জশনে জুলুছ হউক ঐক্যের প্রতীক 

0

অধ্যাপক কাজী সামশুর রহমান

আল্লাহ্ জাল্লাশানুহু পবিত্র ক্বোরআন মজীদে ইরশাদ করেন, ‘‘কুল বিফাদ্বলিল্লাহি ওয়া বিরাহমাতিহী- ফাবিযা-লিকা ফাল্ইয়াফরাহু।’’ অর্থাৎ হে হাবীব আপনার উম্মতকে বলে দিন আল্লাহ্র ফদ্বল ও রহমত প্রাপ্তিতে তারা যেন খুশী উদ্যাপন করে। অপর এক আয়াতে আল্লাহ্ বলেন, ‘‘লাক্বাদ মান্নাল্লাহু আলালমু’মিনীনা ইয্ বা‘আসা ফিহিম রাসূলা।’’ অর্থাৎ নিশ্চয়ই আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন মুমীনদের ওপর বড়ই অনুগ্রহ করেছেন। অন্য আয়াতে করীমায় উল্লেখ করা হয়েছে এভাবে- ‘ওয়ামা আরসালনাকা ইল্লা- রাহমাতাল্লিল আলামীন।’’ হে প্রিয় রসূল (সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম) আমি (আল্লাহ্) আপনাকে সমগ্র আলমের (সৃষ্টিজগতের) জন্য রহমত করে পাঠিয়েছি। আরো বহু আয়াতে আল্লাহ্ প্রিয় হাবীব রাহমাতুল্লিল আলামীন’র শান-মান স্তর প্রভৃতি বিষয়ে আলোকপাত করেছেন।
আক্বা মাওলা তাজেদারে মদীনা হুজুর পুরনূর সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের ১২ই রবিউল বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত, সকল সৃষ্টির জন্য রহমত ও ত্রাতা হয়ে মক্কার ক্বোরাইশ বংশের সম্ভ্রান্ত পরিবারে মা আমেনা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহার কোল আলোকিত করে ‘আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগে এক শুভক্ষণে সোবহে সাদেক সময়ে শুভাগমন করেন। সাথে সাথে সমগ্র সৃষ্টিকুল আনন্দাপ্লুত হল। সদ্য ভূমিষ্ট শিশু সিজদারত হয়ে কি যেন বলতে থাকেন। অলৌকিক এ দৃশ্য দেখে শিশুর মুখের নিকট কান পেতে শুনা গেল ‘রাব্বি হাবলী উম্মতী’। শিশুর মুখনিঃসৃত বাণী বলে দিচ্ছে তিনি নবী (রাসূল) ধরাধামে আগমনের পূর্ব হতেই, তিনি নবী এবং নবী হয়েই শুভাগমন করেছেন। তা না হলে নবূয়ত প্রকাশের পূর্বে কি করে তিনি (নবী) উম্মতের জন্য মাগফেরাত কামনা করেন। প্রিয় নবীর আগমনের পূর্বে ও পরে অনেক অলৌকিক ঘটনার অবতারনা হয়েছে। মা আমেনা ফেরেশতাদের জুলুছ প্রত্যক্ষ করেছেন। নূরের আলোকছটায় সহস্র মাইল দূরের স্থান অবধি আলোকিত হয়ে দৃষ্টিগোচর হয়। হযরত আদম আলায়হিস্ সালাম হতে হযরত ঈসা আলায়হিস্ সালাম পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ নবী-রসূল কারো বেলায় এরকম অলৌকিক ঘটনা দৃশ্যমান হয়নি। এতেই প্রমাণিত হয় তিনি ইমামুল আম্বিয়া। তিনিই প্রথম এবং তিনিই শেষ নবী। আল্লাহ্ তা‘আলা নবীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘আপনাকে (নবী) সৃষ্টি না করলে কোন কিছুই সৃষ্টি করতাম না।’ তাই তো আমরা বলি তিনি অদ্বিতীয়, তিনি নূর নবী, আল্লাহর নূর মোবারক হতেই তাঁর সৃষ্টি। এখানে দ্বিমত পোষণ করার কোন অবকাশ নেই। মহান স্রষ্টা আরো বলেছেন, ‘হে নবী আমি (আল্লাহ্) আপনার শান-মানকে বুলন্দ করেছি।’ এর কোন সীমা-পরিসীমা নেই, নেই কোন যতি, ইমামুল আম্বিয়া শাফায়াতকারী নবী রাহমাতুল্লিল আলামীন’র শুভাগমনে আমরা কি ধরনের খুশী উদ্যাপন করবো এর মাপকাঠি কি হতে পারে? এ বিষয়ে সাধারণ মুসলমানদের পক্ষে হৃদয়ঙ্গম করা অসম্ভব। এ সকল দিক-নির্দেশনা দিতে পারেন আধ্যাত্মিক জগতের কান্ডারীরা, গাউস, কুতুবগণ। কেননা এরাই আল্লাহ্র নিদের্শনাবলীর অন্তর্নিহিত অর্থ উদ্দেশ্য অনুধাবনে সমর্থবান।
