ফানাফিশ শায়খ সূফি আবদুল গফুর (রহ.)

0

অধ্যাপক কাজী সামশুর রহমান

দরবারে আলিয়া কাদেরিয়া ছিরিকোটিয়ার এক উজ্জ্বল নক্ষত্র রাউজান উপজেলা তথা এতদ্অঞ্চলের কীর্তিমান পুরুষ আধ্যাত্মিক জগতের আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব, হযরতুলহাজ্ব শাহ্ছুফি আবদুল গফুর রাহমাতুল্লাহি আলায়হির স্মরণে আমার এ ক্ষুদ্র প্রয়াস। নবী-ওলী প্রেমিক এ মহান ব্যক্তির ওফাত দিবস ৩০ রমযান, ডিসেম্বর ১৯৬৮ইং।
শিক্ষা-দীক্ষায় অগ্রসর আউলিয়া বুযুর্গ’র পদধুলি ধন্য রাউজান উপজেলাধীন বর্ধিষ্ণু গ্রাম গশ্চির (বাগোয়ান ইউনিয়নাধীন) এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে মরহুম মুহাম্মদ আলী ও বেগম নুরুন নাহার বেগমের ঔরসে ১৯০০ খ্রীস্টাব্দের এক শুভক্ষণে আব্দুল গফুর জন্মগ্রহণ করেন।
ধার্মিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করার সুবাদে পারিবারিক বলয়ে ধর্মীয় প্রথম পাঠের সূচনা হয়। কৈশোরেই পাড়ার মক্তবে গিয়ে প্রয়োজনীয় আরবী ও ধর্মীয় শিক্ষা সমাপ্ত করেন। আধুনিক ও বৈষয়িক শিক্ষার প্রয়োজনে চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রাচীন বিদ্যাপীঠ মহামুণি উচ্চ বিদ্যালয়ে তাকে ভর্তি করানো হয়। ১৯১৮ সালে কৃতিত্বের সাথে এন্ট্রাস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে আশ-পাশের গ্রাম হতে শতশত লোক তাঁকে দেখতে আসেন। সে সময়কালে একজন মুসলিম ছাত্রের এন্ট্রাস পাশ করা বিরল ঘটনা ছিল বৈকি।
তৎকালে জীবিকার অšে¦ষণে এতদ্অঞ্চলের অজস্র মানুষ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ বার্মায় (মায়ানমার) যাতায়াত করতেন। ভাগ্যান্বেষণে তিনিও এক সময় বার্মা গমন করে যথারীতি চাকরির জন্য নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে ব্রিটিশ সরকারের অধীনে জেনারেল পোস্ট অফিসে সরকারী কর্মকর্তার চাকুরি লাভ করেন। শৈশব থেকে ইসলামী তাহজীব-তমদ্দুন সংস্পর্শে বেড়ে উঠার কারণে তিনি সর্বদা ইসলামী জীবনধারা অবলম্বনে সক্রিয় থাকতেন। কোনো অজানা অপ্রাপ্তির অন্বেষণে তিনি সর্বদা উদ্বিগ্ন থাকতেন। অন্যান্য মুসল্লিদের মতো তিনিও রেঙ্গুনের বাঙালী মসজিদে নিয়মিত নামাজ আদায় করতেন। উল্লেখ্য উক্ত মসজিদে ইমাম ও খতীবের দায়িত্ব পালন করছিলেন আওলাদে রসূল কুতবুল আউলিয়া হযরতুল আল্লামা আলহাজ্ব হাফেজ ক্বারী সৈয়্যদ আহমদ শাহ্ সিরিকোটি রহমাতুল্লাহি আলায়হি। ১৯২০ সালের কোন এক শুভক্ষণে মুর্শিদ হযরত খাজা আবদুর রহমান চৌহরভী রহমাতুল্লাহি আলায়হির নির্দেশে হরিপুর হতে দ্বীন ইসলাম, মাযহাবের খেদমত করার তাগিদে রেঙ্গুনে শুভাগমন করেছিলেন। হুযূর কেবলার কারামত ক্রমশ চারদিকে ছড়িয়ে পড়লো। একজন দুইজন করে অনেক মুসল্লি এ রকম একজন কামেল ওলীর হাতে বাইয়াত গ্রহণ করে নিজেদের ধন্য করতে থাকেন। একদা অন্যদের সাথে আবদুল গফুর ছাহেবও মুরিদ হয়ে পীরের খেদমতে সমর্পিত হন। প্রাত্যহিক জীবনধারায় আমূল পরিবর্তন লক্ষ করা গেল তাঁর মধ্যে। অফিস শেষে আপন পীরের খেদমতে হাজিরা দেয়া রুটিন ওয়ার্ক হয়ে গেল। তিনি ক্রমশ আত্মসমর্পিত হয়ে মুর্শিদের কদমে বিলীন হয়ে যান। মুর্শিদ ‘ছুফি’ লকব প্রদান করে মুরিদকে পুরস্কৃত করেন। এতেও