ইসলামি সংস্কৃতির বলিষ্ঠ সংযোজন জশনে জুলুস

0

অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল

বন্দরনগরী চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদী ইসলামের প্রাথমিক যুগ থেকে এ নদীর গুরুত্ব ইসলামের ইতিহাসে স্থান পায়। জানা যায়, রাসূলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামার যুগে একদল সাহাবি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ইসলাম প্রচারে বের হয়েছিলেন, যাদের নেতৃত্বে ছিলেন, হজরত সৈয়দুনা আবি ওয়াক্কাস মালিক ইবনে ওহাইব রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু, যিনি সম্পর্কে নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মামা ছিলেন। তিনি আরব সাগর হয়ে ভারতের মাদ্রাজ, এরপর বঙ্গ হয়ে চীনে যাত্রা করেছিলেন। জনশ্রুতি আছে, এ যাত্রাপথে হজরত আবি ওয়াক্কাস মালিক ইবনে ওহাইব রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু সঙ্গীদের নিয়ে কর্ণফুলীর অববাহিকায় গড়ে উঠা কুলাগাঁও বা শিকলবাহায় জাহাজ ডকে উঠেছিলেন। তাঁর জাহাজের মেরামতসহ এখানে বেশ কয়দিন থেকে ইসলাম প্রচার করে আবার চীনের উদ্যেশ্যে পাড়ি জমিয়েছিলেন। এরপর চট্টগ্রামের বার আউলিয়াদের আগমনের ইতিহাস ও তাদের ইসলাম প্রচারের ইতিহাসের সাথে এ কর্ণফুলীর বিশাল জলরাশির জোয়ার-ভাটার সম্পর্ক রয়েছে। হজরত পীর বদর আলম প্রকাশ বদর আউলিয়া রাহমাতুল্লাহি আলায়হি আরব থেকে সমুদ্র পথে একটি অলৌকিক পাথরে চড়ে এ কর্ণফুলী অববাহিকার চেরাগী পাহাড় এলাকায় অবস্থান নেন। বনজঙ্গলে ঘেরা এ চট্টগ্রাম তখনই চট্টগ্রাম হয়নি। জি¦ন-ভুতের অভয়ারণ্য ছিল এ নগর।
মনুষ্যজাতের আগমনে অসহ্য জ্বিন জাতি নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করতে চাইলে হজরত পীর বদর আউলিয়া তাঁর অলৌকিক চেরাগ জ্বালিয়ে (তেলের মৃত্তিকা প্রদীপ) তাদের নগর ছাড়া করেন। কথিত আছে সেই থেকে এতদাঞ্চলের নাম চাটিগ্রাম, চেরাগনগর বা চট্টগ্রাম নামাঙ্কিত হয়। এর আগে পরে আরো অনেক পীর, বুযুর্গ কর্ণফুলী অববাহিকার এ চট্টগ্রামে এসে ইসলামের শান্তি ও সাম্যের বাণী প্রচার করেছেন। ক্রমান্বয়ে এ কর্ণফুলী অববাহিকা হয়ে উঠে ইসলামের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও কৃষ্টির পাদপীঠ। এ ধারাবাহিকতায় বিংশ শতকের শেষে সাত দশকে ইসলামের নতুন এক সংস্কৃতির জাগরণ গড়ে উঠে, যা এখন সারা বিশ্ব লালন করে, যা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক বলিষ্ঠ সংযোজন বলা যায়। তা হলো, পবিত্র ১২ ই রবিউল আওয়ালের দিন ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপলক্ষে আয়োজিত জশনে জুলুস (বর্ণ্যাঢ্য ধর্মীয় র‌্যালি)।