উপমহাদেশে বহু শতাব্দী ব্যাপী ১২ই রবিউল আউয়াল, (ফাতেহায়ে দোয়াজদহুম) উদ্যাপন করার নির্ধারিত রীতি প্রচলিত ছিল। ইসলামে সওয়াবের উদ্দেশ্যে খানা-পিনা ওয়াজ মাহফিল, মিলাদ-কিয়াম করার মধ্যেই সীমবদ্ধ ছিল। নবীদ্রোহী ইয়াজিদী কাফেলার অনুসারীরা তথা বাতিলপন্থি গং বিদআত, র্শিক, আরো কতো কি বলে নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কুটকৌশল অবলম্বন করতে থাকলো ক্রমাগত:ভাবে। নবীপ্রেমের উৎসাহ উদ্দীপনা যেন কোনভাবেই বৃদ্ধি না পায় সেজন্য ভ্রান্তবাদীরা সর্বপ্রকার প্রচারনা চালিয়ে যায় (এখনও আছে)।
জমানার গাউস মুজাদ্দিদে জমান মাতৃগর্ভের অলি রাহনুমায়ে শরীয়ত ও ত্বরীকত হাদীয়ে দ্বীন-মিল্লাত, আওলাদে রাসূল (৩৯তম) হযরতুল আল্লামা হাফেজ ক্বারী সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ রাহমাতুল্লাহি আলায়হি বাতিলদের অপতৎপরতা দেখে পবিত্র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসল্লাম’র সাথে ‘জশনে জুলুছ’ সংযোজনের দিক-নির্দেশনা দেন। জশনে জুলুছে ঈদ-এ মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম উদ্যাপন করার জন্য ১৯৭৪ সালে ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি সংগঠন আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করেন। জশনে জুলুছ অর্থ বর্ণাঢ্য মিছিল। হুজুর কিবলা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ রাহমাতুল্লাহি আলায়হি’র নির্দেশানুযায়ী আনজুমান ট্রাস্ট সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নূর মুহাম্মদ আল্কাদেরীর নেতৃত্বে ১২ই রবিউল আউয়াল খানকায়ে কাদেরীয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া (বলুয়ার দিঘীর পাড়) হতে সকাল বেলা বের হয়ে কয়েকশত নবী-অলি প্রেমিক সুন্নীজনতার জশনে জুলুছ চট্টগ্রাম শহরের প্রধান সড়ক সমূহ প্রদক্ষিণ শেষে ষোলশহরস্থ ঐতিহাসিক জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া ময়দানে সমাবেত হন। সুদৃশ্য মঞ্চে শুরু হয় প্রিয় নবীর শান-মান ও বেলাদতের ওপর সারগর্ভ আলোচনা। প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন ও ইসলামী চিন্তাবিদদের বক্তব্য, মিলাদ-কিয়াম, যোহরের নামায শেষে আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচীর সমাপ্তি ঘটে।
