর্যন্ত হুযূর-ই আকরামকে দেখানো হয়েছে। যদি কোন পাখী ও সেটার পাখা নাড়ে, তবে সেটার জ্ঞানও হুযূর-ই আক্রামকে দেওয়া হয়েছে। এর পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ হযরত মুফতী আহমদ ইয়ার খান আলায়হ্রি রাহমাহ্ কৃত ‘জা‘আল হাক্বক্বু ওয়া যাহাকাল বাত্বিলু’-এর মধ্যে করা হয়েছে। সেখানে দেখতে পারেন। এমন উত্তম বিশ্লেষণ অন্যত্র পাওয়া মুশকিল ব্যাপার।
দ্বিতীয়ত, এ আয়াত থেকে একথাও প্রতিয়মান হয় যে, আল্লাহ্ তা‘আলার ইল্মে গায়ব হুযূর আলায়হিস্ সালাতু ওয়াস্ সালাম-এর করায়ত্বে দেওয়া হয়েছে। তিনি যদি কারো প্রতি কৃপাহ্ নিবদ্ধ করেন, তবে তার সামনেও আরশ থেকে ফরশ পর্যন্ত আলোকিত হয়ে যাবে। হুযূর গাউসে পাক বলেছেন-نَظَوْتُ اِلى بِلَادِ اللهِ جَمعًا- كَحَرْدَلَةٍ عَلى حُكْمِ اتِّصَالِ-
(আমি আল্লাহর শহরগুলোর দিকে তাকালাম, সেগুলোকে আমি সরিষার দানার মত দেখেছি, যেন ওইগুলো কয়েকটা সর্ষের দানার মতো পরস্পর লেগে আছে।) মোটকথা, হুযূর আলায়হিস্ সালাতু ওয়াস্ সালাম-এর প্রতিটি গুণ বা বৈশিষ্ট্যই মহান।