প্রশ্নঃ কোন আলেম ধর্মের নাম ভাঙ্গিয়ে রাজনীতি করলে এবং এক সময় এক এক ধরনের কথাবার্তা বললে ঐ আলেমের তকরীর শুনা বা তার পেছনে নামায আদায় করা জায়েয আছে কিনা জানালে উপকৃত হই।
উত্তরঃ রাজনীতি মূলতঃ রাষ্ট্র পরিচালনার নীতি বা আইনকে বুঝায়। ‘ইসলাম’ যেহেতু মানবজীবনের সকল দিক ও বিভাগের উপর কার্যকর, সুতরাং রাষ্ট্রনীতি বা রাজনীতি ইসলাম থেকে ভিন্ন কিছু নয়। বরং একটি দেশ ও সমাজকে ইসলামের রীতি-নীতির আলোকে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করা।
ইসলামী রাষ্ট্রনীতির সুফল জনসম্মুখে তুলে ধরা একজন সত্যিকার আলেমের দ্বীনী দায়িত্বও বটে। তবে ইসলামের নাম নিয়ে বা ইসলামী রাজনীতির কথা বলে নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করা, অবস্থা ও সুযোগ বুঝে কথা-বার্তা বলা মুনাফিকীর নামান্তর। একজন সত্যিকার আলেমে দ্বীনের কাছে এ প্রকার আচরণ ও স্বভাব থাকা উচিত নয়।
এ স্বভাবের মুনাফিক আলেমের তকরীর শুনা ও তার পেছনে ইক্বতিদা করা অনুচিত। উল্লেখ্য যে, এ ধরনের আলেম বা ইমামের আকীদা ও আমল যদি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের পরিপন্থী হয়, তবে তার তকরীর শুনা এবং তার পেছনে ইক্বতিদা করা নাজায়েয ও মাকরূহে তাহরীমা।
ফতওয়া-ই খানিয়া ও হিন্দিয়া, কিতাবুস্ সালাত, ইমামত অধ্যায়।
আরো উল্লেখ থাকে যে, রাজনীতির নামে হানাহানি,হিংসা,বিদ্বেষ, গালাগালি, জাতীয় সম্পদ বা অন্যের সম্পদ বিনষ্ট করা, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা ও ক্ষতি সাধন করা সম্পূর্ণ ইসলাম ভহির্ভূত, মূলত: এটা রাজনীতি নয় রাজনীতির নামে ভন্ডামী। [সূত্র. যুগ-জিজ্ঞাসা, পৃ. ২০-২১]