বিশ্বনবীর প্রতি অশালীনতা প্রদর্শন হতভাগা ফ্রান্সের
নির্লজ্জ অজ্ঞতা ও হঠকারিতারই বহিঃপ্রকাশ –
মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল মান্নান >
‘বা’দ আয খোদা বুযুর্গ তুঈ কিস্সা মুখতাসার। মহান ¯্রষ্টা আল্লাহ্ তা‘আলার পর সমস্ত সৃষ্টির মধ্যে হে আল্লাহর রসূল! আপনিই শ্রেষ্ঠতম।’ একথার পক্ষে ক্বোরআন (কিতাব), সুন্নাহ্, ইজমা’ ও ক্বিয়াসের প্রমাণাদি অগণিত, অসংখ্য। মুসলমান মাত্রই এগুলোতে অকৃত্রিমভাবে বিশ্বাস করে এবং এর বাস্তবতাকে নির্দ্বিধায় স্বীকার করে। এটা বিশ্বাস করা ও মেনে নেওয়া প্রতিটি মু’মিনের ঈমানেরই দাবী।
মু’মিনগণ ছাড়াও বিশ্বের অন্য ধর্মাবলম্বী কিংবা কোন কোন নাস্তিক অথচ জ্ঞান ও বিবেকসম্পন্নরাও বিশ্বনবীর শ্রেষ্ঠত্ব, সত্যতা, মহত্ব ও অতুলনীয় গুণাবলীর কথা স্বীকার করে থাকেন। বিশ্বব্যাপী আজ একথাও সুপ্রতিষ্ঠিত যে, যারা বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর উপর ঈমান এনেছে, এমনকি ঈমান থেকে বঞ্চিত হয়েও তাঁর প্রতি অকৃত্রিমভাবে শ্রদ্ধাশীল হয়েছে, তারা সবাই অকল্পনীয়ভাবে সম্মানিত, উপকৃত ও সফলকাম হয়েছে। পক্ষান্তরে, যারা বিশ্বনবীর অব্যর্থ শিক্ষাকে এবং তাঁকে সুন্দরতম আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করেনি বরং অবজ্ঞা ও অশালীনতা প্রদর্শন করেছে, তারা ঘৃৃণা, অকল্যাণ ও অকৃতকার্যতার আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। অনেকে এ দুনিয়াতেই নানা দুর্ভোগের শিকার হয়ে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে। (যেমন আবূ লাহাব), আর পরকালে তাদের জন্য অবধারিত রয়েছে কঠিন শান্তি।
এ নিবন্ধে আমি যে সমস্ত অমুসলিম মনীষী বিশ্বনবীর মহামর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্বকে স্বীকার করেছেন, তাঁদের কয়েকজনের মন্তব্য ও দ্ব্যর্থহীন স্বীকারোক্তি উল্লেখ করার প্রয়াস পাচ্ছি, যাতে ফ্রান্সের কুলাঙ্গারদের অজ্ঞতা অথবা হঠকারিতা অনায়াসে প্রকাশ পায়।
বিখ্যাত ব্রিটিশ মনীষী জর্জ বানার্ড শ বলেন-
If all the world was united under one leader, then Muhammad would have been the best fitted man to lead the people of various creeds, dogmas and ideas to peace and hppines.-George Bernard Shaw.
অর্থাৎ যদি গোটা বিশ্বের বিভিন্ন ধর্ম, সম্প্রদায়, আদর্শ ও মতবাদ সম্পন্ন মানবজাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে একনায়কের শাসনাধীনে আনা হতো, তবে একমাত্র (হযরত) মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম)ই সর্বাপেক্ষা সুযোগ্য একনায়করূপে তাদেরকে শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে পরিচালিত করতে পারতেন।
প্রসিদ্ধ গবেষক ও লেখক মাইকেল এইচ.হার্ট (Michal H. Hart) বিশ্বের একশ’ মনীষীর জীবন ও কর্ম সংগ্রহ করে একটি গ্রন্থ প্রণয়ন করেছেন। গ্রন্থটি’র নাম ‘দি হান্ড্রেড’ (The 100)। সব দিক বিচার-বিশ্লেষণ করে তিনি একশ’ মনীষীর মধ্যে আমাদের আক্বা ও মাওলা বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামকে প্রথমে এনেছেন। লেখাটার শুরুতেই তিনি লিখেছেন-
He was the only man in history who was supremely sucessful on both the religeous and secular livels. Mohammad founhded and promulgated one of the world’s great religions, and became an emmensely effective political leader. Today, thirteen centuries after his death, his influeuce is slill powerful and pervasive.
