আল্লামা মুফ্তী সৈয়দ মুহাম্মদ অছিয়র রহমান

0

 মুহাম্মদ খোরশেদ আলম
(দুবাই প্রাবাসী) গহিরা, রাউজান, চট্টগ্রাম।

 প্রশ্ন: আহলে বায়ত করা? নবীজির বংশধর আর আহলে বায়ত কি এক? ক্বোরআন ও হাদিসের আলোকে জানালে উপকৃত হবো।

 উত্তর: হ্যাঁ- প্রিয়নবী আক্বা ও মাওলা হুযূর পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর পবিত্র বংশধর ও আহলে বায়তে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) একই। এটা অধিকাংশ ইমামগণের অভিমত। আহলে বায়তে বলতে প্রিয়নবী হুযূর পুরনূর সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর প্রিয়ভাজন তথা নিকটাত্মীয়গণকে বুঝানো হয়। নবীয়ে দোজাঁহা রাহমাতুল্লিল আলামীনের নিকটাত্মীয় প্রসঙ্গে পবিত্র ক্বোরআনুল হাকীমে মহান আল্লাহ্ তা‘আলা ইরশাদ করেছেন-
قُل لااسئلكم عليه اجرا الّا المودَّة فى القربٰى-
অর্থাৎ- (হে নবী) আপনি বলে দিন যে, আমি (রাসূল) তোমাদের নিকট কোন বিনিময় চাইনা, আমার বংশধরগণের ও নিকটাত্মীয়দের ভালোবাসা ব্যতীত।
[আল্ ক্বোরআন: সূরা শু’রা, আয়াত ২৩] প্রিয়নবী ইমামুল মুরসালিন রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটাত্মীয় প্রসঙ্গে এই আয়াতে পাক নাজিল হলে সাহাবীদের অন্তরে এ প্রসঙ্গে জানতে প্রবল ইচ্ছা জাগে। ফলে সাহাবায়ে কেরাম হুযূর পুরনূর রাহমাতুল্লিল আলামীনের দরবারে আরয করে জানতে চাইলেন- হে আল্লাহ্র রাসূল আপনার নিকটাত্মীয় কারা? এর জবাবে প্রিয়নবী সরওকারে কায়েনাত সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন- (আহলে বায়ত হলেন) হযরত আলী, হযরত ফাতিমা, হযরত ইমাম হাসান ও হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম এবং তাদের উভয়ের বংশধর তথা আউলাদ। আহলে বাইতের পরিচয় প্রদানে বহু হাদিস শরীফ রয়েছে। যেমন-
عن اُمِّ سَلْمَةَ رضى الله عنها انَّ رسول الله صلى الله عليه وسلم جَمَعَ فاطمة وَحسَنًا وحيسنًا رضى الله تعالى عنهم ثُمَّ اَدْخَلَهُمْ تَحْتَ ثوبه- ثُمَّ قَالَ اللُهُّمَّ هَؤُلَاءِ اَهْلُ بَيْتِىْ- (طبرانى)
অর্থাৎ- হযরত উম্মে সালমা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহা হতে বর্ণিত, একদিন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম হযরত ফাতিমা, হযরত ইমাম হাসান-হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুমকে একত্রিত করেছেন এবং তাদেরকে একটি কাপড়ে আবৃত করে নিলেন। অতঃপর বললেন- হে আল্লাহ্ এরা আমার আহলে বায়ত।
[তাবারানী: আল্ মুজামুল কবির, হাদীস- ২৬৬৩] অপর হাদীসে উল্লেখ আছে-