তাঁর অতৃপ্ত আত্মা সন্তুষ্ট ছিল না, নিজের ইচ্ছা-অনিচ্ছা কোন কিছুই স্বীয় আয়ত্তে রইলো না। পীরের ‘তাওয়াজ্জু’তে অবগাহন করলেন তিনি। দরবারের এক অপরিহার্য খাদেম হিসেবে পরিণত হলেন। সব আধ্যাত্মিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মুর্শিদ কর্তৃক ‘খেলাফত’ প্রাপ্ত হন। শুরু হলো জীবনের আরেক অধ্যায়। কয়েক বছর পর বিবাহ্ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এক সময় বিদুষী স্ত্রীকে কর্মস্থল রেংগুনে নিয়ে গিয়ে আপন মুরশিদের হাতে ‘বাইয়াত’ করান।
স্বামী-স্ত্রী উভয়েই এক মনে এক ধ্যানে পীরের সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টায় নিজেদের নিয়োজিত রাখলেন। পীরের খেদমত আঞ্জাম দেয়াই হলো তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য ও ব্রত। এভাবেই একাগ্রতা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা দিয়ে নিজেদের জীবনকে উৎসর্গ করলেন অবলীলাক্রমে। ফলে পীরের রেজামন্দি হাসিল হয়।
হুযূর ক্বিবলার মিশনকে সাংগঠনিক কাঠামোর মধ্যে এনে শরীয়ত ও তরীক্বত এর কার্যক্রমকে শৃংখলাবদ্ধ করার অভিপ্রায়ে আপন পীরের নির্দেশে ‘আনজুমান-এ শু’রায়ে রহমানিয়া’ নামে একটি ধর্মীয় ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করা হলো। হুযূর ক্বিবলার পীর ছাহেব ক্বিবলা এলমে লুদুন্নীর প্রস্রবণ কুতুবে আলম গাউসে দাওরাঁ এক অবিস্মরণীয় দুরূদ শরীফগ্রন্থ ‘মাজমু’য়ায়ে সালাওয়াতে রাসূল (সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম) প্রণেতা হযরত খাজা আবদুর রহমান চৌহরভী রাহমাতুল্লাহি আলায়হির নামানুসারে ট্রাস্টের নামকরণ করা হয়। পরবর্তীকালে চট্টগ্রামে হুযূর ক্বিবলার রাজদার ভাইয়েরা ট্রাস্ট’র নাম পরিবর্তন করে ‘আপন পীরের নাম সংযুক্ত করে ‘আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া’ নামে নতুন নামকরণ করেন। এ ট্রাস্ট বর্তমানে মহীরুহ্ হয়ে দেশ-বিদেশে দ্রুতগতিতে বিস্তৃত লাভ করছে। গাউসে জমান রাহনুমায়ে শরীয়ত ও তরীক্বত হযরতুল আল্লামা আলহাজ্ব হাফেজ ক্বারী সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ রাহমাতুল্লাহি আলায়হির নির্দেশে প্রতিষ্ঠিত এরই অঙ্গ-সংগঠন ‘গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ’ প্রত্যন্ত অঞ্চলে দরবারে আলিয়া কাদেরিয়ার মিশনের কার্যক্রমকে বাস্তবায়ন করছে আনজুমানের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ও নির্দেশনায়। আনজুমান, গাউসিয়া কমিটি, মাদরাসা, মসজিদ, খানকাহ শরীফ প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের ব্যাপকতা লাভ করার পেছনে আলহাজ্ব সুফী মুহাম্মদ আবদুল গফুর ছাহেবসহ তৎকালীন সময়ের ‘আনজুমান-জামেয়ার কর্মকর্তা ও পীর ভাই-বোনদের অবদান অপরিসীম। দরবারে আলিয়া কাদেরিয়ার সাজ্জাদানশীন মাশায়েখ হযরাতে কেরাম আওলাদে রাসূল, কুতবুল আউলিয়া হযরতুল আল্লামা আলহাজ্ব হাফেজ ক্বারী সৈয়্যদ আহমদ শাহ্ সিরিকোটি, গাউসে জমান হযরতুল আল্লামা আলহাজ্ব হাফেজ ক্বারী সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ ও হযরতুল আল্লামা আলহাজ্ব সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ্ মাদ্দাজিল্লুহুল আলী ও হযরতুল আল্লামা আলহাজ্ব সৈয়্যদ মুহাম্মদ ছাবের শাহ্ মাদ্দাজিল্লুহুল আলীর নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের আনজুমান ও গাউসিয়া কমিটি নবী-ওলীপ্রেমিক সুন্নী জনতার একমাত্র আশা-ভরসাস্থল।