কলেমা তৈয়্যবাহ্ লিখিত ব্যানার, ক্বোরআন-হাদীসের উদ্ধৃতি বাণী লিখিত ফেষ্টুন নারায়ে তকবির- আল্লাহু আকবর, নারায়ে রিসালাত- ইয়া রাসূলাল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম, নারায়ে গাউসিয়া- ইয়া গাউসুল আযম দস্তগীর রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু, শাহেন শাহে সিরিকোট জিন্দাবাদ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ জিন্দাবাদ, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত জিন্দাবাদ ধ্বনি ও হামদ-না’ত, গজল পরিবেশন করতে করতে জশনে জুলুছে ঈদ-এ মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম সামনে অগ্রসর হতে থাকে। সুশৃঙ্খল পরিপাটি পোষাকে সজ্জিত জুলুছকারীরা দুনিয়াবী বৈষয়িক কোন বাক্য উচ্চারণ করে না। যিকির-আযকার, হামদ-না’ত শোনা যায় শুধু। জাতীয় পতাকা ও আনজুমান ট্রাস্ট’র পতাকা হাতে মিছিলকারীরা নবীপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে পথপরিক্রমায় ব্যস্ত থাকে। কোন রকম শরীয়ত বিরোধী, আইন-শৃঙ্খলা বহির্ভূত কোন কাজ করা হয় না।
জশনে জুলুছে ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম) বিরোধীরা প্রথম প্রথম অনেক ধরনের বানোয়াট মনগড়া বক্তব্য রেখে এর বিরোধীতা করলেও ক্রমাবর্ধমান জুলুছের গ্রহণযোগ্যতা দৃশ্যমান হওয়ায় মুখে না বললেও মনে মনে এর যথার্থতা ও যৌক্তিকতা মেনে নিতে বাধ্য হয়ে এখন তারাই জশনে জুলুছ বের করছেন। এখানেই জমানার মুজাদ্দিদ আওলাদে রসূল আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ রাহমাতুল্লাহি আলায়হি’র জুলুছ প্রবর্তনের স্বার্থকতা। শুধু তাই-ই নয় তিনি সকল দরবার, এমনকি বাতিলদেরও এ জুলুছে আন্তরিকতার সাথে অংশগ্রহণ করার জন্য আহবান করেছিলেন। এ জুলুছ এখন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। কেননা এ জুলুছে লক্ষ কোটি নবীপ্রেমিক সুন্নীজনতার ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এক অনবদ্য মাধ্যম হয়ে উঠছে। নবী প্রেমিকদের উদ্দীপনার স্রোতে বাতিলরা খড়কুটোর মতো ভেসে গেছে। দেশি-বিদেশি ইলেক্ট্রনিক ও প্রেস মিডিয়ার মতে ২০১৮ সালের জুলুছে পঞ্চাশ লক্ষাধিক নবীপ্রেমিক সুন্নীজনতা আওলাদে রসূল আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ্ মুদ্দাজিল্লুহুল আ’লী’র নেতৃত্বে আনজুমান ট্রাস্ট’র ব্যবস্থাপনা ও অঙ্গ সংগঠন গাউসিয়া কমিটির ভাইদের সর্বাত্মক সহযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। ওই জুলুছ আগামীতে মুসলিম ভ্রাতৃত্ব ও নবীপ্রেমিকদের বৃহত্তর ঐক্যের প্রতীক হয়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ্। ক্বোরআন-হাদীসের আলোকে ইজ্মা-কিয়াসের ভিত্তিতে এ জশনে জুলুছ বৈধ ও মুস্তাহাব। শরীয়ত সম্মতভাবে জুলুছ উদ্যাপন করা ইবাদতের শামীল। লক্ষ লক্ষ ওলামা, মুফতি, শায়খুল হাদীস, ক্বোরআনে হাফেজ, ইসলামী চিন্তাবিদ, দার্শনিক সকলেই বৈধতার স্বীকৃতি দিয়ে স্বতঃস্ফুর্তভাবে স্বউদ্যোগে জশনে জুলুছে অংশগ্রহণ করেন। ১২ই রবিউল দিবসের অপেক্ষায় থাকা লক্ষ লক্ষ নবীপ্রেমিক বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে যেমন আলোড়িত স্পন্দিত হন, তেমনি বাতিলপন্থিরা মন ক্ষুন্ন হয়ে হতাশগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এখানেই ‘হক্ব’ আর বাতিলের পার্থক্য বিদ্যমান। গাউসে জমান আওলাদে রসূল হাফেজ ক্বারী আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ রাহমাতুল্লাহি আলায়হি’র প্রাসঙ্গিকভাবে আরেকটি যুগান্তকারী দিক নির্দেশনা হল গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ। ১৯৮৬ সালে তিনি আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টকে এ সংগঠন করার নির্দেশ দেন এবং এটাই হবে আনজুমান ট্রাস্ট’র একমাত্র অঙ্গ সংগঠন বলে চিহ্নিত করেন।