عن سعدبن ابى وقاص رضى الله عنه قال لمَّا اَنزل الله هذه الاية تعالو ندع ابناءنا وابناءكم ونساءنا ونساءكم الاية- دعا رسول الله صلى الله عليه وسلم عَلِيًّا وفَاطمةَ وَحسنًا وحُسينًا فقال اللهُمَّ هَؤُلاءِ اَهْلِىْ- (رواه مسلم)
অর্থাৎ- হযরত সা’দ বিন আবু ওয়াক্কাস রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু বলেন, যখন ‘মুবাহালা (একে অপরকে অভিসম্পাৎ করা) এর আয়াত ‘‘আপনি বলে দিন, এসো! আমরা আমাদের সন্তানদের ডাকছি, আর তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে ডাক।’’ তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম আলী, ফাতিমা, হাসান-হেসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুমকে ডাকলেন। অতঃপর বললেন, হে আল্লাহ্ এরা আমার পরিবারবর্গ তথা আহলে বায়ত।
এভাবে অসংখ্য হাদীসে পাকে আহলে বায়তে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম)-এর পরিচয় বর্ণনা রয়েছে। যাদের পবিত্রতার ব্যাপারে ক্বোরআনে পাকে বর্ণিত রয়েছে এবং এ প্রসঙ্গে একই ভাবে একটি হাদীসে পাকেও বর্ণনা পাওয়া যায়-
عن ابى سعيد الخدرى رضى الله عنه فى قوله اِنَّمَا يُرِيْدُ اللهُ لِيُذْهَبُ عَنْكُمْ الرجس اَهْلَ البيتِ ويطهركم تطهيرًا- قال نزلت فى خمسةٍ فِى رَسولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَعَلِىُّ وفَاطمةَ والحسنُ والْحسينُ- (طبرانى)
অর্থাৎ- হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু আল্লাহর বাণী ‘হে নবী পরিবার! নিশ্চয় আল্লাহ্ তা‘আলা চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে সম্পূর্ণরূপে পাক-পবিত্র করতে।
[সূরা আহযাব] এ সম্পর্কে বলেন আয়তটি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম, হযরত আলী, ফাতিমা, হাসান-হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুম এই পাঁচ মনীষী সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে।
[তাবরানী আল্ মু’জামুস্ সগীর, হাদীস নং ৩২৫] প্রতীয়মান হলো যে, আহলে বায়ত হলেন, শেরে খোদা হযরত আলী, হযরত মা-ফাতিমা, হযরত ইমাম হাসান-হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুম ও তাঁদের সন্তানগণ। তাই আহলে বায়ত তথা নবী বংশধরদের ভালবাসা, তাঁদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা, অন্তরে ভক্তি শ্রদ্ধা রাখা প্রতিটি মুসলমানের জন্য ওয়াজিব। কোন কোন তাফসীর ও হাদীস বিশারদ প্রিয়নবীর বিবিগণকেও আহলে বায়তের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছেন।