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা বেজে উঠলে তিনি পীরের নির্দেশে ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে এক সময় জন্মভূমি চট্টগ্রাম প্রত্যাবর্তন করেন। চট্টগ্রাম এসে ব্রিটিশ মালিকানাধীন বার্মা অয়েল কোম্পানীতে (পদ্মা ওয়েল কো.) চাকরি নেন। হুযূর ক্বিবলা চট্টগ্রাম এসে আনজুমানের অপর এক দিকপাল ফানাপিশ শায়খ ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আব্দুল খালেক রাহমাতুল্লাহি আলায়হির কোহিনুর ইলেকট্রিক প্রেস এর উপরের তলায় অবস্থান করতেন এবং হুযূর ক্বিবলার একাধারে হুজরা শরীফ ও খানকাহ্ শরীফ হিসেবে ব্যবহৃত হতো এ ঘরটা। মূলত এ ঘর হতেই শরীয়ত-ত্বরীক্বতের খুশবু বিচ্ছুরিত হতে শুরু করে।
শরীয়ত-তরীক্বত তথা সুন্নী মাযহাব এর সূতিকাগার জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া প্রতিষ্ঠালগ্নে এই খানকাহ্ শরীফে বসে কয়েকজন রাজদার পীরভাইদের সাথে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে হুজুর কেবলা জামেয়ার কাজকর্ম তদারকি ও পরিচালনার জন্য একজন নিষ্ঠাবান লোকের প্রয়োজনীয়তার কথা উত্থাপন করলেন। সাথে সাথে এও বললেন লোকটা সুফী ছাহেবের মতো হলে ভাল হতো। অফিস শেষে সুফী ছাহেব হুজুর ক্বিবলার খেদমতে হাজির হলে হুযূরের মন্তব্যের কথা ভাইয়েরা জানালে মুহূর্তের মধ্যে তিনি নির্দ্ধিধায় একটা সাদা কাগজে পদত্যাগপত্র লিখে লোভনীয় চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে দেন। এ রকম বিরল দৃষ্টান্ত ক’জনই দেখাতে পারবে। পীর-মুর্শিদের মধ্যে কি গভীর ও নিবিড় সম্পর্ক এটা কি ভাষা দিয়ে ব্যক্ত করা যায়? মুর্শিদের রেজামন্দি হাসিলে মুরিদ কতটুকু কর্তব্যপরায়ণ হতে পারে সূফী ছাহেবের এ সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য এক উজ্জ্বল অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।
১৯৬৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত আমৃত্যু মুর্শিদের আদেশ নির্দেশ, জামেয়া-আনজুমানসহ সিলসিলার যাবতীয় কর্মকা-ে সার্বক্ষণিকভাবে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখেন। এভাবে তাঁর সন্তানেরাও খেদমত আনজাম দিয়ে গেছেন। ছুফী ছাহেবের অবদান আমাদের উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করে নিঃসন্দেহে। তিনি ৪ পুত্র আলহাজ্ব মুহাম্মদ কাশেম, ডা. মুহাম্মদ হাশেম, আলহাজ্ব মাওলানা মুহাম্মদ হারুন ও আলহাজ্ব মুহাম্মদ আব্দুস শুক্কুর এবং ৩ কন্যা মোসাম্মৎ আয়শা বেগম, খাদিজা বেগম ও মমতাজ বেগম রেখে যান। ২য় পুত্র ডা. মুহাম্মদ হাশেম ছাহেব আমৃত্যু আনজুমান ও জামেয়ার পরিচালনা কমিটির সদস্য ছিলেন। কনিষ্ঠপুত্র আলহাজ্ব আব্দুস শুক্কুর আমৃত্যু চট্টগ্রাম উত্তর জেলা গাউসিয়া কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জামাতা মরহুম অধ্যক্ষ আবদুর রহিম চৌধুরীও আনজুমান, জামেয়া ও সিলসিলার আমৃত্যু খেদমত করেছেন। আর ভাইবোনেরাও সিলসিলার খেদমতে নিবেদিত ছিলেন। তাঁর দৌহিত্ররাও সিলসিলার খেদমতে নিয়োজিত আছেন।
