ব্যভিচার ও অশ্লীলতার ব্যাপকতা মহামারীর মূল কারণ

0
ব্যভিচার ও অশ্লীলতার ব্যাপকতা মহামারীর মূল কারণ
অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ বদিউল আলম রিজভি
عَنْ عَبْدِ الله بْنُ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ عنه قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ تَظْهَرِ الْفَاحِشَةُ فِي قَوْمٍ قَطُّ حَتَّى يُعْلِنُوا بِهَا إِلاَّ فَشَا فِيهِمُ الطَّاعُونُ وَالأَوْجَاعُ الَّتِي لَمْ تَكُنْ مَضَتْ فِي أَسْلاَفِهِمُ الَّذِينَ مَضَوْا ‏.‏ وَلَمْ يَنْقُصُوا الْمِكْيَالَ وَالْمِيزَانَ إِلاَّ أُخِذُوا بِالسِّنِينَ وَشِدَّةِ الْمَؤُنَةِ وَجَوْرِ السُّلْطَانِ عَلَيْهِمْ ‏.‏ وَلَمْ يَمْنَعُوا زَكَاةَ أَمْوَالِهِمْ إِلاَّ مُنِعُوا الْقَطْرَ مِنَ السَّمَاءِ وَلَوْلاَ الْبَهَائِمُ لَمْ يُمْطَرُوا وَلَمْ يَنْقُضُوا عَهْدَ اللَّهِ وَعَهْدَ رَسُولِهِ إِلاَّ سَلَّطَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ عَدُوًّا مِنْ غَيْرِهِمْ فَأَخَذُوا بَعْضَ مَا فِي أَيْدِيهِمْ ‏.‏ وَمَا لَمْ تَحْكُمْ أَئِمَّتُهُمْ بِكِتَابِ اللَّهِ وَيَتَخَيَّرُوا مِمَّا أَنْزَلَ اللَّهُ إِلاَّ جَعَلَ اللَّهُ بَأْسَهُمْ بَيْنَهُمْ ‏- (رواه ابن ماجه رقم الحديث۴٠١٩ )
অনুবাদ: হযরত আবদুল্লাহ্ ইব্ন ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, যে জাতির মাঝে ব্যভিচার প্রকাশ্যে বিস্তার ঘটে (আল্লাহ্) তাদের মাঝে মহামারী বিস্তার ঘটান। এমন সব ব্যাধি ও কষ্ট তাদের মাঝে ছড়িয়ে পড়বে যা তাদের পূর্ববর্তীদের মাঝে ছিল না। যখন তারা ওজনে (পরিমাণে) কম দেবে তখন তাদের ওপর নেমে আসবে দুর্ভিক্ষ, কঠিন অবস্থা এবং শাসকের জুলুম অত্যাচার।
যখন তারা নিজেদের সম্পদের যাকাত দানে বিরত থাকবে তখন আসমান থেকে বৃষ্টিপাত বন্ধ হয়ে যাবে। পৃথিবীতে যদি জীবজন্তু, পাখি না থাকতো কখনো বৃষ্টিপাত হতো না। যখন তারা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের অঙ্গীকার ভঙ্গ করবে তখন আল্লাহ্ তাদের শত্রুদেরকে তাদের উপর চাপিয়ে দেবেন। আর যখন তাদের শাসক শ্রেণি আল্লাহর বিধান অনুযায়ী সুবিচার প্রতিষ্ঠা করবে না, আল্লাহ্র নাযিলকৃত বিধানের কিছু গ্রহণ করবে আর কিছু বর্জন করবে, তখন আল্লাহ্ তাদেরকে পরস্পর যুদ্ধ বিগ্রহ ও বিবাদে জড়িয়ে দেবেন। [ইবনে মাযাহ্ শরীফ: হাদীস নম্বর- ৪০১৯]

প্রাসঙ্গিক আলোচনা
বর্ণিত হাদীস শরীফে মহামারী বিস্তারের কারণগুলো উল্লেখ করা হয়েছে। বর্তমান বিশ্বের সার্বিক চিত্র অবলোকন করলে আমরা প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম’র ভবিষ্যৎ বাণীর সত্যতা ও বাস্তবতা অক্ষরে অক্ষরে দেখতে পাচ্ছি। গোটা বিশ্ব আজ এক অদৃশ্য ভাইরাসে আক্রান্ত। আল্লাহর রহমত ও অনুকম্পা ছাড়া কোথাও কারো জীবন মুহূর্তের জন্যও নিরাপদ নয়। সমগ্র সৃষ্টি আজ অসহায়। মহান আল্লাহ্ই সমগ্র সৃষ্টিকুলের মহাক্ষমতাধর সত্ত্বা।