 খায়রুন নিসা রোজী
পটিয়া, চট্টগ্রাম।

 প্রশ্ন: রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ মাসনুন ইবাদত বা আমল সম্পর্কে জানানোর জন্য অনুরোধ রইল।

 উত্তর: ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থার নাম। একজন মুসলমানের জন্য ভোরে ঘুম হতে জাগ্রত হওয়া থেকে রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত ইসলামী অনুশাসন মেনে দিবারাত্র যাপন করা অত্যন্ত সৌভাগ্যের বিষয়। রাতে শয়ন পূর্ব ও শয়নকালে বিভিন্ন বরকতময় ও ফজিলতপূর্ণ দু’আ রয়েছে। আর ইসলাম দু’আকে স্বতন্ত্র ইবাদতের মর্যাদা দিয়েছে। দোয়া বিপর্যন্ত হৃদয়ের আশ্রয়স্থল ও আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক। রাতে বিছানায় শয়নকালে বিশেষ কিছু মাসনুন দোয়া রয়েছে। শয়নকালে দোয়া পাঠ করা সুন্নাতে নববী। হাদীসে বর্ণিত রয়েছে- হযরত হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম যখন নিদ্রা যাওয়ার ইচ্ছা করতেন তখন পাঠ করতেন ‘‘বিইস্মিকা আল্লা-হুম্মা আমু-তু ওয়া আহ্য়া।’’ [বুখারী শরীফ, আদাবুল মুফরদ- হাদীস নং ৫৯৫৩] অপর হাদীসে উল্লেখ রয়েছে- বিশিষ্ট সাহাবী হযরত জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ‘‘আলিফ লাম মীম তানযীল ও তাবারাকাল্লাযী বি-ইয়দিহিল মুল্ক ( তথা সূরা মুলক) না পড়া পর্যন্ত শয়ন করতেন না।
[আল্ আদাবুল মুফরাদ: হাদীস নং ১২২৪] সাহাবী হযরত আবু যুবায়র রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু বলেন, উক্ত দুই সূরা ক্বোরআন শরীফের অন্যান্য সূরার তুলনায় সত্তর (৭০)গুণ বেশি ফজিলতময়। যে ব্যক্তি উক্ত দুইটি সূরা তিলাওয়াত করবে, তার জন্য সত্তরটি দরজা বুলন্দ হয় এবং এই সূরার দ্বারা তার সত্তর (৭০)টি গুনাহ্ ক্ষমা করা হয়। [আল্ আদাবুল মুফরাদ] প্রখ্যাত সাহাবী হযরত বারা ইবনে আযেব রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যখন তোমরা শয়ন করতে যাও, তখন নামাযের ন্যায় অযু করো। অতঃপর নীচের দু’আটি পড়বে। রাসূল করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম শয়নের সময় প্রায় পড়তেন-
اَللَّهُمَّ اَسْلَمْتُ وَجْهِىَ اِلَيْكَ وَفَوَضْتُ اَمْرِىْ اِلَيْكَ والجاتُ ظهرى اليْكَ رغيْةً ورهبةً اِليِكَ لاملجأَ وَلا منجا منك اِلَّا اِلَيْكَ اللهُمَّ اَمَنْتُ بكتابك الذِى اَنْزَلْتَ وَبِنَبِيَّكَ الَّذِىْ أَرْسَلْتَ-
[সহীহ মুসলিম শরীফ, বাবু মা ইয়াকুলু ইনদান নাওম, ক্রমিক নং ২৭১০] নিদ্রা আসার পূর্বে এ দু’আ পাঠ করা যায়-
اَسْتَغْفِرُ اللهَ الَّذِىْ لَااِلَهَ اِلَّا هُوَ الْحَىُّ القَيُّوْمُ وَاَتُوْبُ اِلَيْهِ-
উচ্চারণ: আস্ তাগফিরুল্লা-হাল্লাযি লা-ইলা-হা ইল্লা হুয়াল হায়্যুল ক্বাইয়ুম ওয়া-আতু-বু ইলায়হি।
হাদীসে পাকে উল্লেখ রয়েছে, হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু বর্ণনা করেছেন, প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি বিছানায় শয়নকালে উপরোল্লিখিত দু’আটি পাঠ করবে আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁর গোনাহ ক্ষমা করে দেবেন, যদিও তা সমুদ্রের ফেনা বা মরুভূমির বালু সমপরিমাণ হয়। [তিরমিযি শরীফ] তদ্রুপ রাত্রে ঘুমানোর সময় আয়াতুল কুরছি, সূরা ফালাক্ব ও সূরা নাস পড়ার বর্ণনা ও ফজিলত সহীহ বোখারী সহ হাদীসের নির্ভরযোগ্য কিতাবসমূহে বর্ণিত আছে।
এছাড়াও হাদীসে পাকে ঘুমানোর পূর্বে বেশ কয়েকটি সুন্নাতের কথা উল্লেখ রয়েছে যথা ক. ভালোভাবে বিছানা ঝেড়ে নেয়া, খ. ঘরের দরজা আল্লাহর নামে বন্ধ করা, গ. ঘুমানোর দু’আ পাঠ করা, ঘ. পুরুষেরা ডান কাত হয়ে শোয়া, ঙ. স্ত্রী সহবাস করলে স্বামী-স্ত্রী উভয়ে লজ্জাস্থান ধুয়ে ওযু করে নেয়া, চ. সতর খোলা বা উলঙ্গ অবস্থায় না শোয়া, ছ. বিনা কারণে উপুড় হয়ে না শোয়া, জ. ঘুমানোর সময় বাতি বন্ধ করা, ঝ. দুঃস্বপ্ন দেখলে পার্শ্ব পরিবর্তন করা এবং দুঃস্বপ্ন দেখলে প্রথমে বাম দিকে তিনবার থু থু ছিটা ইত্যাদি। (এ সমস্ত আমল সমূহ সহীহ বুখারী ও মুসলিম শরীফে এবং সুনানে তিরমিযি শরীফের বিভিন্ন অধ্যায়ে উল্লেখ রয়েছে)। সুতরাং যতটুকু সম্ভব উপরোক্ত বিষয়াদির উপর আমল করার চেষ্টা করবে। এর মধ্যে অনেক ফজিলত ও বরকত নিহিত আছে। এ সমস্ত নেক আমল বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার বিরাট সহায়ক ও ওসিলা।

