আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার জাগতিক, আধ্যাত্মিক সবক্ষেত্রে সফল এক ক্ষণজন্মা ব্যক্তিত্ব ছিলেন

0

স্মারক আলোচনায় বক্তাগন বলেন, আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন জাগতিক আধ্যাত্মিক সবক্ষেত্রে সফল এক ক্ষণজন্মা ব্যক্তিত্ব। তিনি চট্টগ্রামের প্রথম মুসলিম ইঞ্জিনিয়ার এবং চট্টগ্রামকে বিদ্যুতায়নের মতো ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালনকারী ছিলেন। চট্টগ্রামের মানুষের মানসিক বিকাশে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন কোহিনূর ইলেক্ট্রিক প্রেস, কোহিনূর লাইব্রেরী, সাপ্তাহিক কোহিনূর এবং দৈনিক আজাদী। শুধু তাই নয়, আধ্যাত্মিক উৎকর্ষ নিশ্চিত করতেই আগে তিনি নিজে সিরিকোটি হুজুরের হাতে বায়াত গ্রহন করেন এবং দেশের মানুষকেও এই কল্যাণের পথে শামিল করতে তিনি তাঁর পীর সিরিকোটি হুজুরকেই চিরতরে রেঙ্গুন থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসেন, এমনকি নিজের বাসভবন কোহিনূর মঞ্জিলে রেখে এই আধ্যাত্মিক আলো বিতরণে পৃষ্ঠপোষকতা দেন। এশিয়ার অন্যতম সেরা মাদ্রাসা চট্টগ্রাম জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলীয়া এবং আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়ার আঁতুড় ঘর ছিল এই কোহিনূর মঞ্জিল। মোট কথা, মানুষের দেহ-মন ও আত্মার সামঞ্জস্যপূর্ণ উৎকর্ষ সাধনে ইঞ্জিনিয়ার সাহেবের অবদান ছিল প্রাতঃস্মরণীয়।
আজ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ছিল ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেকের ৬০তম ওফাত বার্ষিকী। এ উপলক্ষে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ আয়োজন করেছে স্মারক আলোচনা, চট্টগ্রাম জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলীয়া সংলগ্ন মরহুমের মাজারে জেয়ারত এবং মীলাদ। সকালে অনুষ্ঠিত হয় খতমে গাউসিয়া শরীফ, আর দুপুর ১২.৩০ আলমগীর খানকাহ শরীফে অনুষ্ঠিত হয় স্মারক আলোচনা।

মহানগর গাউসিয়া কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহর সঞ্চালনায়, সংগঠনের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব পেয়ার মোহাম্মদ কমিশনারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এসব কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব মোহাম্মদ মহসিন।
বিশেষ অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আনজুমান রিসার্চ সেন্টারের মহা পরিচালক আলহাজ্ব মাওলানা এম.এ মান্নান, গাউসিয়া কমিটির মহাসচিব আলহাজ্ব শাহজাদ ইবনে দিদার, যুগ্ম মহাসচিব আলহাজ্ব এডভোকেট মোসাহেব উদ্দিন বখতিয়ার, যুগ্ম মহাসচিব আলহাজ্ব মাহবুবুল হক খান, মাওলানা জসিম উদ্দিন আজহারী, মাওলানা মুনির উদ্দিন সোহেল, মুহাম্মদ এরশাদ খতিবী, মাওলানা ক্বারী ইব্রাহীম, লায়ন আবু নাসের রনি, মুহাম্মদ জানে আলম জানু প্রমুখ। অনুষ্ঠিত খতমে গাউসিয়া, আলোচনা, মীলাদ ও জেয়ারাত শেষে মরহুম ইঞ্জিনিয়ার সাহেবের মাজারে ফুলের শ্রদ্ধ্যাঞ্জলী জানানো হয়।

শেয়ার
  •  
  •  
  •  
  •