শানে রিসালত

0
শানে রিসালত
মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল মান্নান
না’ত শরীফ পবিত্র ক্বোরআনে
আল্লাহ্ তা’আলা ক্বোরআন মজীদে এরশাদ করেছেন-
هُوَ الَّذِۤىْ اَرْسَلَ رَسُولَه بِالْهُدى وَدِيْنِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَه عَلَى الدِّيْنِ كُلِّه وَلَوْ كَرِهَ الْمُشْرِكُوْنَ০
তরজমা: তিনিই হন, যিনি আপন রসূলকে পথ নির্দেশ ও সত্য দ্বীন সহকারে প্রেরণ করেন। এজন্য যে, সেটাকে অন্য সমস্ত দ্বীনের উপর বিজয়ী করবেন, যদিও অপছন্দ করে মুশরিকগণ। [সূরা তাওবা: আয়াত- ৩৩, কান্যুল ঈমান] এ আয়াত শরীফ অনেক ঈমানী আক্বীদার ফিরিস্তি। এ’তে আল্লাহ্, রাসূল ও সাহাবা-ই কেরামের পরিচয় করানো হয়েছে। যেমন-
১. আল্লাহ্ তা‘আলা নিজের পরিচয় এভাবে করিয়েছেন যে, তিনি এমন কুদরত ওয়ালা, যিনি এমন রসূলকে প্রেরণ করেছেন। আর রসূলও এমন যে, তাঁর গোলামগণ এমন এমন শান বা মর্যাদার অধিকারী। এর দু’টি কারণ: প্রথমত, যদি সূর্যকে দেখতে হয়, তবে আয়না অথবা পানিতে দেখা হয়। কেননা, মানব চক্ষু সূর্যকে সরাসরি দেখার ক্ষমতা রাখে না। তাই মাধ্যমের প্রয়োজন হয়। অনুরূপ, মহান আল্লাহর যাতের সরাসরি পরিচয় লাভ করা বড় মুশকিল ব্যাপার ছিলো। তাই খোদা দেখার আয়নার প্রয়োজন হয়েছে। একইভাবে রসূল সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামকে চেনার জন্য রসূলনুমা (রসূল দেখা যায় এমন) আয়নাগুলোর প্রয়োজন ছিলো। আর সেগুলো হলো- সাহাবা-ই কেরাম। মহান রবকে হুযূর-ই আন্ওয়ারের মাধ্যমে আর হুযূর-ই আন্ওয়ারকে সাহাবা-ই কেরামের মাধ্যমে চেনা জরুরি। কবি বলেন-
اس پر هُوَ الَّذِىْ گواه شيشۀ حق نما- ديكھ لے جلوۀ نبى شيشه چار يار
অর্থ: এর উপর ‘হুয়াল্লাযী’ সাক্ষী, যিনি খোদা দেখার আয়না স্বরূপ। নবীর জল্ওয়া (আলো) দেখতে চাইলে নবীর চার বন্ধুকে দেখুন। তাঁরাই হলেন নবী দেখার আয়না স্বরূপ।
দ্বিতীয়ত, এ জন্য যে, কোন কারিগর আপন কারিগরী যখন বর্ণনা করেন, তখন বলেন, ‘‘আমি হলাম তিনিই, যিনি নিপুণতার জোরে অমুক অমুক জিনিষ তৈরী করেছি।’’ আলিম বলেন, আমি হলাম তিনিই, যিনি আপন ইল্মের জোরে অমুক শাগরিদকে এমন উপযুক্ত করেছি। সুতরাং বিশ্ব ¯্রষ্টাও তাঁর সৃষ্ট জিনিষগুলোর মধ্যে এমন অনুপম সত্তার মাধ্যমে নিজের সৃষ্টি কর্মের শান প্রকাশ করেছেন। আর আপন কুদরতের হাত ও ওই অতুলনীয় সত্তার উপর গর্ব করে বলেছেন- هُوَ الَّذِۤىْ (তিনিই হলেন যিনি. . .) আল-আয়াত।