 মুহাম্মদ গোলাম রাব্বানী
ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম।

 প্রশ্ন: মহররম মাসের দশম তারিখকে আশুরা বলা হয় কেন? ইসলামী শরিয়তের আলোকে জানালে কৃতজ্ঞ হব।

 উত্তর: হিজরি সনের প্রথম মাস হলো মহররম মাস। ইসলামের ইতিহাসে বহু ঘটনা এ মাসে সংঘটিত হয়েছে। শরিয়তের পরিভাষায় এ মাসের দশম তারিখকে আশুরা বলে। আশুরা শব্দটি আরবী, শব্দটি আশেরুন বা আশারুন হতে নির্গত। আদি পিতা হযরত আদম আলায়হিস্ সালাম-এর সময়কাল তথা পৃথিবীর সৃষ্টি লগ্ন থেকে বিভিন্ন কারণে এই বরকতমণ্ডিত, সম্মানিত ও ঘটনাবহুল মহররমের দশম দিবস তথা পবিত্র আশুরা। তাই দিবসটি অতি ভক্তি, শ্রদ্ধা ও সম্মানের সাথে পালন করে আসছে মুসলিম বিশ্ব। প্রিয়নবী রসূলে দোজাহাঁ, আক্বা মাওলা হুযূর পুরনূর সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম হিজরতের পূর্বে এবং ক্বোরাইশগণ জাহেলী যুগেও এ দিবসে রোজা পালন করতেন। আর হিজরতের পর হতে রমজান মাসের রোজা ফরজ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এ দিবসে রোজা পালন ফরজ ছিল। রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার বিধান অবতীর্ণ হলে আশুরা দিবসের রোজা রাখার ফরজিয়্যাতের হুকুম রহিত হয়ে যায়।
দ্বীনের জন্যে শাহাদাতের বিরল দৃষ্টান্ত ৬১ হিজরিতে ইমামুশ্শুহাদা হযরত ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু ৭২/৮২ জন আহলে বায়তে রাসূল (সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম) এবং তাঁদের একান্ত অনুসারীদেরকে কুখ্যাত ইয়াজিদ বাহিনী কর্তৃক কারবালা প্রান্তরে নিমর্মভাবে শাহাদাতের ঘটনা সহ পৃথিবী সৃষ্টিলগ্ন থেকে বহু ঘটনাবলীর সাক্ষী মহররম মাসের এ দিবসটি।
পবিত্র আশুরার তাৎপর্য বর্ণনায় আরো দেখা যায়, হযরত মুসা আলায়হিস্ সালামকে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন জালিম ও কুখ্যাত ফেরআউন ও তার সৈন্যদের জালুম নির্যাতনের হাত থেকে নাজাত দিয়ে ফেরআউন ও তার দলবলকে নীল নদে ডুবিয়ে ধ্বংস করেছিলেন এবং হযরত নূহ আলায়হিস্ সালাম এবং তাঁর নৌকায় যারা আরোহন করেছিলেন তাদেরকে মহা তুফান ও পৃথিবী ব্যাপী প্লাবন হতে পরম করুণাময় স্বীয় অনুগ্রহে নাজাত দান করেছিলেন এ আশুরা দিবসে। সুতরাং ইসলামে এ দিবস অতি গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতময়। কোন কোন বর্ণনায় দেখা যায় যে, পৃথিবীর সূচনা লগ্ন হতে দশটি বড় বড় ঘটনা মুহররমের দশম দিবসে সংগটিত হয়েছে বিধায় উক্ত দিবসকে আশুরা বলা হয়।

