ধর্ম নিরপেক্ষতা বলতে কি বুঝায়?

0

মুহাম্মদ এনাম, ফতেহপুর ইসলামিয়া কে.জি.স্কুল, হাটহাজারী।

প্রশ্নঃ ধর্ম নিরপেক্ষতা বলতে কি বুঝায়? মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী ছিলেন?

উত্তরঃ নিজ ধর্মের উপর অটল-অবিচল থাকা আর অন্য কারো ধর্মের উপর কটুক্তি না করা এ অর্থে ধর্ম নিরপেক্ষ ইসলামের দৃষ্টিতে আপত্তিকর নয়। কারণ, প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম অন্য ধর্মের মূর্তি ও দেবতাদেরকে গালমন্দ করতে নিষেধ করেছেন। কিন্তু আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভাষায় এবং বর্তমান প্রচলিত অর্থে ধর্ম নিরপেক্ষতা হল- রাষ্ট্রীয় কাজ-কর্মে ধর্মের বিধি-বিধানকে উপেক্ষা করে চলার নাম। এ ক্ষেত্রে একজন মুসলমান কোন দিন ধর্মনিরপেক্ষ হতে পারে না। কারণ, ‘ইসলাম’ একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা যার মধ্যে মানবজাতির ইহ ও পরকালের যাবতীয় বিধি-বিধান বিনক্সত হয়েছে। সুতরাং, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামের বিধি-বিধান মেনে নেয়া এবং সমাজ জীবন ও রাষ্ট্রীয় জীবনে তা বাস্তবায়নে চেষ্টা করে যাওয়া একজন প্রকৃত ধর্মপরায়ন মুসলমানের একান্ত কর্তব্য। তাই এ অর্থে মুসলমান কোন সময় ধর্মনিরপেক্ষ হতে পারেনা। আর প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর মনোনীত একমাত্র ধর্ম ‘ইসলাম’ প্রচার-প্রসার করার জন্য এ পৃথিবীতে তাশরীফ এনেছেন।

তদুপরি বিধর্মীদেরকে খুশী করার জন্য এবং নির্বাচনে তাদের থেকে ভোট ও সমর্থন লাভ করার জন্য স্বীয় ধর্ম ইসলাম ও অন্যান্য বাতিল ধর্মের প্রশংসা ও গুণকীর্তন করে ইসলাম ও অন্য সব বাতিল ধর্মগুলোকে এক কাতারে সংযুক্ত করে কেউ যদি ধর্মনিরপেক্ষতার বুলি আওড়ায় যেমন- দেশের অধিকাংশ নেতা-নেত্রীদের বর্তমান সংস্কৃতি। এ জাতীয় ধর্মনিরপেক্ষতা মূলত: বাদশাহ আকবরের ‘দ্বীন-ই-ইলাহী’র ন্যায় মুসলিম-অমুসলিম সবাইকে খুশী করার অপচেষ্টা মাত্র। এটা আরেকটি বাতুলতা ও ইসলামের সাথে ষড়যন্ত্র। তবে স্বীয় দ্বীন ইসলামের উপর অটল-অবিচলভাবে প্রতিষ্ঠিত থেকে সংখ্যালঘু বিধর্মীদের জান-মাল, ইজ্জত-আবরু রক্ষা করার দায়িত্ব অবশ্যই মুসলিম শাসকের উপর ন্যস্ত। তবে শর্ত হল- মুসলিম দেশের বিধর্মী সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী ইসলাম ও মুসলমানের বিরুদ্ধে যেন ষড়যন্ত্র ও আক্রমণ না করে।

শেয়ার
  •  
  •  
  •  
  •