৫৭০ খ্রিস্টাব্দে রবিউল আউয়াল সোমবার সুবহে সাদিকে পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল আরবের মরুপ্রান্তরে যে নতুন সূর্যের উদয় হয়, শুভাগমন হয় যে মানব মুকুট- তিনিই মানবতার মুক্তিদূত, রাহমাতুল্লিল আলামীন ইমামুল আম্বিয়া হযরত মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামকে মহান রাব্বুল আলামীন তাঁর হাবীব হিসেবে দুনিয়ায় প্রেরণ করে সৃষ্টি জগতের জন্য এতবেশী করুণা ও অনুগ্রহ করেছেন যা অতুলনীয়। আল্লাহ্ তা’আলা ঘোষণা করেন, “আমি আপনাকে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের রহমত (করুণা ) হিসাবে প্রেরণ করেছি।”
আল্লাহ্র পক্ষ থেকে সৃষ্টি জগতের জন্য এর চেয়ে নিয়ামত আর কিই-বা হতে পারে। মহান আল্লাহ্ ঘোষণা করেন, “কুল বিফাদ্বলিল্লাহি ওয়া বিরাহমাতিহি ফাবিযা-লিকা ফাল্ইয়াফরাহু” অর্থাৎ ‘‘হে হাবীব (সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম)! আপনি উম্মৎগণকে বলে দিন আল্লাহ্র ফজল এবং তাঁর রহমত প্রাপ্তিতে তারা যেন খুশি করে।’’ আল্লাহ্র নির্দেশ অনুযায়ী তাঁর হাবীব সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ্ পক্ষ থেকে শুধু রহমতই নয় : ফজলও বটে।
সুতরাং সৃষ্টির জন্য আল্লাহ্ প্রদত্ত করুণা এবং দয়া মানবজাতির জন্য মহান নিয়ামত আর উক্ত নিয়ামতের শুকরিয়া বা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের ধরণ উম্মতে মোহাম্মদীর জন্য আল্লাহ্র নির্দেশিত ও অনুসৃত পন্থায় হতে হবে। মহান আল্লাহ্ মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে ঘোষণা করেন– “নিশ্চয় আল্লাহ্ এবং তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর উপর দরুদ পড়েছেন। হে ঈমাদারগণ ! তোমরাও তাঁর (নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম)-এর উপর দরুদ এবং সালাম পেশ কর।” উল্লিখিত আয়াতের সাদাসিধে ব্যাখ্যা করলে দুটি বিষয় প্রণিধানযোগ্য : ১. আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন জ্বীন ও ইনসান (মানব) সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তাঁরই এবাদত বন্দেগী করার জন্য। তাই জ্বীন ও ইনসান নির্দেশিত পন্থায় আল্লাহ্র এবাদত করে থাকেন। সকল সৃষ্টি আল্লাহ্র আরাধনা করবে এটাই সৃষ্টির স্বভাব এবং সৃষ্টির জন্য স্রষ্টার নির্দেশ। আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনও তাঁর হাবীব সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য দরুদ পাঠ করছেন, সৃষ্টির শুরু থেকে এ দরুদ পাঠ শুরু হয়েছে, চলবে অনন্তকালজুড়ে।
‘জশন’ শব্দের দুটি অর্থ রয়েছে ১. খুশি আর আনন্দ, ২. বর্ণাঢ্য বা সুশৃঙ্খলভাবে ঘুরাফেরা করা। জুলুস শব্দটিরও দুটি অর্থ পাওয়া যায়- ১. এটি জলসা শব্দের বহুবচন অর্থ- বসা বা উপবেশন। ২. মিছিল বা ঘুরাফেরা করা । আরো একটু স্পষ্ট করলে (ক) নামাজ আল্লাহ্র যিকিরের মাহফিল বা জলসা, যা একইস্থানে বসে শেষ করতে হয়। (খ) হজ্ব হলো আল্লাহ্র যিকিরের জুলুস যা এক জায়গায় বসে আদায় করা যাবে না। বিভিন্ন নিদর্শনে হেঁটে, দৌঁড়ে, ঘুরেফিরে, যিকির করে সম্পন্ন করা হয়। পবিত্র কুরআনে ‘তাবুতে সকীন ফেরেশতাগণ জুলুস সহকারে…’ নিয়ে সে কথা বলা হয়েছে।
