প্রশ্ন করেছেন মুহাম্মদ আব্দুস সবুর, বলুয়ারদিঘীর পাড়স্থ খানকাহ শরীফ, চট্টগ্রাম।
প্রশ্ন: প্রবাসী ছেলের সাথে মোবাইলে কোন বাংলাদেশী মেয়ের সাথে আক্বদ হলে ইসলামী শরীয়তে তার ফয়সালা কি? শুদ্ধ হবে কিনা? জানালে কৃতজ্ঞ হব।
উত্তর: বিশ্ববিখ্যাত ফতোয়ার কিতাব ফতোয়ায়ে আলমগীরিতে উল্লেখ আছে, من شروطه سماع الشاهدين كلاهما معًا অর্থাৎ নেকাহ্ ও আক্বদ শুদ্ধ হওয়ার জন্য শর্ত হলো কমপক্ষে পুুরুষ দু’জন সাক্ষী (অথবা একজন পুরুষ ও দুই জন মহিলা) বর ও কণের নেকাহের প্রস্তাব ও কবুল তথা ايجاب ও قبول এর الفاظ সমূহ একই সাথে শুনতে হবে। মোবাইলে বা টেলিফোনে এটা সম্ভব নয়। এমনকি নেকাহ বা যে কোন ঘটনায় সাক্ষী যদি পর্দার পেছন হতে স্বাক্ষী দেয় ইসলামী শরীয়তের বিধান অনুযায়ী শুদ্ধ ও গ্রহণযোগ্য হবে না। স্বাক্ষীদ্বয়কে অবশ্যই আকদের সময় স্বশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে। কেননা পর্দার আড়াল হতে সাক্ষী দিলে একজনের আওয়াজের সাথে অপরজনের আওয়াজ ও স্বর মিলে যেতে পারে। টেলিফোন বা মোবাইলে স্বাক্ষী প্রদান করলে স্বাভাবিকভাবে সন্দেহের সৃষ্টি করে। একজনের আওয়াজে অন্যজন ভান ধরে কথা বলতে পারে। তদুপরি টেলিফোন/মোবাইলের যান্ত্রিক অসুবিধা আছেই। কোন সময় আওয়াজ বন্ধ হয়ে যায়, কোন সময় শব্দ বুঝা যায় না, কোন সময় নেটওয়ার্কের সমস্যা। এ সব যৌক্তিক কারণে টেলিফোন ও মোবাইলের মাধ্যমে কখনো বিবাহ্ শুদ্ধ হবেনা। কেউ যদি টেলিফোন/মোবাইলে আকদ সম্পন্ন করে স্ত্রীকে স্বামীর অবস্থানরত প্রবাসে নিয়ে যায় অবশ্যই কমপক্ষে ২ জন পুরুষ সাথে সাথে প্রাপ্ত বয়স্ক জ্ঞানী সেখানে স্বাক্ষীদ্বয়ের উপস্থিতিতে নুতনভাবে আক্বদ সম্পন্ন করবে তারপর সহবাস করবে। নতুবা সহবাস জেনায় পরিণত হবে।
ফতোয়ায়ে আলমগীরিতে আছে لو سمع من وراء الحجاب لايسعه ان يشصد لاحتمال ان يكون غيره اذا النغمة تشبه النغمة অর্থাৎ যদি কেউ পর্দার আড়াল থেকে শুনে সাক্ষী দিলে তা শুদ্ধ হবে না। অন্যজন হওয়ার সম্ভাবনা থাকার কারণে। যেহেতু একজনের কণ্ঠস্বর অপরজনের কণ্ঠস্বরের সাথে স্বাদৃশ হতে পারে।
[فتاواى فيض الرسول কৃত.فقيه ملت جلال الدين احمد امجدى প্রথম খন্ড, পৃ.৫৬০]