 মুহাম্মদ কুতুব উদ্দীন সাদা (রোকন)
পাইরোল, পটিয়া, চট্টগ্রাম।

 প্রশ্ন: ১. কেয়ামত সম্পর্কে ও কেয়ামত সংঘটিত হওয়ার প্রাক্কালে বড় বড় আলামত সমূহ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী।
২. ইসলামি পরিভাষায় পুলসিরাত শব্দদ্বয়ের অর্থ কি? ক্বোরআন-হাদীসের আলোকে জানতে চাই।

উত্তর: কেয়ামত সংঘটিত হওয়া অনিবার্য। তবে কখন সংঘটিত হবে তা আল্লাহ্ ও তাঁর প্রিয় হাবীব সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ভালো জানেন। ক্বোরআন ও হাদীস শরীফে তা সংঘটিত হওয়ার সুনির্দিষ্ট কোন বর্ণনা পাওয়া না গেলেও কেয়ামত অবশ্যই সংঘটিত হবে এ বিশ্বাস প্রত্যেক মুসলিমকে অবশ্যই রাখতে হবে এবং তা ঈমানের অপরিহার্য দাবী। কেয়ামতের নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ না থাকলেও পবিত্র ক্বোরআন ও অসংখ্য হাদীস শরীফে এর বিভিন্ন আলামত বা নিদর্শনাবলী উল্লেখ রয়েছে। মুসলিম শরীফে হযরত হুযায়ফা ইবনে উসায়েদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে- তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম কেয়ামতের বড় বড় আলামত সম্পর্কে ইরশাদ করেছেন- একদিন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম আমাদের কাছে আগমন করলেন, আমরা তখন কেয়ামত সম্পর্কে আলোচনা করছিলাম। তিনি বলেন, যতদিন তোমরা দশটি আলামত দেখবে না, ততদিন কেয়ামত হবে না। আলামতগুলো হলো-১. ধোয়া বের হওয়া, ২. দজ্জালের আগমন, ৩. দাব্বা (ভূগর্ভ থেকে নির্গত অদ্ভুত এক জানোয়ারের প্রকাশ), ৪. পশ্চিমাকাশে সূর্যোদয়, ৫. হযরত ঈসা ইবনে মরিয়ামের আসমান হতে আগমন, ৬. ইয়াজুয- মা’জুযের আবির্ভাব, ৭. তিনটি বড় ধরনের ভূমিধসের মধ্যে পৃথিবীর পূর্ব প্রান্তে ভূমিধস, ৮. পশ্চিমে ভূমিধস, ৯. আরব উপদ্বীপে ভূমিধস, ১০. সর্বশেষ ইয়ামেন থেকে একটি অগ্নিশিখা বের হয়ে মানুষকে সিরিয়া তথা মাহশরের ময়দানে দিকে হাঁকিয়ে নিয়ে যাবে।
[সহীহ মুসলিম শরীফ, কিতাবুল ফিতান অধ্যায়] এছাড়া কেয়ামত সংঘটিত হওয়ার অন্যতম বড় আলামত হলো হযরত ইমাম মাহদী আলায়হিস্ সালাম-এর আবির্ভাব, যিনি তখনকার মুসলিম মিল্লাতের একচ্ছত্র খলিফা হবেন এবং পৃথিবীর সব মানুষকে ইসলামের অধীনে আনায়ন করত: ইসলামের বিজয় পতাকা উড্ডয়ন করবেন। হাদীসে পাকে উল্লেখ রয়েছে প্রিয়নবী রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
المَهْدِى مِنِّى أحلى الجبهة اَقْنَى اَلْاَنْفِ يَمَلَاُ الْاَرْضَ قِسْطًا وَعدَلًا كما مُلِئَتْ جُوْرًا وظُلْمًا يَمْلَكَ سَبعَ سِنِّيْنَ-(رواه ابو داؤد)
অর্থাৎ- হযরত মাহদী আসবে আমার বংশধর হতে, তাঁর কপাল উজ্জ্বল হবে এবং নাক হবে উঁচু, পৃথিবী হতে যুলুম-নির্যাতন দূর করে ন্যায়-ইনসাফ দ্বারা তা ভরে দেবেন আর সাত বছর পর্যন্ত তিনি রাজত্ব করবেন। [আবু দাঊদ শরীফ, কিতাবুল মাহদী অধ্যায়] এছাড়া কেয়ামত সংঘটিত হওয়ার পূর্বে আরো বহু আলামাতে সুগরা বা ছোট ছোট আলামত রয়েছে। হাদীসে পাকে হক্কানী ওলামায়ে কেরামের ইন্তেকালের মাধ্যমে ইলমে দ্বীন দুনিয়া হতে উঠিয়ে নেয়া হবে, মুর্খতা, ব্যভিচার ও মদ্যপান বৃদ্ধি পাবে, পুরুষের সংখ্যা কমে যাবে, মহিলার সংখ্যা বাড়বে, এমনকি একজন পুরুষের অধীনে বা ভাগে পড়বে ৪০ জন বা ৫০ জন নারী। [সহীহ বুখারী ও মুসলিম শরীফ] আর কেয়ামত তো অবশ্যই সংঘটিত হবে- এপ্রসঙ্গে আল্লাহ্ তা‘আলা ইরশাদ করেন-
وَاَنَّ الساعة اٰتِيَةُ لّارَيْبَ فِيْهَا وَاِنَّ الله يَبْعَثُ مَنْ فِى القبور- (سورة الحج)
অর্থাৎ অবশ্যই কেয়ামত আগমনকারী এতে কোন সন্দেহ নেই এবং নিশ্চয় আল্লাহ্ তা‘আলা কবরবাসীদের সেদিন জিন্দা করে কবর হতে হাশরের ময়দানে উঠাবেন। [সূরা হজ্ব: আয়াত ৭]

