একাকি নামায কিভাবে পড়বে?

0
মুহাম্মদ হাসান-চান্দগাঁও, চট্টগ্রাম।
প্রশ্ন: আমি এক আলেমের কাছে শুনেছি তিনি বলেছেন মনে মনে নামাজ পড়লে নামাজ হবে না। অর্থাৎ সম্পূর্ণ নামাজে যা কিছু পড়া হয়, তা সবই নিজ কানে শুনা যায় মত পড়তে হবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা জানতে আগ্রহী
উত্তর: নামাজের ৩য় ফরয হলো কিরাত পড়া। নামাযে কিরাত পড়ার হুকুম একাকী ও জামআতে আদায়কালে ভিন্ন ভিন্ন। একাকী নামায আদায়কারী উঁচুস্বরে কিরাত বিশিষ্ট নামাযে (ফজর, মাগরিব ও এশা) চাইলে আস্তে/নিচুস্বরে কিরাত পড়বে, আবার ইচ্ছা করলে উঁচুস্বরে কিরাত পড়তে পারবে। তবে উত্তম হচ্ছে উঁচুস্বরে পড়া যদি যথাসময়ে (ওয়াক্তের মধ্যে) নামায আদায় করা হয়, যদি সময় চলে যাওয়ার পর নামায পড়া হয় তবে নিচুস্বরে পড়া ওয়াজিব। [দুররে মুখতার] নিম্নস্বরে কিরাত পড়া মানে ততোটুকু স্বরে /আওয়াজে কিরাত পড়া যাতে নিজের কানে শুনা যায় বা উচ্চারণের আওয়াজ নিজ কানে যেন আসে। আর জামআতের সাথে ইমামের পেছনে নামাজ আদায়কারী মুকতাদির জন্য নামাযে কিরাত পড়া জায়েয নেই। ইমামের পেছনে কেরাত পাঠকে নিরুৎসাহিত করতে প্রখ্যাত সাহাবী হযরত সাদ বিন আবু ওয়াক্ক্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন- وَدِدت ان الذى يقرء خلف الامام فى فيه جمرة
অর্থাৎ আমি পছন্দ করি, যে ইমামের পেছনে কিরাত পড়ে তার মুখে জ্বলন্ত অঙ্গার হোক। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, নামায শুরুর অধ্যায়, ১২৫ নং হাদীস]
তাই মুকতাদি কিরাত পড়বে না। অতএব, নামাজে (একাকী ও জামাআতে) কিরাত উচ্চস্বরে বা নিচুস্বরে পড়া হোক না কেন সর্বাবস্থায় তাউয, তাসমিয়া, সানা, তাসবীহ্ ইত্যাদি নিচুস্বরে পড়তে হবে। নিজের কানে আওয়াজ আসলেই হবে। পাশের মুসল্লির কানে কেরাতের শব্দ এবং তাকবির, তাসবীহ্, সানা, তাশাহ্হুদ ও দুরুদ শরীফের শব্দ পৌঁছল কি না? তা ধর্তব্য নয়। মসজিদ ফ্যান চলাকালীন স্বীয় কেরাতের শব্দ যদি স্বীয় কানে পৌঁছে এতটুকু প্রবল ধারনা হলে উক্ত কেরাতের মাধ্যমে নামায শুদ্ধ হয়ে যাবে। [দুরুরে মুখতার, ফতোয়া-এ রযভীয়্যা, ৩য় খন্ড, ৫৬৫নং পৃ. ও মুমিন কি নামাজ, কিরাত পরিচ্ছেদ]
শেয়ার
  •  
  •  
  •  
  •