প্রশ্ন করেছেন- মুহাম্মদ এহসান উদ্দীন,
ছাত্র: জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া, চট্টগ্রাম।
প্রশ্ন: পীরের আওলাদকে মুরীদগণ এবং শিক্ষকের আওলাদকে ছাত্ররা কিভাবে সম্মান করবে- জানালে উপকৃত হব।
উত্তর: মুরীদ আপন পীরকে এবং ছাত্র আপন শিক্ষককে যেভাবে সম্মান করবে, তেমনিভাবে পীর ও উস্তাদের সন্তানদেরকে সম্মান করবে। মূলত: পীর বা উস্তাদের কারণেই তাঁর সন্তান মুরীদ বা ছাত্রের কাছে সম্মানের পাত্র হয়ে থাকেন। পীর উস্তাদের সন্তানকে সম্মান করা মানে পীর ও উস্তাদকেই সম্মান করা। অতি প্রসিদ্ধ একটি বর্ণনা রয়েছে- ‘‘একদা বুখারার এক বড় ইমাম মসজিদের ছাত্রদেরকে দরস দিচ্ছিলেন এমতাবস্থায় কোন কারণ ছাড়া তিনি বার বার দরস দেয়ার/পাঠদানের মাঝখানে দাঁড়িয়ে যান। পরে ছাত্ররা এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বললেন- আমি যখন তোমাদেরকে দরস দিচ্ছিলাম ‘‘তখন আমার উস্তাদের ছেলে মসজিদের পাশে ছেলেদের সাথে খেলা করছে। যখন আমি তাকে দেখি তখন আমার উস্তাদের সম্মানার্থে দাঁড়িয়ে যাই।’’ এতে বুঝা গেল উস্তাদের বা পীরের সাথে মুরীদ বা ছাত্র যে আচরণ বা সম্মান দেখাবে ওই আচরণ বা সম্মান উস্তাদ বা পীরের সন্তানদের ও তাঁর আত্মীয়দের সাথে করবে। এটা পীর বা উস্তাদের সম্মানেরই শামিল।
তবে পীর বা উস্তাদের সন্তানকেও এমন আখলাক-সুন্দর চরিত্র ও যোগ্যতা অর্জন করা চায়, যাতে তার প্রতি স্বীয় পিতার মুরীদ বা শিষ্যগণ সম্মান করতে বাধ্য হয়ে যায়। নতুবা অযোগ্য, লম্পট, ভন্ড, প্রতারক, শরীয়ত সম্পর্কে উদাসীন এ ধরনের পীর বা উস্তাদের ছেলে-সন্তানের প্রতি সম্মান দেখানো অনেক ক্ষেত্রে আপত্তি ও প্রশ্নের সম্মুখীন হওয়া ছাড়াও ২য় কোন উপায় থাকে না। তদুপরি ফাসিক ও লম্পটকে সম্মান প্রদর্শন করা লা’নত ও অভিসম্পাতের যোগ্য হওয়ারই নামান্তর। যা পবিত্র হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। সুতরাং পীর ও উস্তাদের সন্তানকে উল্লিখিত বিষয়ে সুদৃষ্টি রাখার পরামর্শ রইল।
[তা’লীমুল মুতায়াল্লিম ও আওয়ারিফুল মা’আরিফ]