? কাজী মুহাম্মদ বোরহান উদ্দিন
হামজারবাগ, চট্টগ্রাম।
্উত্তর: মানুষের একান্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস যে গুলোর সংকটের কারণে মানুষের জীবন ধারণ কষ্ট সাধ্য যেমন খাদ্য শস্য ইত্যাদির গুদামজাত করে জনসাধারণকে বেকায়দায় ফেলে ব্যবসায়ীদের অধিক মুনফা লাভ করার মনোবৃত্তি শরিয়তের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম। নবী করিম সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন-অর্থাৎ যে লোক চল্লিশ দিন পর্যন্ত খাদ্য শস্য মজুদ রাখে সে পরে তা দান করে দিলেও তার গুনাহের কাফ্ফারা হবে না।
অন্য রেওয়াতে রয়েছে- অর্থাৎ যারা মুসলমানদেরকে ক্ষতি করে খাদ্য শস্য গুদামজাত করে আল্লাহ্ তাদেরকে কুষ্ঠব্যাধি ও দরিদ্রতা দ্বারা শাস্তি দেন। তাই সম্মানিত ফোকহা ও মুজতাহিদগণ বলেছেন সাধারণ জনগণের ক্ষতি সাধনের জন্য বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করার মাধ্যমে অধিক মুনাফা লাভের আশায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী গুদামজাত করা না জায়েয ও হারাম। এটা বিশেষ করে খাদ্য শস্যের বেলায় প্রযোজ্য, অবশ্য সব ধরনের বস্তুর জন্য বাজারে কৃত্রিম সংকট করে অধিক মুনাফা গ্রহণের অশুভ পাঁয়তারা করাও নাজায়েয। বর্তমানে আমাদের দেশে ও বিভিন্ন সিন্ডিকেট করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে পণ্য-দ্রব্যের মূল্য আগুনের মত যেভাবে বেড়ে চলেছে তা সম্পূর্ণ হারাম ও গুনাহ্।
[ইনায়া ও ফাতহুল কাদির শরহে হেদায়া ইত্যাদি]