৩. একটি লালটিনে- রংবেরং এর চারটি আয়না থাকে। মধ্যখানে ল্যাম্প জ্বলতে থাকে। তখন সবুজ আয়নার দিকে দেখবেন, তখন আলো সবুজ মনে হয়। যখন লাল আয়নার দিকে দেখবেন, তখন লাল, হলদে আয়নার দিকে দেখলে হলদে মনে হয়। বাস্তবিকপক্ষে আলো ও ল্যাম্প তো এক কিন্তু আয়না হচ্ছে রংবেরং-এর; যা ওই ল্যাম্প দ্বারাই চমকাচ্ছে। অনুরূপ, সিদ্দীক্ব, ফারূক্ব, ওসমান, ও হায়দার-ই র্কারার ভিন্ন ভিন্ন রং-এর আয়না স্বরূপ, যেগুলো একমাত্র হুযূর মোস্তফারূপী প্রদ্বীপ থেকে চমকাচ্ছে। তাঁরা সবাই রং-এর মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন। কিন্তু আসলের মধ্যে এক। কোথাও সিদ্দীক্বিয়াত আলোকিত, কোথাও ফারূক্বিয়াতের শান প্রকাশ পাচ্ছে, কেথাও হযরত ওসমানের ধনবান হওয়া প্রকাশ পাচ্ছে, কোথাও হায়দারী শক্তি প্রকাশমান। আমরা তো হুযূর-ই আকরামকে মেনেই ক্বোরআন-ই করীম মেনেছি। এরপর কি কারণে ক্বোরআন তার পরিচয় করাচ্ছে? ‘মুহাম্মদ আল্লাহর রসূল।’ এটাতো পরিচিতকে পরিচয় করানো হলো! প্রথমে তো তিনি হৃদয়ে এসেছে, তারপর ক্বোরআন মাথা ও হাতে এসেছে। ক্বোরআন ও তাঁর কথা বলেছে! এর কারণ কি? কবি বলেন-
وه جس كو ملے ايمان ملا- ايمان تو كيا رحمان ملا
قران بىو جب هى هاتھه اۤيا- جب دل نے وه نور هدى ايا
অর্থ: যখন তাঁকে পাওয়া গেলো, তখন ঈমান পাওয়া গেলো। শুধু ঈমান নয়, বরং ‘রাহমান’কে পাওয়া গেলো। ক্বোরআনও যখন হাতে এলো, তখন হৃদয় ওই হিদায়তের নূর পেয়ে ধন্য হলো!
এর জবাব হলো- হয়তো কোন অজ্ঞ লোক বললো, হুযূর-ই আকরাম খোদা পর্যন্ত পৌঁছানোর মাধ্যম। মাধ্যম তো উদ্দেশ্য হাসিল হওয়ার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। আমরা যখন খোদা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি, তখন, না‘ঊযুবিল্লাহ্, হুযূর মোস্তফার প্রয়োজন কি? যেমন গন্তব্য স্থলে পৌঁছে রেল গাড়ীতে দেওয়া হয়। সুতরাং জবাব দেওয়া হচ্ছে- মাহবূব সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম তো এমন ওসীলাহ্ বা মাধ্যম, যেমন আলো পাওয়ার জন্য প্রদীপ। যদি প্রদীপ নিভিয়ে দেওয়া হয়, তখন আলোও শেষ হয়ে যায়। এজন্য আমরা তাঁর সাক্ষ্য দিচ্ছি। অনুরূপ, ক্বিয়ামত পর্যন্ত ক্বোরআন দুশমান, দোস্ত সবাই পড়বে- নামাযে, ওযীফা ও অন্যান্য আমলে তিলাওয়াত করা হবে। আর তখন তো তাতে হুযূর-ই আকরামের নামও থাকবে। এভাবে সর্বত্র হুযূর-ই আকরামের নামের চর্চা হবে। হুযূর-ই আকরাম ক্বোরআনের চর্চা করেছেন, আর ক্বোরআনও সেটাকে যিনি এনেছেন তাঁর চর্চা করেছে। তাছাড়া, ক্বোরআন হচ্ছে আল্লাহর কিতাব। আর হুযূর-ই আকরাম হলেন ‘নূরুল্লাহ্’ (আল্লাহর নূর)। নূর (আলো) ছাড়া কিতাব পড়া যায় না। তেমনি মাহবূব সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর আলোচনা ব্যতীত ক্বোরআন বুঝা সম্ভব নয়। তদুপরি, আল্লাহর যিকর হচ্ছে দেহের খোরাক। আর হুযূর-ই আকরামের যিকর (আলোচনা) হচ্ছে ওই খাদ্যের জন্য লবণ স্বরূপ। লবণ ব্যতীত খাদ্য আহারের উপযোগী নয়। আ’লা হযরত বলেন-
ذكر سب پھےك্য جب تك نه مذكور هو- نمكين حسن والا همارا نبى-