মহামারী মানবজাতির অপরাধের কর্মফল
মহান আল্লাহ্ সমগ্র সৃষ্টিকুলের ¯্রষ্টা, জান্নাত ও জাহান্নামের সৃষ্টিকর্তা, ভালমন্দ দুটিই তিনিই সৃষ্টি করেছেন। মানুষ তাঁর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আক্বিদা মতে মহান আল্লাহ্ তা‘আলা সকল প্রকার কর্মের ¯্রষ্টা, বান্দা কর্মের অর্জনকারী। বান্দা জন্মগতভাবে স্বাধীন, ন্যায়-অন্যায়-ভালমন্দ, ঈমান-কুফর, হক-বাতিল ইত্যাদি যে কোনটি গ্রহণ বর্জনের এখতিয়ার বা স্বাধীনতা বান্দার রয়েছে। তবে এটাও মহান আল্লাহ্ কর্তৃক ঘোষিত বান্দা চিরস্থায়ী জান্নাত লাভের জন্য একমাত্র আল্লাহর মনোনীত দ্বীন ও নির্দেশিত বিধানকেই গ্রহণ করবে। সকল প্রকার অসত্য ও অন্যায় বর্জন করবে। তাওহীদ, রিসালত, আখিরাতের উপর ঈমান আনবে পক্ষান্তরে কুফর শির্ক, খোদাদ্রোহীতা, নবীদ্রোহীতা, পৌত্তলিকতা, পাপাচার, ব্যভিচার, অশ্লীলতা, বেহায়াপনা ও ইসলাম বিরোধী সকল প্রকার অনৈতিক কর্মকান্ড পরিহার করবে অথচ আজকে মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামী জীবন বিধান ও রাসূলুল্লাহ্র আদর্শ চরমভাবে লংঘিত ও উপেক্ষিত।
আজকের বৈশ্বিক করোনা মহামারী নিঃসন্দেহে বিশ্ববাসীর জন্য এক মহাবিপদ, এ সংকট মানুষেরই কর্মের কুফল। মহান আল্লাহ্ তা‘আলা এ প্রসঙ্গে এরশাদ করেছেন- وَمَا اَصَابَكُمْ مِنْ مُّصِيْبَةٍ فَبِمَا كَسَبَتْ اَيْدِيْكُمْ وَيَعْفُوْ عَنْ كَثِيْرٍ-
অর্থ: তোমাদেরকে যে বিপদাপদ গ্রাস করেছে তা তোমাদের কর্মফল, আর তিনি তোমাদের অনেক কিছু ক্ষমা করেন। [সূরা আশ্শুরা: আয়াত-৩০]
নিজেকে ধ্বংসের দিকে নিক্ষেপ করা কবীরা গুনাহ্
ইসলাম মানব জাতিকে সুস্থভাবে নিরাপদে বেঁচে থাকার উপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করেছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারী নির্দেশনা ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিধি না মেনে বেপরওয়াভাবে চলাফেরা করা, বিধি নিষেধ অমান্য করে নিজেদের ক্ষতি করা ও অন্যজনের ক্ষতির কারণ হওয়া ইসলামের দৃষ্টিতে সমান অপরাধ। আল্লাহ্ তা‘আলা এরশাদ করেছেন- وَلاَ تُلْقُواْ بِأَيْدِيكُمْ إِلَى التَّهْلُكَةِ
অর্থ: তোমরা তোমাদের হাতকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেবে না। [সূরা বাক্বারা: আয়াত- ১৯৫] বিশ্ববাসী করোনা মহামারীর সংক্রমণরোধে গৃহীত পদক্ষেপগুলো কোনটি কোরআন সুন্নাহ্ বিরোধী নয়, বরং প্রতিটি কর্মসূচি ইসলামের নির্দেশনা। কারো মাঝে জীবাণুর উপসর্গ ধরা পড়লে তাকে আলাদা করে চিকিৎসা করার নমাই আইসোলেশন। এভাবে একজনের কাছ থেকে আরেকজনকে আলাদা করে রাখা যেন সুস্থ ব্যক্তির দেহে ভাইরাস সংক্রমিত না হয় চিকিৎসকের ভাষায় এটাই কোয়ারান্টাইন।
ঘরে বাইরে সর্বত্র অশ্লীলতা