অর্থ: ইতিহাসে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি, যিনি চূড়ান্তভাবে সফল, ধর্মীয় ও সাংসারিক (পার্থিব) উভয় দিক দিয়ে। হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম) প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্বের একটি সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম (ইসলাম)-এর আর তিনি হয়েছেন এক বিশাল কল্যাণকর ও ক্ষমতাশীল রাজনৈতিক লিডার, আজ তাঁর ইনতিকালের দীর্ঘ তেরশ’ (বর্তমানে ১৪০০ বছরাধিককাল) পরও তাঁর প্রভাব এখনো শক্তিশালী এবং ব্যাপ্তিশীল হিসাবে বিরাজমান।
বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম হাবশাহ্ (বর্তমান ইথিওপিয়া)’র খ্রিস্টান বাদশাহ্ আসহামাহ্ নাজাশীর প্রতি পরপর দু’টি চিঠি প্রেরণ করেছিলেন। এতে দূত হিসেবে প্রথম চিঠির বাহক ছিলেন হযরত আমর ইবনে উমাইয়া দ্বামরী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু। চিঠিটা যখন তাঁর নিকট পৌঁছলো, তখনই তিনি সেটার প্রতি খুব সম্মান প্রদর্শন করলেন। তিনি সিংহাসন থেকে নিচে নেমে যমীনের উপর বসে গিয়েছিলেন। তিনি খুব ভক্তি সহকারে চিঠিটা পড়েছেন, তারপর তাতে চুমু খেয়েছেন, দু’চোখের উপর রেখেছেন। চিঠিতে লিখিত যাবতীয় বিষয়ের সত্যায়ন করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে ধন্য হন। এরপর আরেকটি চিঠি নবী-ই আকরাম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম নাজাশীর নিকট পাঠিয়েছিলেন। তিনি ওই চিঠিও ভক্তি সহকারে গ্রহণ করে তা’তে লিখিত নির্দেশাবলী যথাযথভাবে পালন করেছেন। আরো মজার বিষয় হচ্ছে- বাদশাহ্ নাজাশী হাতির দাঁত দিয়ে বানানো একটি সিন্দুক তলব করলেন এবং হুযুর-ই আক্রাম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর চিঠি মুবারক দু’টি ওই সিন্দুকে সংরক্ষণ করেছেন। আর তিনি বলেছিলেন, এ দু’টি চিঠি শরীফ যতক্ষণ পর্যন্ত হাবশায় থাকবে, ততক্ষণ এখানে বিশেষ কল্যাণ ও বরকত থাকবে। সীরাত তথা জীবনী লেখকদের বর্ণনা মতে, এখনো পর্যন্ত হাবশায় ওই বরকতময় চিঠি দু’টি সংরক্ষিত আছে এবং হাবশাহ্বাসীরা ওই বরকতমন্ডিত চিঠি দু’টির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে।
[মাদারিজুন্নুবয়ত: ২য় খন্ড]
তদানীন্তনকালীন যেসব বাদশাহ্র নিকট হুযূর-ই আক্রাম পত্র পাঠিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে হাবশাহ্র বাদশাহ্ নাজাশী, রোম স¤্রাট হিরাক্লিয়াস, মাদাইন তথা ইরানের বাদশাহ্ কিসরা, মিশর ও আলেক্সান্দ্রিয়া (ইসকান্দরিয়া)’র বাদশাহ্ মুকাউক্বিস, সিরিয়ার বাদশাহ্ আবু হারিসা ইবনে আবী শিমর গাসসানী, ইয়ামামার শাসক হাউযাহ্ ইবনে আলী হানাফী এবং বাহরাঈনের বাদশাহ্ মুনযির ইবনে সা-ওয়া বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিজ্ঞ আলিম ও জীবনী লেখকদের বর্ণনা মতে, যে দূত চিঠি নিয়ে যেই বাদশাহ্র কাছে গিয়েছেন, ওই বাদশাহ্ ওই চিঠির প্রতি যথেষ্ট সম্মান দেখিয়েছেন, কিসরা পারস্য স¤্রাট তার প্রতি প্রেরিত চিঠির প্রতি অসম্মান দেখানোর ফলে সে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে।
