খতমে গাউসিয়া শরীফ আদায়ের গুরুত্ব কি?

0
মুহাম্মদ সেলিম উদ্দীন কাদেরী
আলিম ২য় বর্ষ,
শাহচান্দ আউলিয়া কামিল মাদরাসা
পটিয়া, চট্টগ্রাম।
প্রশ্ন: খতমে গাউসিয়া শরীফ আদায়ের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে জানালে কৃতার্থ হবো।
উত্তর: কাদেরিয়া তরিকার মাশায়েখে এজাম ও আউলিয়ায়ে কেরাম কর্তৃক প্রবর্তিত ও নির্বাচিত এবং পবিত্র কুরআনুল করিম ও হাদীস শরীফ হতে সংগৃহীত অতি বরকতময় ও ফজিলতপূর্ণ জিকির-আযকার, দোয়া-দরুদ, বিভিন্ন সূরা ও আয়াতের সমষ্টিগত নাম হলো খতমে গাউসিয়া শরীফ। খতমে গাউসিয়া শরীফের তরতীবে যে ইসিম বা অজিফাগুলো স্থান পেয়েছে তা বিশেষ মর্যাদা ও ফজিলতে পরিপূর্ণ। যা ভক্তি সহকারে পালনের মধ্যে রয়েছে দুনিয়া ও আখিরাতের অনেক কল্যাণ ও সফলতা। তাই ঘরে-বাসায়, দোকানে-অফিসে, মসজিদ-খানকায় ভক্তি ও আদবের সাথে আদায় করা অত্যন্ত ফজিলত ও বরকতময়। তাছাড়া কুরআন তেলাওয়াত, হামদ-নাত, মাশায়েখ হযরাতের শানে রচিত মানকাবাত, কসীদায়ে গাউসিয়া, দরুদে তাজ, অজিফা/ইসিমসমূহ, শাজরা শরীফ পাঠ, মিলাদ কিয়াম ও দোয়া-মুনাজাত ইত্যাদি ভক্তি ও আদবের সাথে আদায় করা উত্তম। এতে কোন অসুবিধা নেই। কসিদায়ে গাউসিয়া দরুদে তাজ ও অজিফাসমূহ বসে/দাঁড়িয়ে উভয় অবস্থায় পড়তে অসুবিধা নেই। তবে কারো যদি দাড়িয়ে পড়তে অসুবিধা বা কষ্ট হয় তখন বসে বসে পড়তে পারবেন। আর যিনি খতমে গাউসিয়ার ইমাম তিনি দাঁড়িয়ে পরিচালনা করতে অসুবিধা না হলে দাঁড়িয়ে পাঠ করবে। উল্লেখ্য এ সমস্ত খতমাত/খতমসমূহ নফল ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। আর খতমে গাউসিয়া শরীফের নির্ধারিত ইসিম/অজিফার পূর্বে কেরাত ও নাত ও মানকাবাত ইত্যাদি যা পড়া হয় তাও নফল/মুস্তাহাব ইবাদত হিসেবে গণ্য। সময় ও সুযোগ হলে তা পড়া উত্তম। [শাজরা শরীফ, সিলিসিলায়ে আলিয়া কাদেরিয়া, ও আমার রচিত যুগজিজ্ঞাসা]
শেয়ার
  •  
  •  
  •  
  •