? কাজী নাজমূল হক
মাদারটেক, বাসাবো, ঢাকা
চট্টগ্রাম।
´প্রশ্ন: আমরা যখন কয়েকজন মিলে ‘গাউসিয়া শরীফ’ পড়ি, তখন সাজরার নিয়ম মোতাবেক যে অজিফা পাঠ করি, যেমন সূরা ‘আলাম নাসরাহ লাকা’ ১০০ বার পড়ার নিয়ম। তার মধ্যে দেখা যায় একই সময়ে কেউ কেউ ৫ বারও পড়তে পারে না, অথচ কেউ কেউ ১৫-২০ বারও পড়ে ফেলে। এতে কি উক্ত সময়ে ‘গাউসিয়া শরীফ’ আমাদের তরিকা অনুযায়ী পূর্ণতা পাবে?
্উত্তর: কাদেরীয়া তরীকার মাশায়েখ হযরাত কর্তৃক নির্বাচিত এবং কুরআন করিম ও হাদিস শরীফ থেকে সংগৃহীত বরকত মণ্ডিত ও ফজিলতপূর্ণ জিকির আজকার দোয়া, দরূদ, ও সুরা-আয়াতের সমষ্টির নাম হল খতমে গাউসিয়া। খতমে গাউসিয়া শরীফের তরতীবে যে অজিফাগুলো স্থান পেয়েছে তা বিশেষ বিশেষ ফজিলতে পরিপূর্ণ। তা ভক্তিসহকারে পালনের মধ্যে রয়েছে দুনিয়া ও আখেরাতের অনেক কল্যাণ ও সফলতা। তাই একে যথাযথভাবে পালন করা উচিত। যে জিকর যেভাবে পাঠ করার বর্ণনা রয়েছে সেভাবে জিকরগুলো আদায় করতে হবে। অন্যথায় খতমে গাউসিয়ার পরিপূর্ণ ফুয়ুজাত থেকে বঞ্চিত হবার আশঙ্কা থাকে। তবে আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট চট্টগ্রাম হতে প্রকাশিত সাজরা শরীফে খতমে গাউসিয় শরীফে সূরা আলাম নাশরাহ্ ১০০ বার নয় বরং ১১১ (একশত এগার বার) পড়ার নিয়ম লেখা আছে। কয়েকজন পীর ভাই একত্রিত হয়ে ‘খতমে গাউসিয়া শরীফ পড়ার সময় অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে যেন অজিফাগুলো যতবার লেখা হয়েছে তা যেন পরিপূূর্ণ হয়। কারণ উক্ত সংখ্যার মধ্যে একটা আলাদা ও বিশেষ বরকত রয়েছে।