রোম স¤্রাট হিরাক্লিয়াস। এ প্রসিদ্ধ খ্রিস্টান বাদশাহর প্রতি হুযূর-ই আক্রামের চিঠি নিয়ে গিয়েছিলেন প্রসিদ্ধ সাহাবী হযরত দাহিয়্যাতুল কালবী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু। চিঠিখানা পড়তেই তার মনে ভয় অনুভূত হয়েছিলো এবং মাথা থেকে ঘাম ঝরছিলো। শেষ পর্যন্ত হিরাক্লিয়াস একটি রেশমী কাপড়ে হুযূর-ই আক্রামের চিঠিখানা জড়িয়ে একটি সিন্দুকে অতি যতœসহকারে সংরক্ষণ করেছেন। ওই চিঠি হিরাক্লিয়াসের বংশধরের মধ্যে সংরক্ষিত থেকে যায়। উল্লেখ্য যে, স¤্রাট নিখুঁতভাবে যাচাই করে বিশ্বনবীকে সত্যনবী বলে স্বীকার করেছিলেন। যদিও রাজত্ব হারানোর ভয়ে প্রকাশ্যে ঈমান আনতে পারেননি। মুসনাদে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল আলায়হির রাহমাহ্র বর্ণনা মতে হিরাক্লিয়াস খ্রিস্টধর্মে থেকে গিয়েছিলেন; কিন্তু হুযূর-ই আক্রামের প্রতি আন্তরিক ভক্তি ও তাঁর চিঠির প্রতি সম্মান দেখানোর ফলে দীর্ঘদিন যাবৎ বাদশাহী তার ও তার বংশধরদের মধ্যে স্থায়ী থাকে। কারণ, তাদের ধারণা ছিলো যে, যতদিন পর্যন্ত চিঠিখানা তাদের মধ্যে সংরক্ষিত থাকবে ততদিন যাবৎ তাদের নিকট ওই দেশের বাদশাহী স্থায়ী হবে। [মাদারিজুন্নুবুয়ত ইত্যাদি]
পারস্য স¤্রাট কিসরার শোচনীয় পরিণতি। তার নিকট হুযূর-ই আক্রামের চিঠি শরীফ নিয়ে দূত হিসেবে গিয়েছিলেন হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে হুযাফাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহ্ তা‘আলা আনহু। তাঁর প্রতি নির্দেশ ছিলো, চিঠিখানা বাহরাইনের শাসকের নিকট নিয়ে যাবেন। তিনি কিসরার নিকট চিঠিখানা পৌঁছাবেন। কিসরা চিঠিখানা পেয়েছিলো। চিঠির বিষয়বস্তু সম্পর্কে অবগত হয়ে এ হতভাগা সেটার প্রতি এবং বিশ্বনবীর প্রতি বেয়াদবী প্রদর্শন করলো। সে এক পর্যায়ে রাগান্বিত হয়ে চিঠিখানা ছিঁড়ে ফেললো। দূত হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে হুযাফার প্রতিও কোন মনযোগ দেয়নি, চিঠির জবাবও দেয়নি। এ খবর যখন হুযূর-ই আক্রামের নিকট পৌঁছলো, তখন তিনি এরশাদ করলেন, ‘‘সে তো চিঠি ছিঁড়েছে, আল্লাহ্ তা‘আলা তার রাজ্যকে ছিঁড়বেন।’’ ফলশ্রুতিতে, তার পরিণাম ও ক্ষতি শোচনীয় হয়েছিলো, কিসরাকে কতল করা হয়েছিলো, তার রাজ্য প্রথমে তার পুত্র শিরওয়াইহের হাতে চলে গেলো। সে তার (কিসরা) পেট চিরে ফেলেছিলো। তার পুত্র শিরওয়াইহ্ কিসরার পরিত্যক্ত জিনিসগুলোর মধ্যে একটা পুড়িয়া পেয়েছিলো। সেটার উপর লিপিবদ্ধ ছিলো এটা যৌনশক্তি বর্দ্ধক মোদক। শিরওয়াইহ্ বিশ্বাস করে তা খেয়ে ফেললো এবং মৃত্যুমুখে পতিত হলো। এর অল্প দিনের ব্যবধানে তার রাজ্য খানখান হয়ে গেলো, বিশ্বনবীর ভবিষ্যদ্বাণী অনুসারে কিসরার রাজ্য শেষ পর্যন্ত মুসলমানদের করায়ত্ব হলো। এটা কিসরার, বিশ্বনবীর প্রতি বেয়াদবীর শোচনীয় পরিণতি।
