প্রশ্ন: ইসলামে তাবিজ লাগানো বা তাবিজ দেয়া বা তাবিজের উপদেশ দেয়া জায়েয আছে কিনা? কোরআন-হাদিসের আলোকে জানাবেন।

0

? মুহাম্মদ সম্রাট কবির
লালখান বাজার, চট্টগ্রাম।

্উত্তর: তাবিজ যদি কুফরী ও শিরক জাতীয় কালাম থেকে মুক্ত হয় এবং দোয়া-দরুদ, বিশেষতঃ কোরআনের আয়াত ও হাদিসের অংশ সম্মিলিত হয় তখন ওই ধরনের তাবিজ লাগনো বা অপরকে দেওয়া বা উপদেশ দেওয়া ইসলামী শরীয়তসম্মত। এটা না জায়েয বলার কোন অবকাশ নেই। আর যদি তাবিজ কুফরি কালামের মাধ্যমে হয়ে থাকে তখন তা শরিয়তের দৃষ্টিতে হারাম। যেমন লবিদ ইবনে আছম ইহুদি ও তার সন্তানগণ নবী করিম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামকে যাদু করেছিল তখন আল্লাহ্ পাক সূরা ফালাক্ব ও সূরা নাস প্রিয় মাহবুবের উপর নাযিল করলেন তখন নবীজি ওই দুই সূরাকে আমল করে অর্থাৎ তেলাওয়াত করে নূরানী শরীরে ফুক দিয়ে যাদুর প্রভাব থেকে মুক্ত হয়েছিলেন। তদুপরি হাদিস শরীফে উল্লেখ আছে একদা হযরত আসমা বিনতে উসাইম রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহা (মহিলা সাহাবী) আরয করলেন এয়া রাসূলাল্লাহ্! সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম জাফরের সন্তানগণ বেশাবেশি বদ নযরে পতিত হয়। আমার জন্য কি জায়েয হবে তার জন্য তাবিজের আমল করা, তখন নবীজি তাকে তাবিজের আমলের অনুমতি দিলেন। সুতরাং যাচাই-বাচাই না করে ঢালাওভাবে ভাল আমল ও তাবিজ দোয়াকে না জায়েজ ও হারাম বলা হক্কানী ওলামায়ে কেরামের আদর্শ নয়, জালেম ও জ্ঞানপাপীদের চরিত্র।
[শময়ে সবিস্তানে রেজা, কৃত. ইমাম আ’লা হযরত শাহ্ আহমদ রেযা রহ. ইত্যাদি]

শেয়ার
  •  
  •  
  •  
  •