ঈদ-এ মিলাদুন্নবী : ঈদ শব্দের অর্থ খুশী বা আনন্দ উৎসব। মিলাদ শব্দের অর্থ জন্ম। ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর অর্থ- শুভ জন্মউৎসব। সুতরাং জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর অর্থ প্রিয় নবী হুযূর করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর শুভাগমন উপলক্ষে আনন্দ উৎসব করা। আর এই উৎসবের ধরণ হবে আল্লাহ্ ও ফেরেশতাকুলের অনুসৃত রীতি, দরুদ ও সানাহিয়াতের মাধ্যমে।
এ কথা সত্য যে, জশনে জুলুসে ঈদে মিল্লাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম উদ্যাপন একটি শরীয়তসম্মত ব্যবস্থা; যার মাধ্যমে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি মহব্বত ও গভীর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটেনা শুধু; বরং এ জুলুস ইসলামি সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে। মুসলিম মিল্লাত-এর শক্তি ও ঐশ্বর্যের এক বর্ণিল কুচকাওয়াজ এ জুলুস যা অন্য ধর্মাবলম্বীদের সহজে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। সুতরাং মুসলিম শরীফের ২য় খণ্ডের “হাদিসুল হিজরত অধ্যায়ে হযরত বরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত “রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম যখন মক্কা মোকাররমা ত্যাগ করে মদিনা মোনাওয়ারায় প্রবেশ করলেন, তখন মদিনার নারী-পুরুষ ঘরের ছাদসমূহের উপর আরোহণ করেন। ছোট ছোট ছেলে ও গোলামগণ মদিনা শরীফের অলিতে গলিতে জুলুস আকারে ছড়িয়ে পড়েন। মদিনার নারী-পুরুষ সবাই মিলে কণ্ঠে সমস্বরে ‘ত্বলাআল বদরু আলায়না, মিন সানিয়াতিল বিদায়ী…’ কসিদাটি পড়তে পড়তে মানবতার মুক্তিদূতকে বরণ করেন।
উল্লিখিত হাদিসপাক থেকে স্পষ্টত জানা যায়, মক্কা থেকে মদিনায় নবীজির শুভাগমনে আনসারগণ, সাহাবায়ে কেরাম সম্মিলিতভাবে মিছিল সহকারে শ্লোগান ও না’ত পরিবেশনের মাধ্যমে আনন্দ উৎসব পালন করেছিলেন।
জশনে জুলুস ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম পবিত্র কুরআন, হাদিস ও ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত একটি বরকতময় পূণ্যময় উৎকৃষ্ট ইসলামি সংস্কৃতি। যে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইসলায়ের গৌরব, শৌর্য-বীর্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। যে অনুষ্ঠান মুসলমানদের ঐক্যের বন্ধনে অটুট রাখে।
আগেই বলেছি, জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইসলামের এক সমৃদ্ধ সংস্কৃতি যা বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালন করা হয়। এটি সংঘাতময় বিশ্বে বিভ্রান্ত সমাজকে নবীপ্রেম ও ইসলামি চেতনায় জাগিয়ে তোলার এক উত্তম পন্থা নিঃসন্দেহে।