মানব জাতির নৈতিক চরিত্র আজ চরমভাবে অধঃপতিত: সমাজ ব্যবস্থায় ইসলামী তাহজীব তমুদ্দুন নীতি নৈতিকতা, আজ বিলুপ্তির পথে। পশ্চিমা সভ্যতা ও অপসংস্কৃতির সয়লাভে আদর্শ ও সুস্থ সাংস্কৃতিক জীবনধারা আজ অনেকাংশে নির্বাসিত। তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণহীনতার সুবাধে মোবাইল, ইন্টারনেট, ইউটিউব, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াগুলো প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে শিশু-কিশোর ও যুবক-যুবতীদের চরিত্র ধ্বংসের প্রতিযোগতায় লিপ্ত। অধিকাংশ মুসলিম পরিবারগুলোতে নিয়মিত নামায-ক্বোরআন তিলাওয়াত, ইসলামী আদব-আখলাক, শিষ্টাচারিতা, সালাম-কালাম ইত্যাদি আদর্শ সংস্কৃতির চর্চা বিলুপ্তির পথে। মুসলিম সমাজে সকাল বেলায় ইসলামী শিক্ষার প্রাচীনতম প্রাতিষ্ঠানিক ঐতিহ্য মক্তব (ফোরকানিয়া)’র অস্তিত্ব প্রায় শূন্যের কোটায়।
অশ্লীলতা, নগ্নতা, বেহায়াপনা, শটতা, কপটতা, মিথ্যাচার, সুদ-ঘুষ, মদ-জুয়া, দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতি, ধর্ষন, লুন্ঠন, খুন-খারাবি, সন্ত্রাস-রক্তপাত, ছিনতাই, গুম-অপহরণ, চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি, ধান্ধাবাজি ইত্যাদি গর্হিত অপকর্মগুলো আজ সমাজের প্রতিটি সেক্টরে প্রতিষ্ঠিত। এতো অগণিত অপরাধ ডানে-বামে, সামনে-পেছনে দিবারাত্রি অপরাধের রাজত্বে আমাদের বসবাস। প্রতিবাদ প্রতিকার ও প্রতিরোধের ভাষা আমরা হারিয়ে ফেলেছি। কেউ নীরব দর্শকের ভূমিকায়, কেউ অপরাধ জগতের মহাস¤্রাট অভিধায় ভূষিত। একটি আদর্শ সুন্দর ও কল্যাণধর্মী সমাজ বিনির্মাণের ভূমিকায় যাদের অগ্রণী ভূমিকা ও গুরুদায়িত্ব পালন করা অপরিহার্য ছিল তারা আজ নীরব নির্বিকার অনেকটা উদাসীন।
পূর্ববর্তী নবীদের জমানায় আল্লাহ্ তা‘আলা বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠিকে তাদের অপরাধ কর্ম ও সীমা লংঘনের কারণে তাদেরকে নিশ্চিহ্ন ও ধ্বংস করে দিয়েছিল। অথচ আমাদের অপরাধের পরিধি অনুসারে আল্লাহ্ আমাদের উপর আরো কঠিন শাস্তি না দিয়ে তাঁর দয়া অনুগ্রহে তাঁর প্রিয় হাবীব রাহমাতুল্লিল আলামীন সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম’র ওসীলায় আমাদেরকে এখনো বাঁচিয়ে রেখেছেন, তিনি মহান দয়াবান।
আমাদের অপরাধ কর্মের ফিরিস্তি ও পরিধি এতো বিশাল ও বিস্তৃত যে তাওবা-এস্তেগফার ও ক্ষমা প্রার্থনার অনুভূতিটুকুও আমরা হারিয়ে ফেলেছি।
ফলশ্রুতিতে আল্লাহ্র ক্রোধ, গজব ও আযাব- করোনা মহামারীরূপে বিশ্বব্যাপী চেপে বসেছে। এ মহামারীতে যেভাবে অবাধ্য কাফির-মুশরিকরা আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে আবার অনেক নেক্কার মুত্তাক্বী-দ্বীনদার আল্লাহর প্রিয় বান্দারাও বিদায় নিয়ে যাচ্ছে, মহামারীতে মু’মীন ও কাফিরদের মৃত্যু এক নয়। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন- فالطّاعون شهادة لاِمّتِىْ ورحمة و رجسٌ على الكافر-