উত্তর: ২. পুলসিরাতকে আরবী এবং ক্বোরাআন-সুন্নাহর পরিভাষায় বলা হয় صراط বা দীর্ঘ পথ/রাস্তা। বস্তুত পুলসিরাত বলা হয় জাহান্নামের উপর নির্ধারিত ত্রিশ হাজার বৎসরের রাস্তাকে যা চুলের চেয়ে অধিক চিকন ও তরবারির চেয়ে অধিকতর তীক্ষè, জাহান্নামীরা পুলসিরাতে উঠার সাথে সাথে টুকরা টুকরা হয়ে নীচে জাহান্নামের গর্তে পড়ে যাবে আর প্রকৃত মুমিন (অলি-গাউস-কুতুব-আবদাল, শহীদগণ) তথা আল্লাহ্র প্রিয়জনরা যাঁর যাঁর স্তর ও আল্লাহ্ প্রদত্ত বিশেষ ক্ষমতা ও মর্যাদা অনুযায়ী দ্রুতবেগে চোখের পলকে খুবই সহজে পুলসিরাত অতিক্রম করে জান্নাতে প্রবেশ করবেন। মূলত সিরাত (صراط) আরবী শব্দ যার অর্থ বাংলা ও উর্দুতে দীর্ঘ পুল /সেতু । আমাদের দেশে উভয় শব্দ (পুল ও সিরাত) একত্রে ব্যবহার হতে হতে এক শব্দের ন্যায় পুলসিরাত হয়ে গেছে।
[শরহে আকায়েদে নফসী, নিবরাস্ শরহে আকায়েদে নফসী ইত্যাদি]

 সাদিয়া
১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।

 প্রশ্ন: স্ত্রীর নিকট স্বামীর মর্যাদা কতটুকু এবং স্বামীর নিকট স্ত্রীর মর্যাদা কতটুকু? ক্বোরআন-সুন্নাহর আলোকে জানালে উপকৃত হবো।