আনজুমান ট্রাস্ট বর্তমান থাকা অবস্থায় অঙ্গ সংসগঠনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আমরা সন্দিহান ছিলাম। আনজুমান ট্রাস্ট’র সকল কার্যক্রম মাঠে ময়দানে এ কমিটি সমাধান করে। আনজুমান ট্রাস্ট মাদরাসা, মসজিদ, খানকাহ্, ইসলামিক রিচার্স সেন্টার সুন্নীয়ত-প্রচার প্রসারের কর্তব্য কাজ ছাড়াও আর্ত-মানবতার সেবা করাও অন্যতম কর্মসূচী হিসেবে প্রাধান্য দেয়। ২০১৯ সালের বিশ্বব্যাপী মহামারি কোভিড ১৯-এর ধাক্কায় লক্ষ লক্ষ মানব সন্তানের অসহায় অবস্থায় প্রাণ সংহার হচ্ছিল, যখন মা-বাবা, ভাই-বোন, স্ত্রী-সন্তান কেউ কারো কাছে যাবার ভয়ে-আতংকে, সকলেই হাশরের মতো ‘ইয়া নাফসী’ বলে নিরাপদ দূরত্বে, প্রাণ বাচাঁতে ব্যাকুল, ঠিক তখনিই ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে গাউসিয়া কমিটির সদস্যবৃন্দ (সিলসিলায়ে আলিয়া কাদেরিয়ার পীর-ভাই-বোনেরা) মানবতার সেবায় এগিয়ে আসেন নির্ভয়ে, নিঃসংকচিত্তে। মৃতদেহ বহন করা, গোসল দেয়া, জানাযান্তে কবরস্থ করা, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানদের নিজস্ব ধর্মীয় বিধানুযায়ী শ্মশানে নিয়ে যাওয়া, সৎকারে সাহায্য করে চলেছে অদ্যাবধি স্বতঃস্ফূর্তভাবে। গাউসিয়া কমিটি গঠনের নির্দেশনার গুরুত্ব ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জাতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই ঐক্যমত পোষণ করে বলতে বাধ্য হয়েছেন হুজুর আল্লামা তৈয়্যব শাহ্’র যুগান্তকারী সৃষ্টি মানব কল্যাণে নিবেদিত এ সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে জমানার মুজাদ্দিদ’র ভূমিকা পালন করেছেন। হুজুর বলেছেন ‘ইয়ে গাউসে পাক কা ফৌজ হ্যায়’।
এ মহান মুর্শিদ গাউসে জমান হযরতুল আল্লামা হাফেজ ক্বারী সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ রাহমাতুল্লাহি আলায়হি মুসলমানদের গোমরাহীর পথ থেকে বাঁচার উপায় যেমন দেখিয়েছেন, তেমনি মানবকল্যাণ তথা জনহিতকর কাজের মাধ্যমে আল্লাহ্র বান্দাদের সহযোগীতা করার পথও প্রশস্ত করেছেন। এ মহান পথ প্রদর্শক আমাদের প্রতি যে ইহসান করেছেন তা অতুলনীয়। একজন ফানার্ফি রাসূল, ফানাফিল্লাহ্র যথার্থ ভূমিকা পালন করে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন আমাদের হৃদয়ে-কিয়ামত পর্যন্ত। হে পরওয়ারদেগার! আমাদের মুর্শিদের দরজা বুলন্দ করুন সীমাহীনভাবে।

লেখক: শিক্ষাবিদ ও প্রচার-প্রকাশনা সম্পাদক, আন্জুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট।

শেয়ার
  •  
  •  
  •  
  •