১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দের ১০ রমযান ছুফী সাহেব অসুস্থ হয়ে পড়লেন। মেঝ ছেলে ডা. মুহাম্মদ হাশেম ছাহেবের ঘাটফরহাদবেগস্থ বাসায় অবস্থান করছিলেন তিনি। ১৫ রমযানে গাউসে জমান সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (রাহমাতুল্লাহি আলায়হি) আলহাজ্ব ডা. তফাজ্জল হোসেন (ডা. টি হোসেন) ছাহেবসহ ছুফি ছাহেবকে দেখতে গেলেন। হুযূর দোয়া করলেন। ছুফী ছাহেবের ইচ্ছায় গ্রামের বাড়িতে চলে যাবার অনুমতি দিলেন। তিনি বাড়ী চলে যাওয়ার সময় ডা. টি হোসেন ছাহেবকে খবর জানিয়ে হুজুর ক্বিবলাকে দোয়ার জন্য অনুরোধ জানান। ২৯ রমযান শুক্রবার জুমাতুল বিদা’ হুযূর ক্বিবলার ইমামতিতে হামিদুল্লাহ্ খা জামে মসজিদে (খাতুনগঞ্জ) জুমার নামাজান্তে মুসল্লিদের সাথে নিয়ে ছুফী ছাহেবের জন্য দোয়া করা হয়। ৩০ রমযান (ডিসেম্বর) হুযূর ক্বিবলা পীরভাইদের নিয়ে ছুফী ছাহেবকে দেখতে গশ্চি তশরীফ নেন।
সফরসাথী পটিয়ার হাফেজ ক্বারী মুহাম্মদ আব্দুল হালিম ছাহেবকে হুযূর ইয়াছিন শরীফ পাঠ করার নির্দেশ দেন। হুযূর ক্বিবলার খলীফা আলহাজ্ব নুর মোহাম্মদ আলকাদেরী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি হুযূর ক্বিবলাকে বললেন যে মনে হয় ছুফী ছাহেব আরো ২/৩দিন বাঁচবেন। এ কথা শুনে হুযূর ক্বিবলা বললেন, ‘আজ আখেরী রমজান সামনের রাত ঈদের রাত, কাল ঈদের দিন বড় মুবারক সময় ‘আজকে যাওয়াটাই উত্তম। আল্লাহর ওলী সব দেখেন, জানেন এবং বুঝেন। ঘর থেকে বের হয়ে শহরের উদ্দেশে হুযূর ক্বিবলা বের হয়ে কাপ্তাই রোড়ে এসে শহরমুখী গাড়ি পূর্ব দিকে চলতে শুরু করলো, হুজুর কেবলার নির্দেশে সফর সাথীদের রাস্তার পাশে দাঁড়াতে বললেন। কয়েক মিনিট পর হুযূর পাহাড়তলী চৌমুহনী থেকে গাড়ি ফিরিয়ে মোহাম্মদজ্জমা রোডের মোড়ে এসে থামলে ছুফী ছাহেবের ইন্তেকালের খবর পেলেন। হুযূর ক্বিবলা দোয়া করলেন। ঈদের দিন বাদ নামাজে জোহর জানাযার কথা ঘোষণা দিলেন। যথারীতি পরদিন ঈদের দিন বাদ জোহর হুযূর ক্বিবলার ইমামতিতে হাজার হাজার মুসল্লি ছুফী ছাহেবের নামাজে জানাজা আদায় করলেন।
হুযূর ক্বিবলা উপস্থিত থেকে দাফন ও আসর নামাজ শেষে শহরে প্রত্যাবর্তন করেন। রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের গশ্চি গ্রামের চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়কের মুহাম্মদ জামান রোডের দক্ষিণ পাশে আলহাজ্ব ছুফী আবদুল গফুর রাহমাতুল্লাহি আলায়হির মাজার শরীফ অবস্থিত।
দরবারে আলিয়া কাদেরিয়া ছিরিকোটিয়ার খলীফা আমাদের অগ্রজ পথিকৃৎ আলহাজ্ব ছুফি আবদুল গফুর ছাহেব রাহমাতুল্লাহি আলায়হির মতো একজন মুর্শিদ নিবেদিতপ্রাণ ফানাফিশ শায়খ আমাদের গর্বের ধন। আমাদের জন্য তিনি অনুসরণীয়, আদর্শ ব্যক্তিত্ব। তাঁর জীবনদর্শন আমাদের পথ চলার পাথেয় হোক এবং হযরত ছুফী আবদুল গফুর রাহমাতুল্লাহি আলায়হির দরজা আল্লাহ্ পাক আরো বুলন্দ করুন- আমিন।

লেখক: শিক্ষাবিদ ও আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের প্রচার-প্রকাশনা সম্পাদক।

শেয়ার
  •  
  •  
  •  
  •