মহামারীতে আমার উম্মতের মৃত্যু শাহাদাত ও রহমত। কাফিরদের জন্য এ মৃত্যু শাস্তি স্বরূপ। [মুসনাদে আহমদ: হাদীস নম্বর- ২০৭৬৭] মহামারীতে মৃত্যুবরণকারী মুসলমান শহীদী মর্যাদা লাভ করবে। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন-
وَمَنْ مَاتَ فِىْ الطّاعون فهُوَ شهِيدٌ-
যে ব্যক্তি মহামারীতে সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু বরণ করবে সে শহীদের মর্যাদা পাবে। [সহীহ মুসলিম শরীফ: হাদীস-১৯৫]
মহামারী মু’মীনদের জন্য রহমত স্বরূপ
খোদাভীরু-মুত্তাকী, পরহেজগার-দ্বীনদার বান্দাদের জন্য মহামারী রহমত স্বরূপ। মহামারীর ক্রান্তিকালে ধৈর্যশীল মু’মীন বান্দাদের জন্য শহীদী মর্যাদা প্রাপ্তির সুসংবাদ রয়েছে। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন-
فَلَيْسَ مِنْ عَذَابًا يبعثه على ما يشاء فجعله الله رحمة للمؤمنين فَلَيْسَ مِنْ عَبد يَقعُ الطَّاعُون فَيمكث فِىْ بلده صَابِرًا يَعْلمُ اَنَّهُ يُّصِيْبهُ اِلا ما كتب اللهُ لَهُ اِلَّا كان له مثل اَجرُ الشهيدُ- (رواه البخارى)
মহামারী হলো শাস্তি স্বরূপ। আল্লাহ্ যাকে ইচ্ছা তার উপর প্রেরণ করেন, আল্লাহ্ মু’মীনদের জন্য মহামারীকে রহমত স্বরূপ সাব্যস্ত করেছেন। যখন কোন বান্দা মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে ধৈর্যের সাথে নিজ শহরে অবস্থান করবে, এ বিশ্বাসে যে আল্লাহ্ যার জন্য যেটা লিপিবদ্ধ করেছেন সেটাই তাকে গ্রাস করবে, তাহলে তাকে একজন শহীদের সমান সওয়াব প্রদান করা হবে। [সহীহ বুখারী শরীফ: হাদীস নম্বর -৫৭৩৪]
মহামারী তথা অসুস্থ ব্যক্তির সাক্ষাতে উপকারী দুআ
মহামারীতে আক্রান্ত ব্যক্তির সাক্ষাতে নিজের সুরক্ষা ও সংক্রমিত ব্যক্তির সুস্থতা কামনায় বিশেষ দুআ অতীব ফলপ্রসূ ও উপকারী। হযরত আবূ হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, যে আক্রান্ত ব্যক্তির সাক্ষাত করবে, সে বলবে-
اَلْحَمْدُ لِلّهِ الَّذِىْ عَافَانِىْ مِمَّا ابْتَلَاكَ بِهِ وَفَضَّلَنِىْ عَلَى كَثِيْرِ مِمَّنْ خَلَقَ تَفْضِيْلًا- (رواه الترميذى)
অর্থ: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি আমাকে সুস্থ রেখেছেন এমন রোগ থেকে যার দ্বারা তিনি তোমার পরীক্ষা নিচ্ছেন। আর তিনি আমাকে তার অসংখ্য সৃষ্টিরাজির উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন।
[তিরমিযী শরীফ: হাদীস নম্বর- ৩৪৩১, ইবনে মাযাহ: ৩৮৯২, বায়হাকী: ৪১২৯] আল্লাহ্ তা‘আলা বিশ্ববাসীকে করোনা মহামারী থেকে রক্ষা করুন। আ-মী-ন ইয়া রাব্বাল আলামীন।
লেখক: অধ্যক্ষ- মাদ্রাসা-এ তৈয়্যবিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া ফাযিল (ডিগ্রী), হালিশহর, বন্দর, চট্টগ্রাম।
শেয়ার
  •  
  •  
  •  
  •