 উত্তর: স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য জীবনে সুশৃঙ্খলা ও সুব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে ইসলাম। এখানে সোহার্দ্য, আনুগত্য, শৃঙ্খলা ও একে অপরকে সম্মান করার মনোভাব সৃষ্টি না হলে সংসার জীবন কখনো সুখী ও শান্তিময় হয় না। তাই সংসার জীবনে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের হক/অধিকার ও মর্যাদা সুনির্দিষ্ট রয়েছে ইসলামে। অবশ্য ইসলাম পুরুষ জাতিকে নারীর উপর কর্তৃত্ব ও নেতৃত্ব দিয়েছে। মহান আল্লাহ্ তা‘আলা ইরশাদ করেন-
الرجال قوامون على النساء بما فضل الله بعضهم على بعض-
অর্থাৎ পুরুষ নারীদের উপর কর্তা এজন্য যে, আল্লাহ্ তা‘আলা তাদের মধ্যে একজনকে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্বদান করেছেন। [সূরা নিসা: আয়াত-৩৪] তবে সংসারের ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী মিলে-মিশে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সংসার পরিচালনা করবে এবং নারী/স্ত্রী সহযোগী হয়ে কাজ করবে। আল্লাহ্ পাক পবিত্র ক্বোরআনে ইরশাদ করেন-
ولِلرِّجَالِ عَلَيْهِنَّ دَرَجَةٌ- (القرأن)
অর্থাৎ নারীর উপরে পুরুষের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে।
[আল্ ক্বোরআন] এটা আল্লাহ্ তা‘আলার বিধান এবং তা কোন অপ্রাকৃতিক নিয়মও নয়। পৃথিবীর সর্বত্র একের অধীনে অন্যজন। তাই ইসলামী শরিয়ত নারীকে পুরুষের অনুগত হয়ে সংসার চালনার নির্দেশ দিয়েছে। নেতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা যেমন ক্বোরআন-সুন্নাহ্ ও বিবেক সম্মত।
উল্লেখ্য, স্বামীর হক্ব আদায় করা যেভাবে স্ত্রীর উপর ফরজ। স্ত্রীর হক্ব আদায় করাও স্বামীর উপর অপরিহার্য। স্বামীর মর্যাদা সম্পর্কে প্রিয়নবী হুযূর পুরনূর সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- যদি আমি কোন বান্দাকে অন্য বান্দার উদ্দেশ্যে সাজদা করার আদেশ দিতাম তবে আমি নারীগণকে স্বামীর প্রতি সাজদা করতে হুকুম দিতাম। যেহেতু আল্লাহ্ তা‘আলা নারীদের জন্য স্বামীর অসাধারণ হক্ব নির্ধারণ করেছেন।
অপর একটি হাদীসে পাকে বর্ণিত রয়েছে, উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন এক যুবতী নবী করিম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে এসে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! স্ত্রীর উপরে স্বামীর হক্ব কতটুকু? নবী করিম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন, ‘যদি স্বামীর আপাদ-মস্তক মাথা হতে পা পর্যন্ত ক্ষতে ভরা থাকে আর স্ত্রী স্বীয় জিহ্বা দ্বারা তা চেটে দেয় তবুও স্বামীর ইহসানের শুকরিয়া আদায় হবে না।
[মাজালিছুল আবরার] অন্য এক হাদীসে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
اَيُّمَا اِمْرَأةٍ مَاتَتْ وزَوْجُهَا عَنْهَا رَاضٍ دَخَلَتِ الْجنة- (رواه الترمذى)
