আবু মুহাম্মদ আশরাফ সিদ্দিকী
প্রশ্ন: বাংলাদেশে প্রচলিত ইসলামী ব্যাংকসমূহ যেমন শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক, আল আরাফা ইসলামী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ইত্যাদিতে চাকরি করা শরীয়ত সম্মতভাবে জায়েয কিনা? জানালে উপকৃত হব।
উত্তর: বাংলাদেশে প্রচলিত ইসলামী ব্যাংকসহ সকল সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকসমূহ বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনস্থ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে দায়বদ্ধ আর ব্যাংকিং লেন-দেন ও ব্যাংকে জমাকৃত টাকার উপর ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত অতিরিক্ত/লভ্যাংশ বা ইনটেরেস্ট বর্তমান যুগে কোন কোন ফকিহ/মুফতি সূদের অন্তর্ভুক্ত হবে না মর্মে মত প্রকাশ করেছেন কিন্তু মুহাক্কিক ও বিজ্ঞ মুফতিগণের অনেকেই তা সুদের অবকাশ হতে মুক্ত নয় মর্মে রায় প্রদান করেছেন। বিধায় বৈধ পন্থায় মান-সম্মত সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরির সুযোগ থাকলে ব্যাংকের চাকুরি হতে নিজকে বিরত রাখাই নিরাপদ ও ইহতিয়াত (احتياط) তথা সাবধানতা। আর যদি অন্যখানে উন্নতমানের চাকুরির সুযোগ না হয় তখন আর কি করা? একান্ত বাধ্য হলে বিশেষ প্রয়োজনে ব্যাংকের চাকুরি গ্রহণ করতে পারে। তবে অন্যত্র সুযোগ সৃষ্টি হলে সেখানে চলে যাবে। যেহেতু ছহি মুসলিম শরীফে বর্ণিত হাদিসে হযরত জাবের রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু বলেন-
لعن رسول الله صلى الله عليه وسلم اكل الربوا
وموكله وكاتبه وشاهدية وقال هم سواء
অর্থাৎ রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম সুদ ভক্ষণকারী আর অন্যজনকে সুদ খাওয়ার সুযোগ সৃষ্টিকারী সূদী লেন-দেনের লেখক, সূদী কারবারের স্বাক্ষীদাতার উপর অভিশাপ দিয়েছেন এবং তিনি (রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) এরশাদ করেছেন যে, এরা সকলেই গুনাহর মধ্যে এক সমান।
[সহি মুসলিম, باب الربوا সূদ অধ্যায় ইত্যাদি]
[সূত্র. মাসিক তরজুমান ১৪৩৬ হিজরি, মুহরম সংখ্যা]