আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (রা.) ছিলেন রাসূল আদর্শের বাস্তব প্রতিচ্ছবি- দ্বীন ইসলামের অনন্য সংস্কারক ব্যক্তিত্ব

0

জামেয়া ময়দানে আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (রহ.)’র ওরস মোবারক মাহফিলে বক্তারা

আন্জুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট আয়োজিত উপমহাদেশের প্রখ্যাত সাধক, ওলীয়ে কামেল, আওলাদে রসূল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম, আলম বরদারে আহলে সুন্নাত, মুর্শিদে বরহক্ব, মুশকিল কোশা, হাজত রাওয়া, রাহনুমায়ে শরীয়ত ও তরীকত, হাদীয়ে দ্বীন ও মিল্লাত আল্লামা হাফেজ ক্বারী সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (রহ.)’র ওফাত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ৩০তম সালানা ওরস মোবারক মাহফিল যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গত ১৫ জুলাই চট্রগ্রাম ষোলশহরস্থ জামেয়া আহদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা ময়দানে আনজুমান ট্রাস্ট’র সেক্রেটারী জেনারেল মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়াও, যুক্তরাস্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, পাকিস্তান, ভারত, সৌদিআরব, বার্মা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যসহ বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অসংখ্য দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, খানকাহ্ শরীফসহ দেশের বিভিন্ন জেলা/উপজেলায় সালানা ওরস মোবারক অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তারা বলেন-উপমহাদেশের প্রখ্যাত আধ্যাত্মিক সাধক আওলাদে রাসুল, আল্লামা হাফেজ ক্বারী সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (রহ.) মুসলমানদের ক্বোরআন-সুন্নাহর আলোকে শরীয়ত ও তরিকতের সমন্বয়ে জীবন গঠনের পথ নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। তিনি ছিলেন রাসূল আদর্শের বাস্তব প্রতিচ্ছবি-মুসলিম মিল্লাতের উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা, দ্বীন ইসলামের অনন্য সংস্কারক ব্যক্তিত্ব। হুজুর কেবলা (রহ.) বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অসংখ্য দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, খানকা শরীফ প্রতিষ্ঠিত করণ ও জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম প্রবর্তনসহ অসংখ্য সংস্কারমূলক কর্মসূচী দিশেহারা মানবতাকে খোদাভীরু ও তাকওয়ার উপর প্রতিষ্ঠিত করে ইনসানে কামিলে পরিণত করেন। বিশেষতঃ তাঁর প্রতিষ্ঠিত দেশের সর্ববৃহৎ আধ্যাত্মিক অরাজনৈতিক মানব সেবার সংগঠন গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ আজ দেশে বিদেশে দিকভ্রান্ত তরুণ-যুবকদের ইসলামের সঠিক পথ ও মতে ঐক্যবদ্ধ করছে। গাউসিয়া কমিটির নিবেদিত কর্মীগণ মহামারী করোনায় আক্রান্ত সকল ধর্মের মৃতদের দাফন-কাফন ও অগ্নিদগ্ধ রোগীদের সেবা প্রদান এবং বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করে একনিষ্ঠ সেবকের ভূমিকা পালন করছে। বক্তারা এ মহান অলিয়ে কামিলের জীবন দর্শন অনুসরণ ও তাঁর নির্দেশনা বাস্তবায়নে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

আলোচনায় অংশ নেন- গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ’র কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ (সাবেক কমিশনার), জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ অছিয়র রহমান, অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) আল্লামা কাজী মুহাম্মদ আব্দুল ওয়াজেদ, উপাধ্যক্ষ ড. আবু তৈয়ব মুহাম্মদ লিয়াকত আলী, আল্লামা হাফেজ সোলায়মান আনসারী, আল্লামা হাফেজ মুহাম্মদ আশরাফুজ্জামান আলকাদেরী, অধ্যক্ষ মাওলানা আবু তৈয়ব চৌধুরী, অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ বদিউল আলম রিজভী, অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ, আল্লামা নূর মোহাম্মদ আলকাদেরী প্রমুখ।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-আনজুমান ট্রাস্ট’র এডিশনাল জেনারেল সেক্রেটারি মুহাম্মদ সামশুদ্দিন, জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারি মুহাম্মদ সিরাজুল হক, এসিস্ট্যান্ট জেনারেল সেক্রেটারি এস.এম. গিয়াস উদ্দিন শাকের, ফাইন্যান্স সেক্রেটারি মোহাম্মদ এনামুল হক বাচ্চু, অর্গানাইজিং সেক্রেটারি ও কোরবানীর পশুর চামড়া কালেকশনের প্রধান সমন্বয়ক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম, প্রেস এণ্ড পাবলিকেশন সেক্রেটারি অধ্যাপক কাজী শামসুর রহমান, কেন্দ্রীয় গাউসিয়া কমিটির মহাসচিব শাহাজাদ ইবনে দিদার, আনজুমান ট্রাস্ট’র সদস্য মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক, মুহাম্মদ নুরুল আমিন, শেখ মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন আহমেদ, মুহাম্মদ তৈয়বুর রহমান, লোকমান হাকিম মুহাম্মদ ইব্রাহীম, মুহাম্মদ আবদুল হামিদ, মুহাম্মদ আবদুল হাই মাসুম, আবদুল মোনাফ সিকদার, মুহাম্মদ কমরুদ্দিন সবুর, আশেক রসূল খাঁন বাবু, মাওলানা মুহাম্মদ জালালুদ্দিনসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ, ওরস সাব-কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মুহাম্মদ মনোয়ার হোসন মুন্না, আনজুমান রিসার্চ সেন্টারের মহাপরিচালক মাওলনা মুহাম্মদ আবদুল মান্নান, কেন্দ্রীয় গাউসিয়া কমিটির যুগ্ন মহাসচিব এড.মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার, মুহাম্মদ মাহবুবুল হক খাঁন, এস. এম. মাহাবুব এলাহী সিকদার, চট্টগ্রাম মহানগর’র ছাবের আহমদ, সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, খায়ের মোহাম্মদ, উত্তর জেলার সম্পাদক এড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলার সম্পাদক মাস্টার মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-সদস্যবৃন্দ, আনজুমান ট্রাস্ট’র সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মরহুম আবু মোহাম্মদ তবিবুল আলম (রহ.)’র সন্তান মাহমুদ নেওয়াজ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ওরস মোবারক উপলক্ষে খানকা শরীফে বেলা ৩টা হতে খতমে কোরআন, খতমে গাউসিয়া শরীফ, খতমে মজমুআহ্-এ সালাওয়াতে রাসূল, খতমে বোখারী শরীফ আদায় করা হয়। বাদে এশা সালাত-সালাম ও আখেরী মুনাজাত এবং তাবারুক বিতরণ করা হয়।

শেয়ার
  •  
  •  
  •  
  •