একদা হযরত ওসমানের ব্যবসার প্রচুর গম এসেছিলো। তখন মদীনা মুনাওয়ারায় দুর্ভিক্ষের মত দেখা দিয়েছিলো। গমগুলো ব্যাপারীরা চড়া মূল্যে কিনতে চাইলো। তখন হযরত ওসমান বললেন, আমাকে সাতশ’গুণ বেশী মূল্য দিলে আমি তা তোমাদের নিকট বিক্রি করতে পারি। ব্যাপরীরা বললো, ‘‘এমন ক্রেতা কে আছে?’’ হযরত ওসমান আয়াত শরীফ খানা পাঠ করে সব গম দান করে দিলেন। তিনি এক যুদ্ধে তিনশ’ উট, সামগ্রী সহকারে, এত পরিমাণ আশরাফীও রসূলে আকরামের পাক দরবারে এনে হাযির করে দিলেন। খোদায়ী হুকুম আসলো- ওসমান যা চায় তা করতে পারবেন, তাঁর জন্য কোন কাজ ক্ষতিকর হবে না। তিনি পবিত্র অন্তরের অধিকারী, শুধু ভাল কাজেরই তাওফীক্ব আল্লাহ্ তাঁকে দান করবেন।
হযরত আলী র্কারামাল্লাহু ওয়াজহাহুর ইবাদতের অবস্থা এমন ছিলো যে, একদা এক তীর এসে শরীরে এমনভাবে লেগে গেছে যে, তা বের করা যাচ্ছিলোনা। তখন সবাই বললেন, তিনি যখন নামায পড়তে থাকবেন, তখন তা বের করা যাবে, সুতরাং তেমনি করা হলো। খানা-ই কা’বার অভ্যন্তরে তাঁর জন্ম হয়েছিলো। শরীয়ত ত্বরীকত, মা’রিফাত ও হাক্বীক্বতের তিনি হলেন মূল পুরুষ। ওলীগণ বেলায়ত তাঁর নিকট থেকেই পেয়ে থাকেন। খন্দকের যুদ্ধে তাঁর আসরের নামায সম্পন্ন করার জন্য ডুবে যাওয়া সূর্যকে পুনরায় ফিরিয়ে আনা হয়। মোট কথা তাঁদের এসব গুণ হুযূর-ই আকরামের সান্নিধ্যের ফল।
ঘটনা: মসনভী শরীফে আছে- এক যুদ্ধে সাবাহা-ই কেরাম হুযূর-ই আকরামের পবিত্র দরবারে আরয করলেন, ‘‘হুযূর, কারো নিকট এক ফোঁটা পানিও নেই।’’ হুযূর-ই আকরাম হযরত আলীকে হুকুম দিলেন- ‘‘ওই সামনের পাহাড়ের পাদ দেশে এক কালো হাবশী উটের উপর পানি ভর্তি মশক নিয়ে যাচ্ছে, তাকে আমার নিকট নিয়ে এসো।’’ হুকুম পাওয়া মাত্র হযরত আলী পাহাড়ের পেছনে যেতেই হুযূর-ই আকরামের কথানুসারে ওই হাবশী গোলামকে ওই অবস্থায় দেখতে পেলেন। সে উটের পিঠে দু’বড় মশক ভর্তি পানি নিয়ে যাচ্ছে। তিনি বললেন, ‘‘এখান থেকে পানি কত দূরে?’’ সে বললো, ‘‘এখান থেকে পানির স্থান পর্যস্ত দু’দিনের রাস্তা।’’ তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘‘পানি নিয়ে কোথায় যাচ্ছে? সে বললো, ‘আমি এক জনের গোলাম। তিনি আমাকে পানি বহনের কাজে নিয়োগ করেছেন।’’ তিনি বললেন, ‘‘তোমাকে আল্লাহর রসূল ডাকছেন।’’ সে বললো, তিনি কে? আমি তাঁকে চিনি না। আমি যাবো না। হযরত আলী বললেন, ‘‘তোমাকে যেতেই হবে।’’ সে জেদ ধরলো- সে যাবে না। হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু তার উটের গতি হুযূর-ই আকরামের দিকে ফিরিয়ে দিলো। দাসটি শোর-চিৎকার করলো। কোন ফয়দা হয়নি। শেষ পর্যন্ত যখনই সে হুযূর-ই আকরামের দরবারে এসে পৌঁছলো, তখন প্রশান্ত মনে হুযূর-ই আকরামের নূরানী চেহারার দিকে তাকিয়ে রইলো। সব কিছু ভুলে গেলো, উট থেকে নেমে হতভম্ব চিত্তে এক পাশে দাঁড়িয়ে রইলো আর ভাবতে লাগলো- ‘‘আমি যমীনে আছি, না আসমানে! এ মহান নবী কি মানব জাতির কেউ, নাকি কোন ক্বুদসী সত্তা, আসমান থেকে নেমে এসেছেন!