অর্থাৎ যে নারী তার স্বামীকে সন্তুষ্ট রেখে ইন্তেকাল করেছে, সে বেহেশতে প্রবেশ করেছে। [তিরমিযী শরীফ] তাই স্ত্রীর উচিত আপন স্বামীর যথা সম্ভব সেবা-যতœ নেয়া। ইসলামে পুরুষ/স্বামীকে স্ত্রীর উপর নেতৃত্ব ও কর্তৃত্ব দিয়েছেন- এর অর্থ এ নয় যে, একজন স্বামী তার স্ত্রীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করবে। ইসলাম নারী তথা স্ত্রীকে তার প্রাপ্য হক/ মর্যাদা প্রদান করেছে, যেমন স্বামী তার স্ত্রীর পাঁচটি হক্ব/অধিকার আদায় করতে বাধ্য। তাহলো- মহর, খোরাকী-পোশাক, বাসস্থান ও জৈবিক অধিকার। স্বামীর উপর এসব মৌলিক অধিকার প্রদান করে স্ত্রী তথা নারী জাতিকে ইসলাম সম্মানিত করেছে।
স্বামীর উপর স্ত্রীর কতটুকু হক্ব/মর্যাদা রয়েছে এ ব্যাপারে হাদীসে পাকে প্রিয়নী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- হযরত হাকিম ইবনে মুআবিয়া কুশাইরী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু হতে বর্ণিত, তিনি তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন- তিনি বলেন, এক সাহাবী স্বামীর নিকট স্ত্রীর হক্ব/মর্যাদা বা অধিকার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন- হে আল্লাহ্র রাসূল স্বামীর উপর স্ত্রীর কি পরিমাণ হক রয়েছে? প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘তুমি খোরাক-পোশাক তথা ভরণ পোষণ দেবে, তার মুখমণ্ডলে প্রহার করবে না, তার চালচলনকে বক্রদৃষ্টিতে দেখবে না, এবং ঘর ছাড়া অন্য কোথাও তাকে ফেলে রাখবে না।’’ [আবু দাঊদ শরীফ] তাছাড়া ক্বোরআন মজীদে স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা ও আন্তরিকতা প্রদর্শনের নির্দেশ রয়েছে। আল্লাহ্ তা‘আলা ইরশাদ করেন- وعاشروهُنَّ بالمعروف অর্থাৎ তোমরা তোমাদের স্ত্রীগণের সঙ্গে সদ্ভাবে জীবন যাপন কর।
[আল্ ক্বোরআন: সূরা নিসা, আয়াত- ১৯] আল্লাহ্ তা‘আলা আরো ইরশাদ করেন- ‘তোমরা তোমাদের স্ত্রীদেরকে উত্তমরূপে স্বীয় ঘরে রাখ অথবা যদি তাদেরকে রাখা সম্ভবপর না হয় তবে ভদ্রতা ও সদয়ভাবে বিদায় করে দাও এবং তাদেরকে ক্ষতি সাধনের জন্য আটকে রাখবে না। (অর্থাৎ তাদের প্রতি জুলুম অত্যচার করার জন্য তাদেরকে কষ্ট দিয়ে রাখবে না)। আর যারা এরূপ করে তারা নিজ আত্মার প্রতি জুলুম করল অর্থাৎ নিজেকে আল্লাহর আযাবের জন্য উপযোগী করে নিল। [সূরা বাক্বারা, আয়াত- ২৩১] যে স্বামী স্ত্রীর নিকট ভালো সে স্বামীই প্রকৃত অর্থে ভাল ও উত্তম। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اَكمَلُ الْمُؤمنين ايمانًا اَحْسنُهُمْ خُلْقًا وخِيَارُكُمْ خِيَارُكُمْ لنسائهم-(رواه الترمذى)
অর্থাৎ ঈমানের দিক দিয়ে পরিপূর্ণ মু‘মিন ব্যক্তি যার চরিত্র সুন্দর, তোমাদের মধ্যে ওরা সর্বোত্তম যারা তাদের স্ত্রীগণের নিকট উত্তম। [তিরমিযী শরীফ] উল্লেখ্য, স্বামী কর্তৃক স্ত্রীদের প্রতি জুলুম করা, কষ্ট দেযা, নির্যাতন করা, ভরণ-পোষণের হক্ব আদায় না করা, অহেতুক গালাগালি করা সম্পূর্ণ হারাম। এমতাবস্থায় স্ত্রী তার স্বামীকে ক্ষমা/মাফ না করলে আল্লাহ-রাসূলের দরবারেও স্বামী মাফ পাবে না।

দু’টির বেশি প্রশ্ন গৃহীত হবেনা  একটি কাগজের পূর্ণপৃষ্ঠায় প্রশ্ন লিখে নিচে প্রশ্নকারীর নাম, ঠিকানা লিখতে হবে  প্রশ্নের উত্তর প্রকাশের জন্য উত্তর দাতার সাথে ব্যক্তিগত যোগাযোগ বাঞ্ছনীয় নয়। প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা: প্রশ্নোত্তর বিভাগ, মাসিক তরজুমান, ৩২১, দিদার মার্কেট (৩য় তলা), দেওয়ান বাজার, চট্টগ্রাম-৪০০০।

শেয়ার
  •  
  •  
  •  
  •