মিশরের বাদশাহ্ মুক্বাউক্বিস। মুক্বাউক্বিস মিসর ও আলেক্সান্দ্রিয়ার শাসক ছিলেন। প্রসিদ্ধ সাহাবী হযরত হাত্বিব ইবনে আবী বালতা‘আহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু নবী-ই আক্রামের দূত হিসেবে হুযূর-ই আক্রামের চিঠি শরীফ নিয়ে বাদশাহ্ মুক্বাউক্বিসের নিকট গিয়েছিলেন। তিনি দূত ও চিঠি শরীফটার প্রতি খুব সম্মান দেখালেন। তিনি বললেন, ‘হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ওই রসূল, যাঁর শুভাগমন সম্পর্কে হযরত ঈসা আলায়হিস্ সালাম সুসংবাদ দিয়েছিলেন।’ তিনি আরো বলেছিলেন, ‘আমি ওই নবী সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, তিনি যে জিনিসের নির্দেশ দিচ্ছেন তা মোটেই ঘৃণাযোগ্য নয়, তিনি কোন পছন্দনীয় জিনিষকে নিষিদ্ধ করেননি। তিনি যাদুকরও নন, মিথ্যুক গণকও নন।’’ মিশরের বাদশাহ হুযূর-ই আক্রামের চিঠিখানা হাতির দাঁত দ্বারা নির্মিত সিন্দুকে হিফাযত করে রেখেছিলেন। আর হুযূর-ই আক্রামকে শেষ যামানার সত্য নবী বলে মন্তব্য করে চিঠির জবাব অতি আদবপূর্ণ ভাষায় লিখে পাঠিয়েছিলেন। যদিও রাজত্ব হারানোর ভয়ে ইসলাম গ্রহণ করেননি; কিন্তু তবুও শেষ পর্যন্ত তার রাজত্ব টিকেনি। এটাও হুযূর-ই আক্রামের ভবিষ্যদ্বাণী ছিলো। হযরত ওমর ফারুক্বের খিলাফতকালে তার মৃত্যু হয়।
মোটকথা, বিশ্বনবী হলেন রাহমাতুল্লিল আলামীন। সমস্ত বিশ্বের জন্য রহমত। তিনি উভয় জাহানের মুক্তি ও সাফল্যের পথ বিশ্ববাসীকে বাতলিয়েছেন। সেটার বাস্তবতাও বিশ্ববাসী দেখেছে। সুতরাং মু’মিন মুসলমানদের এ’তে পূর্ণ ঈমান রয়েছে। আজ পর্যন্ত বিশ্বের সমস্ত জ্ঞান ও বিবেকবান মানুষ বিশ্বনবীকে ‘রহমত’ হিসেবে গ্রহণ কিংবা স্বীকার করে নিয়েছেন। এমতাবস্থায় এ জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সভ্য বিশ্বে ফ্রান্সের মতো দেশে বিশ্বনবীর প্রতি অবমাননা প্রদর্শন করা, তাঁকে নিয়ে ব্যঙ্গ করা যে কত জঘন্য অপরাধ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এটা এসব কুলাঙ্গারের হয়তো অজ্ঞতা অথবা অমার্জনীয় হঠকারিতার বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছুই নয়। এ বিবেকহীন ফ্রান্সের প্রতি বিশ্ববাসীর ধিক্কার ও রাষ্ট্রীয়সহ সব দিক দিয়ে তাদের ভুল স্বীকার করিয়ে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য বাধ্য করা এখন সময়ের দাবী।
লেখক: মহাপরিচালক- আনজুমান রিসার্চ সেন্টার, চট্টগ্রাম।