হুযূর-ই আকরাম নির্দেশ দিলেন- তোমরা তার মশকটি থেকে পানি নিতে থাকো। সাহাবা-ই কেরাম নির্দেশ পাওয়া মাত্র পানি নিলেন। নিজেদের পিপাসা নিবারণ করলেন। পশুগুলোকে পান করালেন। সর্বত্র পানির ছড়াছড়ি হয়ে গেলো। কিন্তু গোলামটির মশক থেকে এক বিন্দু পানিও কমেনি।
মাওলানা-ই রূম বলেন, ‘‘ওই দিন হুযূর আলায়হিস্ সালাতু ওয়াস্ সালাম ও মশক দু’টির কানেকশন হাউযে কাউসারের সাথে করে দিয়েছিলেন। সেখান থেকেই পানি আসছিলো।’’ যখন সবাই পানি নিলেন, তখন হুযূর-ই আকরাম বললেন, ‘‘তোমরা এ ক্রীতদাস থেকে পানি নিয়েছো, তোমরা রুটি দাও। সবাই তাঁদের নিজ নিজ তাঁবু থেকে রুটি সংগ্রহ করে একটি থলে ভর্তি করে দিয়ে দিলেন।
হুযূর-ই আকরাম আরো বললেন, ‘‘আমরা আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে পানি নিয়েছি, আর তোমাকে রুটি দিচ্ছি। এটুকু নিয়ে নাও, আর চলে যাও!’’ সে বললো, ‘‘আমি কোথায় যাবো? আপনি দাতা নিজের দরজায় ডেকে এনে কাউকে বের করে দেন না। আমি তো এখন অনুভবই করতে পারছি না- ‘‘আমি কে, কোথায় থাকি, আর কোত্থেকে এসেছি।’’ হুযূর-ই আকরাম এরশাদ করলেন, ‘‘তাহলে তুমি এদিকে এসো!’’ তাকে তিনি আপন কম্বল শরীফের নিচে নিয়ে নিলেন। জানিনা দাতা কি দিলেন, আর ভিখারী কি নিলেন। কিছুক্ষণ পর কম্বল শরীফ থেকে সে বের হয়ে এলো। দেখা গেলো ওই কালো হাবশী গোলামটি এখন চাঁদের মতো সুশ্রী হয়ে গেলো। আর হুযূর-ই আকরাম বললেন, ‘‘আমিই এখন তোমাকে পাঠাচ্ছি। তুমি যাও!’’ সে বললো, ‘‘খুব ভালো! আমি যাচ্ছি।’’
উটের উপর চড়ে বসলো। রওনা হলো। ওদিকে তার মুনিবের চিন্তার শেষ নেই। গোলামের দেরী হচ্ছে কেন? সে মুুনিবের বাড়ীতে পৌঁছার পূর্বে তারা তার খোঁজে বের হয়ে পড়েছিলো। তারা দূরে দেখলো। ভাবলো- উটতো আমাদের, মশকও আমাদের, কিন্তু লোকটি অন্য কেউ। কারণ, সেতো হাবশী ছিলো এখন তো রূমী। সে তো কালো ছিলো, এখন তো দেখছি ফর্শা। সম্ভবত কোন চোর-ডাকু আমাদের গোলামকে মেরে আমাদের উটটি সে দখল করে নিয়েছে। এসব কথা ভেবে তারা লাঠি সোটা নিয়ে তাকে মারার জন্য এগিয়ে এলো। গোলাম চিৎকার করে বলতে লাগলো- আমাকে মারবেন না, আমি আপনাদেরই অমুক গোলাম। আমাকে ঘরে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে যাবতীয় ঘটনা বলবো। ঘরে গিয়ে গোলাম বলতে লাগলো- ‘‘আমি ছিলাম হাবশী। কিন্তু পানি নিয়ে আসছিলাম। পথিমধ্যে আমি সাইয়্যেদে আলম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর সাক্ষাৎ পেয়ে গেছি, যিনি কাউকে সিদ্দীক্ব বানান, কাউকে ফারুক্ব, কাউকে গনী, আর কাউকে হায়দারে কাররার বানান। আর আমার মতো কুৎসিৎ কালো গোলামকে চাঁদের মতো সুন্দর করে দিয়েছেন।’’
পরিশেষ, এ হলো ওই গোলামের অবস্থা। এ সংক্ষিপ্ত সময় সে হুযূর-ই পুরনূরের সান্নিধ্য পেয়ে সম্পূর্ণ নূরানী হয়ে গেছে। আর সম্মানিত সাহাবীগণ, যাঁরা ছায়ার মতো হুযূর-ই পুরনূরের সাথে ছিলেন, তাঁদের মর্যাদা কত বেশী হয়েছে, তাতো মহান পরওয়ারদিগারই জানেন।
লেখক: মহাপরিচালক-আনজুমান রিসার্চ সেন্টার, চট্টগ্রাম।
শেয়ার
  •  
  •  
  •  
  •