নিয়মিত উত্তর দিচ্ছেন: অধ্যক্ষ মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ অছিয়ার রহমান, সাবেক অধ্যক্ষ- জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া, চট্টগ্রাম।
রেহুনুমা আরজু, উত্তর গোবিন্দারখীল, পটিয়া, চট্টগ্রাম।
প্রশ্ন: শুনেছি বিতরের পর কোন ওয়াক্তিয়া নামায পড়তে পারে না। তা কতটুকু সঠিক জানিনা। এরপর কিভাবে আমি মাগরিবের কাযা নামায আদায় করতে পারি। নাকি বিতর নামায পড়ার কারণে ঐ কাযা নামায পড়তে পারব না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানালে উপকৃত হব।
উত্তর: বিতর নামায আদায়ের পর কাযা নাময, নফল বা অন্যান্য নামায পড়তে পারে না- এটা সঠিক নয়। সুতরাং এশার নামায আদায়ের পর যদি স্মরণে আসে মাগরিব কাযা রয়ে গেছে, তখনো বিতর পড়া হয়নি তখন মাগরিবের নামায আদায় করে বিতরের নামায পড়বে। আর যদি বিতরের নামাজ আদায় করার পর মাগরিব নামায কাযা হয়েছে স্মরণ হয় তখন মাগরিব এর নামাযের কাযা আদায় করে নিবে। এ মাসআলা প্রযোজ্য হবে যদি শুধু মাগরিবের কাযা নামাযের কথা স্মরণ না হয়। আর যদি মাগরিবের নামায কাযা হওয়ার কথা স্মরণ থাকে তখন এশা ও বিতরের আগে অবশ্যই মাগরিবের ফরয নামায কাযা আদায় করবে তারপর এশা ও বিতর পড়বে, মাগিরবের ফরয নামায কাযা হওয়ার কথা স্মরণ থাকা সত্ত্বেও এশা ও বিতরের নামায পড়া শুদ্ধ হবে না। যদি পড়ে ফেলেন, তার জন্য মাগরিবের ফরয নামায কাযা আদায় করে এশা ও বিতরের নামায পুনরায় পড়তে হবে। [শরহে বেকায়া ও ওমদাতুর রেয়ায়া ইত্যাদি]
