স্থানীয় মাদরাসাকে অভাবে রেখে দূরের মাদরাসাকে যাকাত ফিতরার টাকা দিলে তা আদায় হবে কিনা?

0
মুহাম্মদ আবদুর রহমান-
সভাপতি, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ
৮নং চাতরী ইউনিযন শাখা, আনোয়ারা
চট্টগ্রাম।
প্রশ্ন: একজন আলেম জুমার নামাজের পূর্বে খুৎবার আলোচনায় বলেন এলাকার পার্শ্ববর্তি মাদরাসাকে অভাবে রেখে দূরের মাদরাসাকে যাকাত ফিতরার টাকা দিলে তা আদায় হবে না। ক্বোরআন-হাদিসের আলোকে জানালে ধন্য হব।
উত্তর: ইসলামে যাকাত আদায়ের খাতসমূহ সুনির্দিষ্ট। যা পবিত্র ক্বোরআনের বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত। কোন যাকাতদাতা যদি সে সকল খাতসমূহে তথা গরীব, মিসকিন, অসহায়, এতিম ও বিধবাকে যাকাতের টাকা প্রদান করে আদায় হয়ে যাবে। উল্লেখ্য যে, যাকাত ফিতরা প্রদানের সময় নিকটতম গরীব আত্মীয়-স্বজনদের প্রতি লক্ষ্য রাখা উচিত। কারণ একদিকে তারা গরীব অপরদিকে আত্মীয়তার হক। তবে কেউ যদি নিজের সমস্ত যাকাত-ফিতরার অর্থ নিজের পছন্দের সুন্নী দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের লিল্লাহ্ ফান্ড বা মিসকিন ফান্ডে প্রদান করে অথবা স্বীয় গ্রামের নিজ এলাকার মাদরাসা বদ আকিদায় পরিচালিত হওয়ায় সেখানে প্রদান না করে সুন্নী কোন দুরবর্তী দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের মিসকিন ফান্ডে প্রদান করে সেক্ষেত্রেও যাকাত-ফিতরা আদায় হয়ে যাবে। তাই কেউ যদি বলে দূরের প্রতিষ্ঠানে দিলে যাকাত আদায় হবে না- এটা নিছক মিথ্যা ও ভুল এবং অজ্ঞতার নামান্তর। উল্লেখ্য যে, যে সকল মাদরাসা/প্রতিষ্ঠান আহলে সুন্নাতের মতাদর্শ পরিপন্থী এবং বাতিল আকিদা পোষণ করে সে সব মাদরাসা/প্রতিষ্ঠানে যাকাত ফিতরার অংশ দান করা হারাম, এ সব প্রতিষ্ঠানের মিসকিন ফান্ডে যাকাত ফিতরা দান করলে আদায় হবে না যেহেতু সেখান থেকে মুনাফিক তথা নবী অলির শানে কটুক্তিকারী নবী দিদ্বেষী বের হয়। সুতরাং সেখানে যাকাত/ফিতরার অংশ দেয়ার অর্থ আল্লাহ্-রসূলের দুশমন/শত্রুকে সাহায্য করা। আর যে সব প্রতিষ্ঠানে গরীব, অসহায় ও এতিম ছাত্রদের ভরণ পোষণের ব্যবস্থা নাই সেখানেও যাকাত ফিতরা প্রদান করা যাবে না। যাকাত/ফিতরা গরীব-মিসকিন ও অসহায়দের হক, তা মসজিদ-মাদরাসা, স্কুল-কলেজ ও ফোরকানিয়ার দালান বা ঘর নির্মাণে ব্যয় করা যাবে না। এ বিষয়ে তরজুমান প্রশ্নোত্তর বিভাগে বহুবার বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
শেয়ার
  •  
  •  
  •  
  •