কর্ণফুলীর অববাহিকায় বার আউলিয়ার পূণ্যভুমি চট্টগ্রামে সত্তর দশকের আগে পবিত্র রবিউল আওয়ালকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল বা র‌্যালি পরিলক্ষিত হয়নি। কিন্তু এ ঈদে মিলাদুন্নবীর দিনটি পালনে বিভিন্ন বাতিল মতবাদী খারেজি, রাফেজি, মুতাজিলা, ওহাবি, শিয়া, কাদিয়ানি ও মদুদী মতবাদী গোষ্ঠী বা মহল নানা রকম বিকৃত ফতোয়া বা বিভ্রান্ত ছড়ানোর চেষ্টা করলে, যুগের অন্যতম সংস্কারক (মুজাদ্দিদ), গাউসে জমান, মুরশিদে বরহক, আলে রাসূল আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ রাহমাতুল্লাহি আলায়হি পবিত্র ১২ রবিউল আওয়ালের এ মহান দিবস জশনে জুলুস-এ ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম (বর্ণাঢ্য র‌্যালি সহকারে মিলাদুন্নবী) উদযাপনের নির্দেশ দেন। আন্জুমান-এ রাহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের নথিতে সনটি উল্লেখ রয়েছে ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দ। কোরবানীগঞ্জের ঐতিহাসিক বলুয়ারদীঘির পাড়স্থ খানকাহ-এ কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া থেকে প্রথম সংক্ষিপ্ত পরিসরে জুলুস বের করা হয়। ওই জুলুসের নেতৃত্ব দেন আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ রাহমাতুল্লাহি আলায়হি-এর প্রধান খলিফা আলহাজ্ব নুর মোহাম্মদ সওদাগর আল কাদেরী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি।
আজ থেকে সাড়ে চার দশক আগে চট্টগ্রামের বলুয়ারদীঘির খানকাহ হতে স্বল্প পরিসরে জুলুসের যাত্রা শুরু হলেও মাত্র চারদশকে বিশ্বের প্রধান ও সর্ব বৃহৎ ধর্মীয় র‌্যালিতে পরিণত হয়েছে। ২০১৯ সালে জশনে জুলুস উপলক্ষে আনজুমান-এ রাহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে জুলুসে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের অংশগ্রহণের সংখ্যা ৪০ লাখ বলে উল্লেখ করা হয়। এ সংখ্যা অনুমান নির্ভর হলেও বলতে দ্বিধা নেই যে, অসংখ্য মানুষ এ জুলুসে অংশগ্রহণ করেন, চট্টগ্রামবাসী অপেক্ষায় থাকেন কখন এ জুলুস অনুষ্ঠিত হবে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহ রাহমাতুল্লাহি আলায়হি-এর অন্তঃদৃষ্টিসম্পন্ন দূরদর্শী চিন্তা থেকে নির্গত এ মহান কর্মসূচি আজ বাংলার প্রত্যেক পীর-মশায়েখদের দরবারে, প্রতিটি জনপদে উদযাপন হয়। শুধু তাই নয় এই কর্মসূচি পৃথিবীর অধিকাংশ মুসলিম রাষ্ট্রে সরকারি ও বেসরকারিভাবে পালিত হচ্ছে , যার মধ্যে পাকিস্তান, ভারত, আফগানিস্তান, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সেনেগাল, দুবাই, ওমান, ইরান, খাজাকিস্তান, বোখারা,, মরক্কো, লিবিয়া, মালদ্বীপ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রভৃতি দেশ জুলুসের মাধ্যমে চট্টগ্রামকে বিশ্বের বুকে নতুনভাবে উপস্থাপন করছে। ধর্মীয় রীতিতে উৎসবের এ আমেজ সারা বাংলা নয়, পুরো মুসলিম বিশ্বকে আকর্ষণ করেছে। বিশ্বের প্রায় চল্লিশটি দেশে ১ রবিউল আওয়াল থেকে ১২ রবিউল আওয়াল বিভিন্ন সময়ে জুলুস অনুষ্ঠিত হয় বলে তথ্যসূত্রে জানা গেছে। আগামীতে এ জুলুস আরো সমৃদ্ধ আরো বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালন হবে আর কর্ণফুলীর অবববাহিকা এ চট্টগ্রামের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করবে-এমনটি প্রত্যাশা।

লেখক: শিক্ষাবিদ, গবেষক, সাংবাদিক।

শেয়ার
  •  
  •  
  •  
  •